প্রাচীন বাংলা গদ্যের ইতিহাস / PRACHIN BANGLA GADYER ITIHAS
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রচেষ্টাকে আমরা গদ্য-ইতিহাসের প্রথম ক্রান্তিচিহ্ন বলে দেখতে অভ্যস্ত হয়েছি এবং প্রাচীনতর গদ্যের আলোচনায় কতিপয় মাত্র উদাহরণ উদ্ধৃত করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, আমাদের গদ্য ছিল, কিন্তু সে যৎসামান্য এবং তার কোনো মহিমা ছিল না। মুদ্রণশিল্পের প্রসার ও পত্র-পত্রিকার প্রচার ঊনবিংশ শতাব্দীর একেবারে প্রথম থেকেই গদ্যচর্চাকে এমন বহুমুখী, কোলাহলমুখর করে তুলেছে যে, পূর্ববর্তী গদ্য সাধনার দিকে দৃষ্টি ফেরাতে আমরা ভুলে যাই। বর্তমান আলোচনায় এই শৈথিল্য অপনোদনের চেষ্টা আছে। আমরা পশ্চাতের পানে ফিরে চেয়েছি।
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রচেষ্টাকে আমরা গদ্য-ইতিহাসের প্রথম ক্রান্তিচিহ্ন বলে দেখতে অভ্যস্ত হয়েছি এবং প্রাচীনতর গদ্যের আলোচনায় কতিপয় মাত্র উদাহরণ উদ্ধৃত করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, আমাদের গদ্য ছিল, কিন্তু সে যৎসামান্য এবং তার কোনো মহিমা ছিল না। মুদ্রণশিল্পের প্রসার ও পত্র-পত্রিকার প্রচার ঊনবিংশ শতাব্দীর একেবারে প্রথম থেকেই গদ্যচর্চাকে এমন বহুমুখী, কোলাহলমুখর করে তুলেছে যে, পূর্ববর্তী গদ্য সাধনার দিকে দৃষ্টি ফেরাতে আমরা ভুলে যাই। বর্তমান আলোচনায় এই শৈথিল্য অপনোদনের চেষ্টা আছে। আমরা পশ্চাতের পানে ফিরে চেয়েছি।
Reviews
There are no reviews yet.
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর প্রাণপুরুষ তথা উনিশ শতকীয় চর্চায় বাঙালির পথপ্রদর্শক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আমরা এতাবৎ প্রায় অনবহিতই ছিলাম। দৌহিত্র বিশ্বনাথ রায় প্রণীত এই সংক্ষিপ্ত ব্রজেন্দ্র-আলেখ্য সে অভাব বহুলাংশে মেটাবে।
কৃষ্ণকলি তাঁর গানেই কালো হরিণ চোখ মেলে ত্রস্ত পায়ে বেরিয়ে আসে কুটির থেকে। কবির গান তাঁর উচ্চারণেই পায় প্রাণ, পায় উদ্দিষ্ট অভিমুখ। কিন্তু সুচিত্রা মিত্র শুধুই রবীন্দ্রসংগীতের সবথেকে সার্থক বাণীবাহকদের অন্যতম হয়ে আমাদের স্মৃতি জুড়ে অমলিন থাকবেন না। স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর লেখা, তাঁর আঁকা ছবির জন্যও। হ্যাঁ, আই পি টি এ এর গানের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কবির সুরের সেই সর্বোত্তম সাধক ছিলেন এক অসামান্য ছড়াকারও। ছবিও আঁকবেন তিনি সময় পেলেই। তেমনই কিছু ছড়া ও ছবি গ্রথিত হল এই সংকলনে। সঙ্গে রইল তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি আর কিছু দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্রের এক দুর্লভ অ্যালবাম।
মুল্যবান এই জীবনীগ্রন্থটি ১৯১৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জীবন কথা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩২৩ শ্রাবণ ১৩২৪)। বিশিষ্ট জীবনীকার মন্মথনাথ ঘোষ বিগত যুগের দেশ নায়কদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই কলম ধরেন। রাজা দক্ষিণারঞ্জনের এই জীবনলেখ্যও তাঁর সেই শ্রমসাধ্য অন্যতম প্রয়াস। জীবন নির্ভর এই গ্রন্থটির মহৎ জীবনকথায় সংলগ্ন হয়ে আছে সেই সময়েরও জীবন্ত ইতিহাস। ‘ইয়ং বেঙ্গল’ সম্বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরে বাঙালি হৃদয়ে আগ্রহ ও কৌতুহল জেগেছে। সেই কারণেই হিন্দু কলেজের ছাত্র, হেয়ার ডিরোজিও ও ডাফের অন্তরঙ্গ দক্ষিণারঞ্জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনীগ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ।
জন্মের একশো পঁচিশ বছর পরেও যদি কোনো মানুষ একটি দেশের প্রাত্যহিক জীবনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে যান, তবে তাঁর জীবন ও কর্মের পুনর্মূল্যায়ন এক আশু কর্তব্য। বাবাসাহেব আম্বেদকর এমনই এক অলোকসামান্য ব্যক্তিত্ব। শুধু বর্ণবৈষম্য কিংবা অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেই যাওয়া নয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের তীব্র সমালোচনাকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। ভারতীয় দলিত রাজনীতির প্রবক্তা তথা সংগঠকরূপে তো বটেই, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও তিনি ছিলেন এক আপোশহীন যোদ্ধা। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার এই মানুষটিই আবার ছিলেন হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক ও পাকিস্তান গঠনের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্পষ্টবাদী এক অনন্য মতের প্রবর্তক। যেহেতু তিনি ছিলেন সব ধরনের শোষণের বিরুদ্ধেই মূর্ত প্রতিবাদ, তাই নারীর অধিকার নিয়েও বাবাসাহেব পরিচয় রেখেছিলেন সুচিন্তিত ভাবনার। গান্ধিবাদী কংগ্রেসি সামাজিক-রাজনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমের কুণ্ঠাহীন সমালোচক এই ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন আদ্যন্ত জাতীয়তাবাদী।
Reviews
There are no reviews yet.