কবির নীরা ( KABIR NEERA )
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একই সঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
₹595.00 ₹476.00
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একইসঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
আজ যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যশস্বী ও কীর্তিমান, কীভাবে একদিন তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল আপনাপন শিক্ষা গুরুর নির্দেশনায় এ বইয়ে মিলবে তারই বিশ্বস্ত আলেখ্য | গল্প হয়েও যা সত্যি|
বহু অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবেই আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে ।
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একই সঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
মহাকবি সোমদেব ভট্ট
কথারূপ সরিৎসমূহের সাগর-ই কথাসরিৎসাগর। মহাকবি সোমদেব ভট্ট বিরচিত এই মহাগ্রন্থের স্বাদু অনুবাদ ও পুনঃকথন এই প্রথম বাংলায়। গল্পের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসছে আর-একটি গল্প। তা থেকে আরও একটি _এরকমভাবে গল্পের প্রবাহ সৃষ্টি করেছে অসংখ্য তরঙ্গের যারা মিলেমিশে তৈরি করেছে কথাসাহিত্যের এক অতলান্ত সমুদ্র যা বহু ক্ষেত্রেই আদি ও বীভৎসরসে সিঞ্চিত। এতৎসত্ত্বেও গৃহী পাঠকের জন্য এখানে উপস্থিত হিতকথা, নীতিবাক্য ও শাস্ত্রীয় উপদেশ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংকলন মাত্রেরই নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। চয়নিকা (১৯০৯) যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন তার আগে পর্যন্ত যে ক-টি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে সেগুলি থেকে চয়ন করে একশো তিরিশটি কবিতা গ্রহণ করা হয়।… এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান প্রেসে মুদ্রিত চয়নিকা জনসমাদর লাভে বঞ্চিত হয়নি। এরপর বিশ্বভারতী যখন তৃতীয় সংস্করণ চয়নিকা (১৯২৫) প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, তখন তাতে শুধু কবিতার সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, কবিতা নির্বাচনের রীতিরও বদল হয়েছে।… নব-কলেবর চয়নিকা-কে রবীন্দ্রনাথ মেনে নিলেও কবিতা-নির্বাচনের পদ্ধতি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের ভালো লাগেনি।… চয়নিকা বাজারে থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ নতুন কবিতা-সংকলনের কথা ভেবেছেন। আর তারই ফলে সঞ্চয়িতা-র পরিকল্পনা। এবার কবিতাগুলো সংকলনের ভার কবি নিজে নিয়েছেন।…সঞ্চয়িতা প্রথম প্রকাশের (১৯৩১) পর অন্যদের কথা সুরে থাক, রবীন্দ্রনাথেরও মনে হয়েছে, অনেক ভালো কবিতা সংকলনের বাইরে পড়ে রইল। পরের দুটি সংস্করণে কিছু গ্রহণ-বর্জন সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের অতৃপ্তি যায়নি।… বিশ্বভারতী প্রকাশিত সঞ্চয়িতা-র সীমাবদ্ধতা (যে-সীমাবদ্ধতার কথা রবীন্দ্রনাথ নিজে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে লেখা ভূমিকায় জানিয়েছেন) মনে রেখেও সঞ্চয়িতা-র যেহেতু কোনো বিকল্প নেই, আমরা সঞ্চয়িতা পুনর্মুদ্রণের কাজে অগ্রসর হয়েছি।…স্থান সংকুলানের বাধ্যতায় ‘সংযোজন’ অংশে মাত্র আঠারোটি কবিতা রাখতে সক্ষম হয়েছি।