প্রভাসচন্দ্র ধর
চোদ্দোটি গল্প। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, বিভিন্ন কালের ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরের। চল্লিশ বছর ধরে লেখা কিছু গল্প থেকে বাছাই করা। চরিত্রে আছে নর-নারী, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, সমতলবাসী-গিরিবাসী ও দুটি চড়াইও।
₹120.00 ₹96.00
প্রভাসচন্দ্র ধর
চোদ্দোটি গল্প। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, বিভিন্ন কালের ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরের। চল্লিশ বছর ধরে লেখা কিছু গল্প থেকে বাছাই করা। চরিত্রে আছে নর-নারী, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, সমতলবাসী-গিরিবাসী ও দুটি চড়াইও।
প্রভাসচন্দ্র ধর
চোদ্দোটি গল্প। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, বিভিন্ন কালের ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরের। চল্লিশ বছর ধরে লেখা কিছু গল্প থেকে বাছাই করা। চরিত্রে আছে নর-নারী, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, সমতলবাসী-গিরিবাসী ও দুটি চড়াইও।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সৌম্য ভট্টাচার্য
দাদুর বাড়ির বাগানে পুকুর থেকে উঠে আসা একটা বুড়ো বটগাছ। জলের নীচে তার হাঁ-করা ফোকর গলে দুই বোন ডোরা আর ডোনা_তাদের দুই বন্ধু মিতুল ও নীলুর সঙ্গে_আচমকাই পৌঁছে যায় চির কুয়াশার এক দেশে। সর্বনেশে সে-দেশে অত্যাচারী মকররাজ খোক্কোসদের বিষাক্ত রাজ্যপাট কায়েম করে রেখেছে সেনাপতি কালাপাহাড়ের নির্মম অত্যাচার আর ন্যায়াধীশ শেয়ালপণ্ডিতের ধূর্ত কারসাজিতে। যক্ষপুরীতে গোপন কক্ষে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ তারাই বন্দি করে রাখে বাংলা মাকে।বাচ্চাদের ওপরেই পড়ে আবহমান বঙ্গের স্তন্যদায়িনী সেই মায়ের ভাঙা বুক জোড়া লাগানোর ভার। বাথুয়া_এক সুবিশাল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার_সহায় হয় তাদের। সঙ্গী হয় লক্ষ্মীপ্যাঁচা সুষমা, সনাতন ভোঁদড়, কুমির-গিন্নি, ছুচোঁ, ইঁদুর, এমনকী বনের আর সব পশুপাখিও। কিন্তু ছোটো ছোটো এই চারটি ছেলে-মেয়ে কি পারবে মকররাজের পরাক্রান্ত সাম্রাজ্যের ভিত টলিয়ে দিতে? রবীন্দ্রনাথের রাখিসংগীতেই কি আছে সেই জাদুশক্তি যা চির কুয়াশাময়, হতাশ সে-দেশে নিয়ে আসবে আশার নতুন আলো? বাংলার চিরকালীন রূপকথা আর শিশুসাহিত্যের নির্যাস নিয়ে লেখা এক আশ্চর্য উপন্যাস, যা একইসঙ্গে ফ্যান্টাসি, স্যাটায়ার, আবার ব্যাপ্ত ক্যানভাসে আঁকা দুর্ধর্ষ, রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চারও।
গবেষণার তত্ত্বতালাশ শুধু ভাবী গবেষকদেরই সহায়ক গ্রন্থ নয়, যাঁরা কোর্স ওয়ার্ক এবং রিসোর্স পার্সন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাঁদেরও কাজে লাগবে ।
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
অন্নদাশঙ্কর রায়
অন্যান্য ভ্রমণকাহিনির থেকে পথে প্রবাসে-র স্বাতন্ত্র্য এইখানেই যে, অন্নদাশঙ্করের চোখ শুধু অবলোকন করেই থেমে থাকেনি, তা তাঁর মনকে প্ররোচিত করেছে অনুভবী বিশ্লেষণে। প্রাচ্য পাশ্চাত্যের নিরন্তর তুলনা করে তিনি উপনীত হয়েছেন গভীর দার্শনিক উপলব্ধিতে।
যখন অন্নদাশঙ্কর লেখেন, ‘পৃথিবী দিন দিন বদলে যাচ্ছে, মানুষ দিন দিন বদলে যাচ্ছে_কিন্তু উন্নতি? প্রগতি? পারফেকশন? তা কোনোদিন ছিলও না, কোনোদিন হবারও নয়়’, তখন আমরা অনুভব করি ইতিহাস সচতেন তো তিনি বটেই, সেই সঙ্গে পরম প্রজ্ঞাময় এক দ্রষ্টাও।
পঞ্চান্নটি তীক্ষ্ণ অথচ স্বাদু নিবন্ধের সংকলন প্রিয় গদ্য পাঠকের কাছে এক আনন্দ সফর, যেখানে তিনি নিজের অজান্তেই পার হয়ে যেতে থাকেন ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি ও দর্শনের এক – একটি অমোঘ দিকচিহ্নখচিত জাদুস্টেশন ।
Notifications
Reviews
There are no reviews yet.