দুঃখময় জীবন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে, সমৃদ্ধি অর্জনের আশায়, রোগ নিরাময় ও সর্বজনীন মঙ্গলের জন্য সেই বৈদিক যুগ থেকে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ঋষি বা পুরোহিতের মাধ্যমে হোমযজ্ঞ পালন করে আসছেন।
বৈদিক ঋষিরা অনুধাবন করেছিলেন-হোমের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক শক্তির যে বিকাশ লাভ হয়, তা একদিকে ব্যক্তিকে তার আদর্শ অভিমুখে পরিচালিত করে, অন্যদিকে তার ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনকেও উদ্দেশ্য অনুযায়ী প্রভাবিত করে।
হোম মূলত চার প্রকার: সামবেদী, যজুর্বেদী, ঋগ্বেদী ও তান্ত্রিক। বঙ্গদেশে বৈদিক হোমের প্রচলন থাকলেও তন্ত্রোক্ত হোমের প্রাধান্যই বর্তমানে সর্বাধিক লক্ষ করা যায়। বর্তমান গ্রন্থে গ্রন্থকার শুধু যে ত্রিবেদীয় হোমবিধিকেই অভিন্ন সূত্রে গ্রথিত করেছেন তাই-ই নয়, বঙ্গদেশে বহুলপ্রচলিত তন্ত্রোক্ত হোমের বিধিনিয়মও বর্ণনা করেছেন প্রাঞ্জলভাবে।
তান্ত্রিক হোমে দশমহাবিদ্যা ও ভৈরব-ভৈরবীদের উদ্দেশ্যে আহুতি প্রকরণের যে উল্লেখ আছে, অত্যন্ত সুচারুভাবে তা বর্ণিত হয়েছে এই গ্রন্থে।
এই গ্রন্থপাঠে পুরোহিত ব্রাহ্মণদের পাশাপাশি ধর্মজিজ্ঞাসু যে-কোনো সাধারণ পাঠকও ঋদ্ধ হবেন নিশ্চিতভাবেই।
আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু / ACHARYA SANTYENDRA NATH BASU 
Reviews
There are no reviews yet.