বিপাশা পাতাপুকুর পঞ্চায়েতের পোড়াঅশ্বত্থতলা গ্রামের মেয়ে। এবার কনককুমারী উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে বিজ্ঞান শাখায় তাকে ভরতি করে দিয়ে এসেছে সন্দীপন দাদা। এবারই বিপাশা ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে নির্বাচিত হয়েছে। সে ভেবে রেখেছে, কন্যাশ্রীর টাকা পেলে তার কিছু টাকা দিয়ে সে সন্দীপনদাদার জন্যে একটা নতুন সাইকেল কিনে দেবে। সাইকেলে চেপে সন্দীপনদাদা ভারত ভ্রমণে যাবে- এমনই স্বপ্ন দেখে বিপাশা। সন্দীপন খুব উপকারী মানুষ। বিয়ে-থা করেনি। গ্রামের লোকে তাকে ‘নবীন গান্ধী’ বলে ডাকে। কাঞ্চনপুর গ্রামের জগৎরঞ্জন প্রাইমারি স্কুলের চাকরিটা সন্দীপনকে করে দিয়েছিলেন গান্ধীদাদু।
বীরেন দাসের সঙ্গে মা-মরা মেয়ে আশামতীর তালেগোলে একদিন বিয়ে হয়ে গেল। আশামতী জানত না বীরেন চোর। ওর বাবা মুকুন্দ দাস চুরিই করত। পঞ্চায়েতপ্রধান বিপিন মাইতি পঞ্চাকে লাগিয়ে মেরে ফেলল বীরেনকে। আশামতীকে কুনজরে ধরেছিল বিপিন মাইতির। আশামতী অন্তঃসত্ত্বা, সে বাঁচতে চায়। সে জীবনের পাকেচক্রে পৌঁছে গেল একদিন সন্দীপনের কাছে। এই কাহিনি সন্দীপন, বিপাশা, আশামতী আর আশামতীর মধ্যে জলে-জঠরের ভিতর ভাসতে ভাসতে আত্মপ্রকাশে উন্মুখ এক নবীন সন্ন্যাসীর বেঁচে ওঠার রূপকথা!
Sabuj Pata-5 / সবুজ পাতা- 5 
Reviews
There are no reviews yet.