সম্পাদনা: জীবানন্দ চট্টোপাধ্যায়
হুতোম পেঁচার নকশা-র প্রকৃত লেখক কে? শতবর্ষ পূর্বে এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল। শতবর্ষ পেরিয়ে হুতোমের প্রকৃত পরিচয়ের সন্ধানে আজও অনুসন্ধিৎসু বিবিদিষু পাঠক।এ গ্রন্থে সেই অনুসন্ধানে ব্রতী এক জিজ্ঞাসু পথিক।
₹150.00 ₹120.00
সম্পাদনা: জীবানন্দ চট্টোপাধ্যায়
হুতোম পেঁচার নকশা-র প্রকৃত লেখক কে? শতবর্ষ পূর্বে এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল। শতবর্ষ পেরিয়ে হুতোমের প্রকৃত পরিচয়ের সন্ধানে আজও অনুসন্ধিৎসু বিবিদিষু পাঠক।এ গ্রন্থে সেই অনুসন্ধানে ব্রতী এক জিজ্ঞাসু পথিক।
সম্পাদনা: জীবানন্দ চট্টোপাধ্যায়
হুতোম পেঁচার নকশা-র প্রকৃত লেখক কে? শতবর্ষ পূর্বে এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উঠেছিল। শতবর্ষ পেরিয়ে হুতোমের প্রকৃত পরিচয়ের সন্ধানে আজও অনুসন্ধিৎসু বিবিদিষু পাঠক।এ গ্রন্থে সেই অনুসন্ধানে ব্রতী এক জিজ্ঞাসু পথিক।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অন্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট্যরূপ দেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত্যাগের বীর্যের অধ্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।
চিত্রনাট্য ও ছবি সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
কাকাবাবুর কাছে এসেছে আল মামেন নামে এক মিশরীয়। উদ্দেশ্য, একটি দুষ্প্রাপ্য মিশরীয় লিপির পাঠোদ্ধার। আল মামেন সাধারণ ব্যবসায়ী নয়, সে নাকি মিশরের বিপ্লবী নেতা মুফতি মোহম্মদের শিষ্য। কাকাবাবুকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে মুফতি মোহম্মদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাবার ব্যবস্থা করল সে। কিন্তু কাকাবাবুকে কী যেন একটা সাংকেতিক লিপির ইঙ্গিত করে মারা গেলেন মুফতি মোহম্মদ। দুষ্প্রাপ্য সেই লিপির সাংকেতিক সূত্র ধরে কাকাবাবু আর সন্তু পৌঁছোল মিশরে। কী হল তারপর? রহস্যভেদে সন্তু-কাকাবাবু।
সৌম্য ভট্টাচার্য
দাদুর বাড়ির বাগানে পুকুর থেকে উঠে আসা একটা বুড়ো বটগাছ। জলের নীচে তার হাঁ-করা ফোকর গলে দুই বোন ডোরা আর ডোনা_তাদের দুই বন্ধু মিতুল ও নীলুর সঙ্গে_আচমকাই পৌঁছে যায় চির কুয়াশার এক দেশে। সর্বনেশে সে-দেশে অত্যাচারী মকররাজ খোক্কোসদের বিষাক্ত রাজ্যপাট কায়েম করে রেখেছে সেনাপতি কালাপাহাড়ের নির্মম অত্যাচার আর ন্যায়াধীশ শেয়ালপণ্ডিতের ধূর্ত কারসাজিতে। যক্ষপুরীতে গোপন কক্ষে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ তারাই বন্দি করে রাখে বাংলা মাকে।