• 0 Items - 0.00
    • No products in the cart.

200.00

গৌড়গোধূলি / GOURGODHULI

গৌড়ের পতন

সৌম্য ভট্টাচার্যর
   অনবদ্য ঐতিহাসিক থ্রিলারে

বাংলা উপন্যাস সম্প্রতি নাগরিক প্রেমের গতানুগতে হাঁফাইয়া মরিতেছে, এমন একটি শোক-প্রস্তাব শুনা যায়। সৌম্য ভট্টাচার্যের গৌড়গোধূলি (পারুল) তাহার বিপক্ষে দাঁড়াইতে পারে।… ইহা বলিতেই হইবে ইতিহাসাশ্রয়ী বিষয়ে এবং উপস্থাপনে বাংলা সাহিত্যের সাম্প্রতিকে এই উপন্যাস নূতন ধরনের।

খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর শেষপর্বে গৌড়বঙ্গে সেন সাম্রাজ্যের পতনকাল ইহার ইতিহাস-প্রেক্ষিত। কেন্দুবিশ্বের কদম্বখণ্ডীর ঘাটে যে ভাবে উপন্যাসের ঘটনা-উন্মোচন করিয়াছেন ঔপন্যাসিক তাহা সহসা বঙ্কিমচন্দ্রকে মনে পড়াইয়া দেয়। প্লটনির্মাণ এবং দৃশ্যকল্পনায়ও লেখকের শক্তি প্রশংসনীয়।

বইপোকা, আনন্দবাজার পত্রিকা

Out of stock

Share

Meet The Author

"শচীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য ও প্রয়াতা লীলা ভট্টাচার্যর কনিষ্ঠ পুত্র সৌম্য ভট্টাচার্যর জন্ম কলকাতায়, ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ডিসেম্বর। স্কুলের পড়াশোনা পাঠভবন ও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে মেডিসিনে এম ডি। এরপর সাগরপাড়ি। ১৯৯৫ থেকে দীর্ঘ দশ বছর ইংল্যান্ডে থাকার সময় এম আর সি পি, এফ আর সি প্যাথ এবং হেমাটোলজিতে সি সি এস টি লাভ। অতঃপর রয়‍্যাল ওল্ডহ্যাম হসপিটালে (যেখানে বিশ্বের প্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্মগ্রহণ করে) আড়াই বছর কনসালট্যান্ট হেমাটোলজিস্টের দায়িত্বপালন। তারপর গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সিয়াটলের ফ্রেড হাচিনসন ক্যানসার সেন্টার-এ বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ওপর ফেলোশিপ করার পর দেশে ফিরে আসা। বর্তমানে কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনিগল্স হসপিটালে হেমাটোলজি ও হেমো-অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান। শখ গান শোনা, রবীন্দ্রসংগীতচর্চা ও দেশভ্রমণ। গৌড়গোধূলি তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস না-হলেও এ গ্রন্থেই ড. ভট্টাচার্যর যথার্থ সাহিত্যাভিষেক। বাংলার চিরকালীন রূপকথা আর শিশুসাহিত্যের নির্যাস নিয়ে লেখা তাঁর পরবর্তী উপন্যাস চির কুয়াশার দেশে একইসঙ্গে ফ্যান্টাসি, স্যাটায়ার, আবার ব্যাপ্ত ক্যানভাসে আঁকা দুর্ধর্ষ, রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চারও।"

খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দী।
পরাক্রান্ত গৌড় সাম্রাজ্যে ঘুণ ধরেছে।
সিংহাসনে আসীন অশীতিপর লক্ষ্মণ সেন এবং তাঁর দুই পুত্র যুবরাজ কেশব ও বিশ্বরূপ অনুসৃত ব্রাহ্মণদের নির্বিচার ভূ-দান নীতি সাম্রাজ্যের কোণে কোণে ধূমায়িত করছে অসন্তোষ। রাজধর্ম পালনের নামে চলছে প্রজাপীড়ন। ক্ষুব্ধ বণিককুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে দেশ, ধসে পড়ছে সেন সাম্রাজ্যের বাণিজ্যিক ভিত। রাজধানী লক্ষ্মণাবতী প্লাবিত হচ্ছে অক্ষম কবিকুল সৃজিত শৃঙ্গার রসে। নব্য ও প্রাচীন কবিদের মধ্যে ক্রমেই তীব্রতর রাজানুগ্রহলাভের প্রতিযোগিতা। ব্যতিক্রমী একজনই। তিনি ইতিহাসপুরুষ জয়দেব।
ওদিকে পাটরানি বল্লভা লিপ্ত হয়ে পড়ছেন একের পর এক অবৈধ সম্পর্কে। রাজসভাতে তো বটেই, রাজ অবরোধেও বুনে চলা হচ্ছে প্রতিবিপ্লবের বীজ! সহজযানীরা যবনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে উৎখাত করতে চাইছে বৌদ্ধ-উৎপীড়ক সেন রাজাদের।
এক অস্থির সন্ধিক্ষণের দিকে এগিয়ে চলেছে বাঙালির ইতিহাস। নীচতা-শঠতা-আত্মোৎসর্গ-মহত্ত্ব-ষড়যন্ত্র মিলেমিশে একাকার যেখানে। গৌড়ের বুকে নেমে আসছে এক অদ্ভুত আঁধার।
পরিবর্তনমুখর সে-অন্ধকারই কালক্রমে সচকিত হয়ে উঠবে অষ্টাদশ অশ্বের হ্রেষাধ্বনিতে।


মিতায়িত অধ্যায় পরম্পরায় প্রায় থ্রিলারের গতিতে একই ঐতিহাসিক সময়কালে ঘটে চলা বহুবিচিত্র ঘটনাস্রোতকে কথক এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিণাম অভিমুখে। সচেতনভাবেই মধ্যযুগীয় ইতিহাসে কথক কোথাও জাগিয়ে তুলেছেন নন্দীগ্রামের স্মৃতি, কোথাও বা লক্ষ্মণাবতীর কবিযশঃপ্রার্থী তরুণেরা হয়ে উঠেছেন পঞ্চাশের মধ্যরাতে কলকাতা শাসনকারী কবিকূলের প্রতিরূপ।

রাজপ্রাসাদের বিলাস বৈভবের অন্তরালে চলেছে হীন ষড়যন্ত্র, চেনা মানুষের মুখের আড়ালেঙ্গা ঢাকা দিয়েছে হীন শয়তান।… বাংলার রাজধানী বিধর্মীর হস্তগত হয়েছে, কিন্তু দূরে কেন্দুবিস্ব গ্রামে তখনও মন্দ্রিত জয়দেবের কণ্ঠস্বর, শ্রীধর দাসের সদুক্তিকর্ণামৃত-তে অনাগত কবিদের পদধ্বনি। ইতিহাসের আকর্ষক পুনর্নির্মাণে, বিচিত্রগামী আখ্যানসূত্রের কুশলী সন্নিবেশে প্রথম উপন্যাসেই সৌম্য যে-প্রত্যাশা জাগিয়েছেন, তাতে পাঠক উদগ্রীব হয়ে থাকবেন তাঁর পরবর্তী লেখার জন্য।

বইয়ের দেশ

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.