• 0 Items - 0.00
    • No products in the cart.
PreorderSaleNew

225.00

স্মৃতির ব্যালকনি / SMRITIR BALCONY

BOOK PUBLISHED ON: August 27, 2025
Share

Meet The Author

"অনিমেষ কুমার চৌধুরীর জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া জেলার জয়পুর গ্রামে। পড়াশোনা করেছেন জয়পুর ফকিরদাস ইনস্টিটিউশন ও আমতা রামসদয় কলেজে। অতঃপর কলকাতায় এসে এনআইআইটি-তে নেওয়া তথ্যপ্রযুক্তির পাঠ। ছোটোবেলা থেকেই গান, কবিতা ও অভিনয়ে। গভীর আগ্রহ। পড়াশোনা করতে করতেই চুটিয়ে অভিনয় করেছেন শখের যাত্রাপালায়। সেইসঙ্গে চলেছে কবিতা পড়া ও লেখার নিয়মিত চর্চা। বিশিষ্ট অভিনেতা, আবৃত্তিকার তথা বাচিক শিক্ষক সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য তাঁকে আমূল বদলে দেয়। ধীরে ধীরে সংস্পর্শে আসেন কবি শুভ দাশগুপ্ত, কল্যাণ সেন বরাট, দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, তরুণ মজুমদার-সহ আরও অনেক কৃতী মানুষের। কবিতা হয়ে ওঠে অনিমেষের প্রথম প্রেম। কবিতা লিখতে লিখতেই হঠাৎ করে গান লেখার প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। তাঁর কথায় ও সুরে গান গেয়েছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কুমার শানু। এছাড়া, তাঁর কথায় কণ্ঠদান করেছেন দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্য, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়তী চক্রবর্তী, শম্পা কুণ্ডু, সুস্মিতা গোস্বামী, সুজয় ভৌমিক, সৌম্য চক্রবর্তী, দেবারতি বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকানেক প্রখ্যাত শিল্পী। পেশাগত জীবনে দীর্ঘদিন একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান ছিলেন। বর্তমানে, একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ: মনের জানালা, বিরহী মন ও তোমার প্রতীক্ষায়। রাগা মিউজিক থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর জনপ্রিয় কবিতার অ্যালবাম: ভালো থেকো ও অনুভব। শখ বাগান করা।"

শিল্পের অন্তিম অভীষ্ট যদি সংযোগ হয়, অনিমেষ কুমার চৌধুরীর কবিতা সেখানে একলহমায় ছুঁয়ে নেয় পাঠকের হৃদয়।

একুশ শতকের এই দ্বিতীয় দশকে এসে, বাংলা কবিতা হিসেবে যা আমরা সচরাচর পড়ে থাকি সাময়িক পত্র-পত্রিকা কিংবা লিটল ম্যাগাজিনে, তার সঙ্গে অনিমেষের কবিতার মেজাজের দূরত্ব বিস্তর। অনিমেষ কোনো বিমূর্ত কাব্যভাষার পূজারি নন।

সাংকেতিকতার প্রাবল্যে প্রায় দুর্বোধ্য কোনো কবিতা রচনায় অনিমেষ বিশ্বাসী নন। তিনি বিশ্বাস রাখেন মানুষের ওপর, চর্চা করেন মানবিক যাবতীয় গুণাবলির। ফলত, তাঁর কবিতায় বারবার উঠে আসে আমাদের এই সময়, সমাজ, তার ক্ষয়িষু মূল্যবোধ এবং সেই সংকট থেকে মুক্তি তথা উত্তরণের উপায়।

বাঙালির হারিয়ে ফেলা অপাপবিদ্ধ শৈশব-কৈশোরও উঁকি মারে তাঁর কবিতার পংক্তিতে-‘হারিয়ে গেল শীতের বিকেল। পৌষের পিঠেপুলি,/হারিয়ে যাচ্ছে- অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, ঠাকুমার ঝুলি।’

প্রেমের উচ্চারণেও কবি অকপট-‘ঝরে পড়া রক্তের অক্ষরে’ তিনি কবিতা লিখতে চান ‘তোমাকেই শুধু তোমাকেই।।’ সমাজে নারীসুরক্ষার অভাব তাঁকে ব্যথিত করে। ‘বিধ্বংসী সভ্যতার উন্নাসিক অহংকার’ তাঁকে ত্রস্ত করে। তবু তিনি ‘আশার স্বপন’ দেখতে চান- ‘যুবসমাজের জাগ্রত তেজে। সরে যাবে অনাচার / হৃদয় বাগিচায় নীতির ফুল/সমাজে ন্যায় বিচার।’

কিন্তু এই যুবসমাজকে কে পথ দেখাবে? ‘বিবেক-অডিট’ করে তা জেনে নিতে চান কবি। স্বামী বিবেকানন্দকে আহবান করেন অনিমেষ আমাদের জীবন-অ্যাকাউন্ট অডিট করার জন্য। তাঁর পবিত্র স্পর্শেই একমাত্র ঘুচে যেতে পারে সমসময়ের যাবতীয় গ্লানি ও মালিন্য।

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.