… ‘পাঠ-পরিচয়’ অংশে যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে রবীন্দ্রনাথের নিজের দেওয়া কাব্যব্যাখ্যা. অন্যক্ষেত্রে বিশিষ্ট সমালোকদের মন্তব্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়েতা রবীন্দ্রকাব্য-প্রবেশিকা হিসেবে এই অংশের কিছু মূল্য আছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজর্ষি রবীন্দ্রনাথের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। অল্প বয়সের লেখা হলেও এর কাহিনি আজও পাঠকসমাজে সমাদৃত। এর নাট্যরূপ বিসর্জন আজও নাট্যরসিকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উপন্যাসটি প্রথম ছাপা হয়েছিল বালক পত্রিকায়_কিন্তু অসম্পূর্ণ রয়ে যায় এর কাহিনি। এই কাহিনির সূত্র কবি পেয়েছিলেন স্বপ্নের মধ্যে। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশের পর কবির মনে হয়েছিল এটি সম্পূর্ণ করতে হবে এবং তা করতে হলে জানা প্রয়োজন ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস। সেজন্য তিনি ত্রিপুররাজ গোবিন্দমাণিক্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। সেখান থেকে রাজপরিবারের ইতিবৃত্ত তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হলে রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষিকে সম্পূর্ণ করেন। স্বপ্ন ও ইতিহাসে ঘটে যায় এক অনবদ্য মেলবন্ধন। রচনা-ইতিহাসের নথি, বালক পত্রিকায় প্রকাশিত অবিকল প্রতিলিপি এবং আনুষঙ্গিক চিত্রাদিসহ রাজর্ষির সম্পূর্ণ পাঠ এই প্রথম কোনো সংস্করণে গৃহীত হল। রাজর্ষি-র পাঠে বহু পরিবর্তন ঘটেছে_তার ইতিকথাও সম্পাদকীয় ভূমিকায় সবিস্তারে আলোচিত। এই প্রথম উপন্যাসটির রসগ্রাহী আলোচনাসহ একটি সুমুদ্রিত সংস্করণ পাঠকের কাছে উপস্থাপিত হল ঠাকুর ও মাণিক্য পরিবারের অনুপম সংযোগসূত্রে।
সম্পাদনা ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
যে রাজনৈতিক স্লোগান বা সংহত, সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক বার্তা সুকান্তর কবিতায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তা তখনকার উদ্দীপ্ত জনজীবনের স্বপ্নেরই বার্তা, তখনকার সময়েরই দান। তাঁর কবিতায় হয়তো কখনো কখনো রং-তুলির কৈশোরক স্পর্শ কম লেগেছে, কিন্তু আন্তরিকতার অভাব ছিল না। রাজনীতি আর কাব্যিক আবেগের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয়নি তাঁর। কেনই বা মনে হবে! জীবন-স্বপ্নই তো রাজনীতি। আর, সুকান্ত-র কাছে তাঁর কবিতা তো সেই জীবন-স্বপ্নেরই প্রকাশ। যে ছাড়পত্র দিয়ে কবিতার আসরে নেমেছিলেন তিনি, তাতে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি_ নবজাতকের কাছে’_এই অঙ্গীকারই ছিল। মাটির রসের মধ্যে ভাবী বনস্পতির সম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণেই তিনি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘যদিও রক্তাক্ত দিন, তবু দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে/এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।’ যে ‘বলিষ্ঠ’ শিশুদের জন্যে বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, সেই শিশুদেরই তাঁর কবিতায় দেখা গেল অশ্বত্থ-শিশুর প্রতীকে। উদ্ধত প্রাচীন প্রাসাদের গায়ে অবাধ্য ফাটল ধরিয়ে গোপন শক্তির বারুদ জমিয়ে তারা রক্ত-ঘাম-চোখের জলের ধারায় বিদ্রোহের দূত হয়ে আসছে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।
ঔপন্যাসিক স্বয়ং যখন চয়ন করে নেন তাঁর উপন্যাসমালার এক-একটি আখ্যান, তখন নিশ্চিতভাবেই সেই নির্বাচনের পিছনে কোনো–না-কোনো অভিপ্রায় কাজ করে। ‘শ্রীবুদ্ধদেব গুহর স্বনির্বাচিত উপন্যাস’ (প্রথম খণ্ড) আমাদের বিস্ময় উদ্রেক করেছিল। সাতটি উপন্যাস নিয়ে শুরু হয়েছিল যে-সিরিজ, তাঁর দ্বিতীয় খণ্ডে এসে রচিত হয় এমন এক জীবন যে- জীবনকে ঘিরে এমন এক বহুমাত্রিক আখ্যান, যার সহস্র দ্বার অবারিত। উপন্যাসের এই সহস্র দুয়ার দিয়ে পাঠক পরিভ্রমণ করেন কথাসাহিত্যের ভুবনে।
Reviews
There are no reviews yet.