(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
₹100.00
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার
কৃষ্ণকলি তাঁর গানেই কালো হরিণ চোখ মেলে ত্রস্ত পায়ে বেরিয়ে আসে কুটির থেকে। কবির গান তাঁর উচ্চারণেই পায় প্রাণ, পায় উদ্দিষ্ট অভিমুখ। কিন্তু সুচিত্রা মিত্র শুধুই রবীন্দ্রসংগীতের সবথেকে সার্থক বাণীবাহকদের অন্যতম হয়ে আমাদের স্মৃতি জুড়ে অমলিন থাকবেন না। স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর লেখা, তাঁর আঁকা ছবির জন্যও। হ্যাঁ, আই পি টি এ এর গানের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কবির সুরের সেই সর্বোত্তম সাধক ছিলেন এক অসামান্য ছড়াকারও। ছবিও আঁকবেন তিনি সময় পেলেই। তেমনই কিছু ছড়া ও ছবি গ্রথিত হল এই সংকলনে। সঙ্গে রইল তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি আর কিছু দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্রের এক দুর্লভ অ্যালবাম।
দক্ষিণারঞ্জন বসু
ঠিক এই মুহূর্তে যখন সিরীয় শরণার্থীদের জন্য জার্মানি উন্মুক্ত করে দিচ্ছে দ্বার, যখন মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়েও বিশ্বময় সহানুভূতির ঝড়, তখন আমরা ভুলে যাচ্ছি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ট্রাজিক, সবচেয়ে মর্মান্তিক অপসারণের ইতিবৃত্তকে। ১৯৪৭_১৯৫০ এই তিন বছরে এবং পরবর্তীকালে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের পূর্বে ও পরে যেভাবে লক্ষ লক্ষ বাঙালি ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে বঙ্গদেশের পূর্ব থেকে পশ্চিম অংশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন, বিতাড়িত হয়েছেন, উৎপাটিত হয়েছেন, তার সমতুল নজির ইতিহাসে মেলে না। দক্ষিণারঞ্জন বসু প্রণীত এই গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়েছে পূর্ববঙ্গের ১৮টি জেলার ৬৪টি গ্রাম থেকে ভূমিপুত্র-কন্যাদের চলে আসার বৃত্তান্ত। গ্রন্থের দু-টি খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গে অখণ্ড সংস্করণ প্রকাশিত হলেও খুব শিগগিরি তা পাঠকের নজরের আড়ালে চলে যায়। গ্রন্থটির তাৎপর্যমণ্ডিত এই পুনঃপ্রকাশ এপার, ওপার_উভয় বাংলার বাঙালিকেই নিঃসন্দেহে স্মরণ করিয়ে দেবে তাদের অভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিচয়ের কথা।
অমিত ভট্টাচার্য
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে নয়। অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণই মানবজীবনের সার্থকতা। প্রাচীন ভারতের শাস্ত্র-সাহিত্য–দর্শনই কেবল নয়, আধুনিক সাহিত্যেও যতদূর সম্ভব হয়েছে, প্রসারিত দৃষ্টি নিয়ে সেসবের মননসমৃদ্ধ দীপ্তি পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার নিরলস প্রয়াস মিথকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে লক্ষণীয়। একদিকে পরম্পরাবাহিত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশজনিত ভ্রান্ত ধারণা আপামর জনতাকে শিক্ষা-ডিগ্রি নির্বিশেষে এখনও কীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, অপরদিকে ঋষিদের কল্পকথায় রূপকাকারে চিত্তশুদ্ধির আবাহন_এই দুয়েরই প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচিত চোদ্দোটি কাহিনিতে।
সুব্রতকুমার মাল
ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।
শিশির মজুমদার
আচার্য সুনীতিকুমারের আশীর্বাদধন্য শিশির মজুমদারের এই গ্রন্থে উত্তরবঙ্গের লোকসমাজের বারোমাসি জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা যেমন তুলে ধরা হয়েছে তেমনি ‘পাশোসি’ অংশে আছে বৈচিত্রময় জীবনযাপনের নানা কথা। আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ১২৫তম জন্মবর্ষপূর্তিতে এই সংস্করণ তাঁরই স্মৃতির প্রতি নিবেদিত হল। এই গ্রন্থের একটি রচনায় একটি লুপ্তপ্রায় ‘ব্রত’র কথা বলা হয়েছে যেখানে শুধুমাত্র পুরুষেরাই যুক্ত। যে ব্রতটির আচার-অনুষ্ঠান ব্যবহার করেছিলেন রাজা গণেশ। অন্য একটি রচনায় দেশী সম্প্রদায়ের পাটের তৈরি ধোকড়ার কথা বলা হয়েছে। সেই ধোকড়া তাঁতে তৈরি জ্যাকেট জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির মেলা থেকে ক্রয় করে পরেছেন রবীন্দ্রভারতীর তৎকালীন উপাচার্য পবিত্র সরকার ও সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার।
Reviews
There are no reviews yet.