বাচ্চাদের ওপরেই পড়ে আবহমান বঙ্গের স্তন্যদায়িনী সেই মায়ের ভাঙা বুক জোড়া লাগানোর ভার। বাথুয়া_এক সুবিশাল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার_সহায় হয় তাদের। সঙ্গী হয় লক্ষ্মীপ্যাঁচা সুষমা, সনাতন ভোঁদড়, কুমির-গিন্নি, ছুচোঁ, ইঁদুর, এমনকী বনের আর সব পশুপাখিও। কিন্তু ছোটো ছোটো এই চারটি ছেলে-মেয়ে কি পারবে মকররাজের পরাক্রান্ত সাম্রাজ্যের ভিত টলিয়ে দিতে? রবীন্দ্রনাথের রাখিসংগীতেই কি আছে সেই জাদুশক্তি যা চির কুয়াশাময়, হতাশ সে-দেশে নিয়ে আসবে আশার নতুন আলো? বাংলার চিরকালীন রূপকথা আর শিশুসাহিত্যের নির্যাস নিয়ে লেখা এক আশ্চর্য উপন্যাস, যা একইসঙ্গে ফ্যান্টাসি, স্যাটায়ার, আবার ব্যাপ্ত ক্যানভাসে আঁকা দুর্ধর্ষ, রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চারও।
মূলত, শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা এই পঁচিশটি নির্বাচিত নাটককে ‘ছোটোদের নাটক’ হিসেবে অভিহিত করা হলেও, তা ছোটো-বড়ো নির্বিশেষে সকলেরই। এই সংগ্রহে আমরা যেমন পাব রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর-এর মতো চিরায়িত সৃজনকে, তেমনই আবার হেসে কুটিপাটি হব রাজশেখর বসুর ‘লম্বকর্ণ’ গল্প অবলম্বনে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরচিত ‘লম্বকর্ণ পালা’ পড়ে। সংকলিত নাটকগুলি একদিকে যেমন উৎকৃষ্ট নাট্যসাহিত্যের উজ্জ্বল উদাহরণ, তেমনই আবার তাদের প্রত্যেকে অভিনয়োপযোগী, মনোমুগ্ধকর ও হৃদয়-আকর্ষণকারী। এইভাবেই আমরা পেয়ে যাই প্রেমেন্দ্র মিত্র, লীলা মজুমদার, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, মুনীর চৌধুরী, সলিল চৌধুরী, শৈলেন ঘোষ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মোহিত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বরেণ্য কথা সাহিত্যিক ও নাট্যকারদের অনবদ্য সব সৃষ্টি। প্রকৃত সৃজনকর্মের মধ্যে ছোটো-বড়োর শিল্পগত প্রভেদ খুব একটা থাকে না। এই নাটকগুলির প্রতিটিই মঞ্চে সাফল্যের সঙ্গে অভিনীত হয়েছে। অর্থাৎ, সার্থক প্রযোজনার সকল উপকরণই এদের মধ্যে বিদ্যমান।
শিবরাম চক্রবর্তী
চিত্রনাট্য ও ছবি: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
হর্ষবর্ধন আর গোবর্ধন_দুই ভাইয়ের কীর্তি-কাহিনির এই দ্বিতীয় খণ্ডে পত্রবাহকের ভূমিকায় নাকাল হতে দেখা যাবে হর্ষকে। সেইসঙ্গে যুদ্ধে না-যাওয়ার জন্য গোবরার কেরামতি, বিদেশি গাড়ি কেনা, না-কেনা নিয়ে হর্ষর ধন্দ, সোনার ফসল ফলাতে তাঁর নিদারুণ পণ্ডশ্রম আর মিষ্টির দোকানের পাহারাদার হিসেবে গোবর্ধনের ‘কৃতিত্ব’-র মুখরোচক গল্প তো রয়েছেই! সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অননুকরণীয় চিত্রনাট্য ও ছবিতে শিবরাম চক্রবর্তীর কালজয়ী সৃষ্টি এবার কমিকসের পাতায়! পাতা উলটোলেই দমফাটা হাসির রোলে ফেটে পড়বে ছোটো থেকে বড়ো সব বয়সের পাঠক।
Reviews
There are no reviews yet.