সম্পাদনা অমিত ভট্টাচার্য
কলহনের রাজতরঙ্গিণী তদানীন্তন কাশ্মীরের সমাজ-ইতিহাসের দলিল। আগামী দিনের সমাজ-গবেষকের গবেষণার বিষয়বস্তুও বটে। সুশাসন এবং অপশাসন দুটোই পাঠকের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে। সুশাসকের জয় এবং অপশাসকের নিন্দামন্দ ক্ষমতার শীর্ষে থাকা আধুনিককালের পদাধিকারীদেরও রাস্তা দেখায়। এখানে পাঠক উপলব্ধি করেন যে, রাজারাজড়াদের ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। ন্যায়নীতির পৃষ্ঠপোষক এবং দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কুশীলবদের চরিত্রচিত্রণের ক্ষেত্রে লেখকের অনবদ্য মুনশিয়ানাতেও পাঠক বিস্মিত হন। দুর্ভিক্ষাদি সংকটকালে দেশবাসীর ভরসা যে প্রচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মানুষ_ইতিহাসপ্রণেতা কলহন তা প্রতিপন্ন করেছেন। মুদ্রা, জালমুদ্রা, যুদ্ধবিগ্রহ, অপরাধপ্রবণতা, গুপ্তচরবৃত্তি, সজ্ঞানে অপরকে প্রতারিত করার পাশাপাশি মন্দির-উদ্যান-বিহার নির্মাণ, খালখনন, জলবণ্টন ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি ভেদে অমা-উমা উভয়ই চিত্রিত হয়েছে গ্রন্থটিতে। নিরপেক্ষ বিচারবুদ্ধি, তথ্যবিন্যাস এবং দেশ ও জাতি সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য তথ্যসমূহের নিবিড় পরিচয়ই ঐতিহাসিককে প্রকৃত ইতিহাস রচনায় প্রেরণা জোগায়। এর সব গুণই কলহনের ছিল। কাশ্মীর সম্বন্ধে যা কিছু জানবার কলহন তা যথাসাধ্য পরিবেশন করেছেন। শান্তরসপ্রধান এই রচনা ইতিহাস ও মহাকাব্যের দ্বৈতমর্যাদায় ভূষিত।
Reviews
There are no reviews yet.