বাংলা সাহিত্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাত দু’ভাবে পরিস্ফুট হয়েছে। প্রথমটি, সাধারণ সাহিত্যিকদের (civil authors) অভিজ্ঞতা ও অনুভবের বিবরণী; আর দ্বিতীয়টি ব্যত্যয়ধর্মী: প্রত্যক্ষ সমরাঙ্গনের বাস্তবতাকে নিরাসক্তির সঙ্গে সাহিত্যের পাতায় উপস্থাপন। বিশেষত, সৈনিকের কলমে দ্বিতীয় মহাসমর-জীবনের ‘কথামালা’, সরাসরি পাঠকের সামনে যাঁরা উপস্থাপন করেছিলেন তাঁদের সংখ্যা মুষ্টিমেয়। অকিঞ্চিৎকর। যেমন, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে (ফর হুম দ্য বেল টোল্স), এরিখ মারিয়া রেমার্ক (অল কোয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট, দ্য রোড ব্যাক, থ্রি কমরেডস), ভেরকর (সাইলেন্স অব দ্য সি), বরিস পলেভয় (দ্য স্টোরি অফ আ রিয়েল ম্যান), কনস্ট্যানটাইন সিমোনভ (জীবিত ও মৃত) প্রমুখ।
এই ধারার অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকেন্দ্রিক বাংলা সাহিত্যের বিরল প্রতিভাধর লেখক হলেন বরেন বসু (১৯১৬-১৯৮০)। এশিয়ার ফ্যাসিস্ট শক্তি জাপানের হাতে ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষ আক্রান্ত হলে ইংরেজ নিয়ন্ত্রিত ১৪৯-নং ব্যাটেলিয়নে বরেন বসু যোগ দিয়েছিলেন এপ্রিল, ১৯৪২-এ; যুদ্ধ শেষে ফিরে আসেন ১৯৪৬-এর আগস্টে। সৈনিক জীবনের ব্যতিক্রমী সাদা-কালো মিশ্রিত বর্ণময় অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে লিখলেন বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস রংরুট (১৯৫০)। তিন-চার বছরের মধ্যে ইংরেজি, জার্মানি, রুশ, চিনা, চেক-সহ পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভাষায় এই গ্রন্থ অনুবাদে হয়ে উঠল যুদ্ধবিরোধী শান্তি-আন্দোলনের আশ্চর্য হাতিয়ার!
ডবল টেনিদা / Double Tenida
₹300.00নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।
Reviews
There are no reviews yet.