রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভগ্নহৃদয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের এক ভাববিহ্বল কাব্য। পুস্তকাকারে এর পুনর্মুদ্রণ ঘটানো হয়নি নানা কারণে। অথচ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার আর ত্রিপুররাজ মাণিক্য পরিবারে মেলবন্ধনের সানন্দ সংযোগের যোগসূত্র এই কাব্যটি।
Subtotal : ₹496.00
₹200.00 ₹160.00
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভগ্নহৃদয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের এক ভাববিহ্বল কাব্য। পুস্তকাকারে এর পুনর্মুদ্রণ ঘটানো হয়নি নানা কারণে। অথচ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার আর ত্রিপুররাজ মাণিক্য পরিবারে মেলবন্ধনের সানন্দ সংযোগের যোগসূত্র এই কাব্যটি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ভগ্নহৃদয় রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনের এক ভাববিহ্বল কাব্য। পুস্তকাকারে এর পুনর্মুদ্রণ ঘটানো হয়নি নানা কারণে। অথচ জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার আর ত্রিপুররাজ মাণিক্য পরিবারে মেলবন্ধনের সানন্দ সংযোগের যোগসূত্র এই কাব্যটি।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
কবি সুধীন্দ্রনাথ ও তাঁর কবিতা নিয়ে অন্য ভাবনায় ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে একগুচ্ছ আলোচনা সংকলিত হল ধ্রুপদি কবি সুধীন্দ্রনাথ গ্রন্থে । |
সম্পাদনা ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
যে রাজনৈতিক স্লোগান বা সংহত, সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক বার্তা সুকান্তর কবিতায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তা তখনকার উদ্দীপ্ত জনজীবনের স্বপ্নেরই বার্তা, তখনকার সময়েরই দান। তাঁর কবিতায় হয়তো কখনো কখনো রং-তুলির কৈশোরক স্পর্শ কম লেগেছে, কিন্তু আন্তরিকতার অভাব ছিল না। রাজনীতি আর কাব্যিক আবেগের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয়নি তাঁর। কেনই বা মনে হবে! জীবন-স্বপ্নই তো রাজনীতি। আর, সুকান্ত-র কাছে তাঁর কবিতা তো সেই জীবন-স্বপ্নেরই প্রকাশ। যে ছাড়পত্র দিয়ে কবিতার আসরে নেমেছিলেন তিনি, তাতে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি_ নবজাতকের কাছে’_এই অঙ্গীকারই ছিল। মাটির রসের মধ্যে ভাবী বনস্পতির সম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণেই তিনি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘যদিও রক্তাক্ত দিন, তবু দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে/এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।’ যে ‘বলিষ্ঠ’ শিশুদের জন্যে বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, সেই শিশুদেরই তাঁর কবিতায় দেখা গেল অশ্বত্থ-শিশুর প্রতীকে। উদ্ধত প্রাচীন প্রাসাদের গায়ে অবাধ্য ফাটল ধরিয়ে গোপন শক্তির বারুদ জমিয়ে তারা রক্ত-ঘাম-চোখের জলের ধারায় বিদ্রোহের দূত হয়ে আসছে।
প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অন্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট্যরূপ দেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত্যাগের বীর্যের অধ্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।
আধুনিক বাংলা কাব্যের অনেক সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। সেইসব সংকলনে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে আধুনিক কাব্যের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করে পরবর্তীকালে কবিদের গ্রন্থভুক্ত করা হয়েছে। এই সংকলনের সম্পাদক পণ্ডিতবর্গের সেই সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে নিয়েছেন। আধুনিক যুগের কবিতা বলতে আমরা জেনেছি, একটি কালসীমা মাত্র নয়; বিশেষ কতকগুলি মনোভঙ্গি, যা রাষ্ট্র ও সমাজ-কাঠামোর পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে উদ্ভূত। ‘আধুনিক’ শব্দটি সময়নির্দেশক হলেও সময়ই এর একমাত্র পরিমাপক নয়। ‘আধুনিক কাব্য‘ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ‘বাঁক’ বা ‘মর্জি’র কথা বলেছেন। ‘বিশ্বকে ব্যক্তিগত আসক্তভাবে না দেখে বিশ্বকে নির্বিকার তদ্গতভাবে দেখা’ কাব্য সম্পর্কিত অনুভবের এটাই মূল কথা রবীন্দ্র-চিন্তনে। পরবর্তীকালে তাঁর কাব্যসম্পর্কিত মতাদর্শ আরও আলোচিত ও বিশ্লেষিত হয়েছে। আন্তর্জাতিকতা আধুনিকতার অন্যতম শর্ত। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যক্তি-মানসের প্রতিফলন ও আঙ্গিকচর্চা। আধুনিক কবিতা সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসু জানিয়েছেন, ‘একে বলা যেতে পারে বিদ্রোহের, প্রতিবাদের কবিতা, সংশয়ের, ক্লান্তির, সন্ধানের, আবার এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে বিস্ময়ের জাগরণ, জীবনের আনন্দ, বিশ্ববিধানে আস্থাবান চিত্তবৃত্তি।’ নির্দিষ্ট কোনো ছকে আধুনিক কবিতাকে বাঁধা সম্ভব নয়। বর্তমান সংকলনে মাইকেল মধুসূদন থেকে শুরু করে বিংশ শতকের শেষ দশকের কবিদের কবিতাও সংকলন-ভুক্ত করা হয়েছে এই লক্ষ্যে যে, দীর্ঘ কালসীমায় বিভিন্ন কবির রচিত কবিতায় কাব্যপ্রবাহের ধারাবাহিকতা ও বিবর্তনকে উপলব্ধি করা সহজতর হবে। বলা বাহুল্য, এই সংকলনে সম্পাদকের পরিকল্পনা, মর্জি এবং ভালো-লাগা নির্ভর করে কবি এবং কবিদের রচনা নির্বাচন করা হয়েছে। সে কারণে এ গ্রন্থের নামকরণ করা হয়েছে প্রিয় কবি প্রিয় কবিতা। এর ভালোমন্দের সবটুকু দায়-দায়িত্বই সম্পাদকের।
পারুল চিরায়ত কবিতা সংগ্রহ-র আত্মপ্রকাশ ‘ কবিতা ‘ —- এই শীর্ষকে । |
Reviews
There are no reviews yet.