Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.


₹120.00
পাঠমুকুল- ১ / Pathmukul 1
Out of stock
Meet The Author
Related products
পটাশগড়ের জঙ্গলে / PATASGARER JANGALE
ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই জয়পতাকাবাবুকে দেখে বীর বলে আদৌ মনে হয় না। কিন্তু তিনিই চমকে দিলেন যখন খেলার মাঠে একদিন মোলাকাত হয়ে গেল শহরের সবচেয়ে সাংঘাতিক জীব কালুর সঙ্গে। ভয়ংকর সেই ষাঁড়ের মুখোমুখি দিব্যি লড়ে গেলেন জয়পতাকাবাবু। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কালুর গুঁতোয় উড়ে গেলেন তিনি। শূন্যে বার দুই সামারসল্ট খেয়ে শেষমেশ সওয়ার হলেন সেই কালুরই পিঠে! দর্শকমণ্ডলীর তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে জয়পতাকাবাবুকে পিঠে নিয়ে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে থাকল কালু। শহর পেরিয়ে ঢুকে পড়ল পটাশগড়ের ভয়াবহ জঙ্গলে। তারপর? রোমহর্ষক সেই ঘটনা জানতে হলে পড়তেই হবে পটাশগড়ের ভয়াবহ জঙ্গলে ।
ভূতের চিকিৎসা / BHUTER CHIKITSHA
হিরণ্ময় ভট্টাচার্য
এক বর্ষার রাতে চৌধুরি বাড়ি চুরি করতে গিয়ে গোবরের গর্তে পা হড়কে পড়ে গেল কানাপদ। ব্যর্থমনোরথ কানাই বৃষ্টি থেকে মাথা বাঁচাতে শেতলা মন্দিরের বারান্দায় উঠে আবিষ্কার করল ছিঁচকে চোর পাঁচু দেবতার বরে অদৃশ্য হওয়ার ক্ষমতা লাভ করেছে। নিদারুণ অভিমানে চুরিতে ইস্তফা দিল কানাই। সাম্বাদ্বীপে গিয়েছিল একটা লোক। সেখানে সোনার ঢেঁকি ও নাদা দেখেছিল সে। চিচিঙ্গের মতো লংকা ও সুপুরির মতো সাইজের নারকেল। আরও অনেক অজানা তথ্য জানিয়েছিল লোকটা পটাদাকে। গোপেন দারোগা ঘুমকাতুরে। তাঁর দাবি তাঁর সুশাসনের ফলেই ব্রিজপুকুর এলাকায় চুরি ছ্যাঁচড়ামি একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আবার শুরু হল চৌর্যকর্ম। গোপেন দারোগার ঘুমের দফারফা। তাঁকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তাঁরই বাল্যবন্ধু পুলিশে চাকরি না-পাওয়া উপেন। পটাদা নিজেকে গ্লোবট্রটার বলে দাবি করেন গল্পখোর রুবি, রণেন আর কিঙ্কিনীদের কাছে। মাসাইমারা জঙ্গল, তিব্বত, সাহারা মরুভূমি সবই নাকি তাঁর নখের আয়নায়। টাইম মেশিনে চেপে আসা ইডেনের অধিবাসীদেরও চাক্ষুষ করেছেন তিনি। তাঁরই কল্যাণে নাকি প্লুটোনিয়াম বোমার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পৃথিবী। মালয়েশিয়ার রাবার ফ্যাক্টরির কুলিদের ভূতের উপদ্রব থেকে একবার রক্ষা করেছিলেন পটাদাই। শেষ ট্রেন থেকে নেমে অন্ধকার রাতে বাড়ি ফেরার সময় ভূতের কবলে পড়ল পিলেকান্ত। নিজেকে ‘ড্রাগন’ পরিচয় দিয়েও রক্ষা পেল না। হাতে ছিল সাইকেলের পাম্পার। বুদ্ধি খাটিয়ে সেটাকেই কাজে লাগাল সে। কীভাবে? পাঁচুর লাঙলের ফালে বেধে একদিন উঠে এল সন্দেহজনক একটা পিতলের কলসি। তারপর? এরকমই পঁচিশটি দমফাটা হাসির গল্পে বিচিত্র সব চরিত্রের দেখা মিলবে এই বইয়ে।
HATIRA ELO KOLKATAY / হাতিরা এল কলকাতায়
শিশির মজুমদার
হাতিরা কি কখনো কলকাতায় এসেছিল? আর বাঘেরা? ওরেব্বাবা! যদি এসে থাকে, তাহলে সে-তো একেবারে হুলুস্থুল কাণ্ড! কেলেঙ্কারিও বলা যেতে পারে। আচ্ছা, তাহলে মানুষেরা তখন কী করছিল? তারা কি মজা দেখছিল? নাকি প্রাণ নিয়ে পালানোর জন্য দিয়েছিল চোঁ-চাঁ দৌড়? জানতে গেলে পড়তে হবে খুব ছোটোদের জন্য লেখা মন ভালো করে দেওয়া এই গল্পের বইটি।
হুতোমনামা (Hutomanama)
সম্পাদনা: জীবানন্দ চট্টোপাধ্যায়
হুতোম পেঁচার নকশা-র প্রকৃত লেখক কে? শতবর্ষ পূর্বে এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল। শতবর্ষ পেরিয়ে হুতোমের প্রকৃত পরিচয়ের সন্ধানে আজও অনুসন্ধিৎসু বিবিদিষু পাঠক।এ গ্রন্থে সেই অনুসন্ধানে ব্রতী এক জিজ্ঞাসু পথিক।
DINGI NOUKA – PRATHAM BARSHA ( ডিঙ্গিনৌকো – প্রথম বর্ষ )
সম্পাদনা: সুনির্মল চক্রবর্তী
আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রকোপে ছিন্নভিন্ন ঋতুচক্র, যখন মানুষের অপরিমিত লোভ নিঃশেষ করছে ভূগর্ভের জলস্তর, যখন খরা, বন্যা আর যুদ্ধে বিপন্ন মানবজাতি, তখন একমাত্র ছোটোরাই পারে স্বপ্ন দেখতে। তারাই পারে নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখাতে। নতুন এই ডিঙিনৌকো তাদের বাহন। এতেই সওয়ার হয়ে তারা একদিন ঠিক খুঁজে নেবে সম্ভাবনার নতুন সমুদ্র আর তারায় ভরা নতুন আকাশ।
উপেন্দ্রকিশোরের সেরা সন্দেশ / Upendrakishorer Sera Sandesh
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
Reviews
There are no reviews yet.