Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
CHHOTODER WILLIAM KERRY
₹80.00বিদেশি হয়েও বাংলা ভাষা , সাহিত্য ও মুদ্রণ শিল্পের উন্নতির জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন যে খ্রিস্টধর্ম প্রচারক, তিনি উইলিয়াম কেরী ।
Subtotal : ₹500.00
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
বিদেশি হয়েও বাংলা ভাষা , সাহিত্য ও মুদ্রণ শিল্পের উন্নতির জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন যে খ্রিস্টধর্ম প্রচারক, তিনি উইলিয়াম কেরী ।
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
শুধু বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক রূপে নন, শিশুসাহিত্যিক হিসেবেও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব অসামান্য। তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি পথের পাঁচালী-কে হয়তো আমরা শিশুসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত করতে পারব না, কিন্তু অপু নামক চরিত্রটির শৈশব থেকে কৈশোরে উত্তীর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয় চিরনবীনের যে মানসজগৎ, বাংলা তথা আন্তর্জাতিক সাহিত্যে তার তুলনা মেলে কি? পথের পাঁচালী এবং তার শিশুপাঠ্য সংস্করণ আম আঁটির ভেঁপু-কে সরিয়ে রেখে এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে লেখকের পাঁচটি উপন্যাস এবং দশটি ছোটোগল্প। প্রথম উপন্যাস চাঁদের পাহাড়-এ অজপাড়াগাঁয়ের ছেলে শংকর পূর্ব আফ্রিকায় পাড়ি দিয়ে জড়িয়ে পড়ে একের পর এক দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চারে। দ্বিতীয় উপন্যাস মরণের ডঙ্কা বাজে-তে দুই বন্ধু সুরেশ ও বিমলের জীবন বারে বারে বিপন্ন হয় দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধকালীন চিন-জাপান সংঘর্ষের সুত্র ধরে। তৃতীয় উপন্যাস মিসমিদের কবচ-এ শ্যামপুর গ্রামের গাঙ্গুলী মশায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নামে সুশীল। চতুর্থ উপন্যাস হীরামানিক জ্বলে-তে দুঃসাহসী যুবক সুশীল ও তার ভাই সনৎ গুপ্তধেনর সন্ধানে পশ্চিম দেশের এক নাবিক জামাতুল্লার সঙ্গে পৌঁছোয় সুলু সি-তে বনজঙ্গলময় এক দ্বীপে। পঞ্চম উপন্যাস সুন্দরবনে সাত বৎসর-এ বিভূতিভূষণ অ্যাডেভঞ্চারের গল্প বলার পাশাপাশি ফুটিয়ে তুলেছেন প্রকৃতির অনুপম রূপলাবণ্য।
হিরণ্ময় ভট্টাচার্য
এক বর্ষার রাতে চৌধুরি বাড়ি চুরি করতে গিয়ে গোবরের গর্তে পা হড়কে পড়ে গেল কানাপদ। ব্যর্থমনোরথ কানাই বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাতে শেতলা মন্দিরের বারান্দায় উঠে আবিষ্কার করল ছিঁচকে চোর পাঁচু দেবতার বরে অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা লাভ করেছে। নিদারুণ অভিমানে চুরিতে ইস্তফা দিল কানাই। সাম্বাদ্বীপে গিয়েছিল একটা লোক। সেখানে সোনার ঢেঁকি ও নাদা দেখেছিল সে। চিচিঙ্গের মতো লংকা ও সুপুরির মতো সাইজের নারকেল। আরও অনেক অজানা তথ্য জানিয়েছিল লোকটা পটাদাকে। গোপেন দারোগা ঘুমকাতুরে। তাঁর দাবি তাঁর সুশাসনের ফলেই ব্রিজপুকুর এলাকায় চুরি ছ্যাঁচড়ামি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার শুরু হল চৌর্যকর্ম। গোপেন দারোগার ঘুমের দফারফা। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তাঁরই বাল্যবন্ধু পুলিশে চাকরি না-পাওয়া উপেন। পটাদা নিজেকে গ্লোবট্রটার বলে দাবি করেন গল্পখোর রুবি, রণেন আর কিঙ্কিনীদের কাছে। মাসাইমারা জঙ্গল, তিব্বত, সাহারা মরুভূমি সবই নাকি তাঁর নখের আয়নায়। টাইম মেশিনে চেপে আসা ইডেনের অধিবাসীদেরও চাক্ষুষ করেছেন তিনি। তাঁরই কল্যাণে নাকি প্লুটোনিয়াম বোমার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পৃথিবী। মালয়েশিয়ার রাবার ফ্যাক্টরির কুলিদের ভূতের উপদ্রব থেকে একবার রক্ষা করেছিলেন পটাদাই। শেষ ট্রেন থেকে নেমে অন্ধকার রাতে বাড়ি ফেরার সময় ভূতের কবলে পড়ল পিলেকান্ত। নিজেকে ‘ড্রাগন’ পরিচয় দিয়েও রক্ষা পেল না। হাতে ছিল সাইকেলের পাম্পার। বুদ্ধি খাটিয়ে সেটাকেই কাজে লাগাল সে। কীভাবে? পাঁচুর লাঙলের ফালে বেধে একদিন উঠে এল সন্দেহজনক একটা পিতলের কলসি। তারপর? এরকমই পঁচিশটি দমফাটা হাসির গল্পে বিচিত্র সব চরিত্রের দেখা মিলবে এই বইয়ে।
Reviews
There are no reviews yet.