অধ্যাপক উডের হাত ধরে এক মহত্তম শিল্পীর জগতে এই পরিক্রমা আমাদের। একইসঙ্গে সারগর্ভ ও সুখপাঠ্য কিংবদন্তী এই গ্রন্থটি পাশ্চাত্যে সত্যজিৎ-চর্চার একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হয়ে আছে। সত্যজিতের সামগ্রিক মনোভঙ্গি ও বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ট্রিলজি যে ‘চাবিকাঠি’র ভূমিকা পালন করে, এখানে দুর্জ্ঞেয় সেই জগতের যবনিকা উন্মোচন ধীরে ধীরে। চলচ্চিত্রশিল্পের জ্যামিতিক শর্তগুলি কীভাবে পালিত হয়েছে সত্যজিতের ছবিতে, তাও জানতে পারেন দর্শক উডের সৌজন্যে। আর শত বিশ্লেষণ সত্ত্বেও উড ছুঁয়ে যান ট্রিলজির প্রাণস্পন্দন। দূরতিক্রম্য সাংস্কৃতিক বাধা পেরিয়ে উড পৌঁছে যান_সত্যজিতের প্রতিটি দৃশ্যের শাঁসে ভরা ঐশ্বর্যের পরিপূর্ণ আস্বাদনের লক্ষ্যে_এক বিরল অবস্থানে, সত্যজিতের অবিচ্ছেদ্য সমগ্রতার খুব কাছাকাছি।
অনুবাদক চিন্ময় গুহর জন্ম ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের ভূতপূর্ব প্রধান। সেইসঙ্গে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফরাসিবিদ হিসেবে পরিচিত। দিল্লির ফরাসি দূতাবাসে প্রকাশনা-অধিকর্তা ছিলেন। আলিয়াঁস ফ্রাঁসেজ-এ ফরাসি ভাষায় অধ্যাপনা করেছেন এক দশকেরও বেশি সময়। টি এস এলিয়ট সম্পর্কিত বইটি বিদ্বৎসমাজে সমাদৃত। অন্যান্য অনুবাদ : ‘লা রোশফুকোর মাক্সিম’, ‘ফ্লবেরের আহাস্মকের অভিধান’, ‘আঁদ্রে জিদের শীর্ণ তোরণ’, ‘রম্যাঁ রলাঁর দাঁতঁ’, ‘রম্যাঁ রলাঁ-কালিদাস নাগ পত্রাবলী’। প্রবন্ধগ্রন্থ : ‘চিলেকোঠার উন্মাদিনী’, ‘ওাঢ় শঙ্খের খোঁজে’। ফরাসি সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন নাইটহুড অব অ্যাকাডেমিক পামস সম্মান। অনুবাদের জন্য লীলা রায় পুরস্কার এবং ডিরোজিও দ্বিশতবর্ষ সম্মান।
            
            
            
            
            
            
Reviews
There are no reviews yet.