(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র


₹100.00
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
(বিশ্বনাথা দয়োহনুসারতঃ)
ড. সাধনকুমার পাত্র
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
‘বঙ্গদর্শনের প্রথম অভ্যুদয়ে বাংলা দেশের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব আনন্দ ও আশার সঞ্চার হইয়াছিল, একটি সুদূরব্যাপী চাঞ্চল্যে বাংলার পাঠকহৃদয় যেন কল্লোলিত হইয়া উঠিয়াছিল। সে চেষ্টা স্বাধীন চেষ্টার আনন্দ।’ বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেছেন নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন প্রকাশের আগে। তারপর তাঁকে নিতে হয় বঙ্গদর্শন সম্পাদনার দায়িত্ব। বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন যেমন একসময় ‘আমাদের সাহিত্যপ্রাসাদের সিংহদ্বার’ খুলে দিয়ে নবযুগের সূচনা করেছিল, তেমনি বিশ শতকের প্রারম্ভে রবীন্দ্রাথের বঙ্গদর্শন আর এক নতুন যুগে প্রবেশের সুযোগ করে দিল। সেই নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে মননসমৃদ্ধ। অসামান্য প্রবন্ধসম্পদের জন্য। আমরা একালের পাঠককে সেই মননের জগতের সন্ধান দেওয়ার জন্য অধুনা দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা থেকে কয়েকটি প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছি। বাঙালির মননের ইতিহাসে এক মূল্যবান সংযোজন এই গ্রন্থ।
সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার
কৃষ্ণকলি তাঁর গানেই কালো হরিণ চোখ মেলে ত্রস্ত পায়ে বেরিয়ে আসে কুটির থেকে। কবির গান তাঁর উচ্চারণেই পায় প্রাণ, পায় উদ্দিষ্ট অভিমুখ। কিন্তু সুচিত্রা মিত্র শুধুই রবীন্দ্রসংগীতের সবথেকে সার্থক বাণীবাহকদের অন্যতম হয়ে আমাদের স্মৃতি জুড়ে অমলিন থাকবেন না। স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর লেখা, তাঁর আঁকা ছবির জন্যও। হ্যাঁ, আই পি টি এ এর গানের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কবির সুরের সেই সর্বোত্তম সাধক ছিলেন এক অসামান্য ছড়াকারও। ছবিও আঁকবেন তিনি সময় পেলেই। তেমনই কিছু ছড়া ও ছবি গ্রথিত হল এই সংকলনে। সঙ্গে রইল তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি আর কিছু দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্রের এক দুর্লভ অ্যালবাম।
রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ক আমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর হয়তো এ বইয়ে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যা পাওয়া যাবে, তার মূল্যও কিছু কম নয়। কবির গান সংক্রান্ত এতাবৎ সকল গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি একদিকে যেমন এ গ্রন্থ আত্মস্থ করেছে, তেমনই আবার আলোকিত করেছে বহু অনালোকিত ও অনালোচিত প্রসঙ্গ। শুধি কবির গান শুনে যাঁদের প্রাণ ভরে না, যাঁরা যেতে চান সেই গানের গভীরে, এই গ্রন্থ তাঁদের জন্য। আর যাঁরা খুঁজেত চান গানের ওপারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যিনি সেই পরমকে, তাঁরাও এই গ্রন্থ থেকে পেয়ে যাবেন সূত্রসন্ধান। নিঃসন্দেহে রবীন্দ্রনাথের গানের ভুবন রবীন্দ্রসংগীতচর্চা ও উপভোগের ক্ষেত্র এক দিশারিগ্রন্থের ভূমিকা পালন করবে।
সম্পাদনা অলোক রায়
মুল্যবান এই জীবনীগ্রন্থটি ১৯১৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জীবন কথা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩২৩ শ্রাবণ ১৩২৪)। বিশিষ্ট জীবনীকার মন্মথনাথ ঘোষ বিগত যুগের দেশ নায়কদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই কলম ধরেন। রাজা দক্ষিণারঞ্জনের এই জীবনলেখ্যও তাঁর সেই শ্রমসাধ্য অন্যতম প্রয়াস। জীবন নির্ভর এই গ্রন্থটির মহৎ জীবনকথায় সংলগ্ন হয়ে আছে সেই সময়েরও জীবন্ত ইতিহাস। ‘ইয়ং বেঙ্গল’ সম্বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরে বাঙালি হৃদয়ে আগ্রহ ও কৌতুহল জেগেছে। সেই কারণেই হিন্দু কলেজের ছাত্র, হেয়ার ডিরোজিও ও ডাফের অন্তরঙ্গ দক্ষিণারঞ্জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনীগ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ।
ভক্তিমাধব চট্টোপাধ্যায়
আর কোনো দার্শনিক-শিক্ষক রাষ্ট্রপ্রধানের ভূমিকায় তাঁর সমতুল কৃতিত্বের অধিকারী নন। অন্যদিকে, আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানও নিজেকে উন্নীত করতে পারেননি তাঁর দার্শনিক উচ্চতায়। ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ সর্বাথেই এক ইতিহাস পুরুষ। ব্যতিক্রমী এই শিক্ষকের জীবন ও কর্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে এই বই। সঙ্গে তাঁর প্রবন্ধ ও বক্তৃতার মূল্যবান সংযোজন।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
আপনি ওকালতিটা ছাড়ুন। চুপচাপ বসিয়া পড়ুন। মাঠের কোণে আসিয়া একটি কুটির বাঁধুন। তারপরে হবিষ্যান্ন খাইয়া খাগড়ার কলম ধরিয়া তালপাতে ভারতবর্ষের ইতিহাসকথা লিপিবদ্ধ করুন, ত্রিশ কোটি নর-নারীর আশীর্বাদভাজন হইবেন। যাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এ মন্তব্য করেছেন, তিনি অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। একনিষ্ঠ স্বদেশহিতৈষী ও সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসচর্চার অনুরাগী অক্ষয়কুমার ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। দলিল দস্তাবেজ নির্ভর যুক্তিবাদী ইতিহাস রচনায় তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাহিত্যকে বাহন করে পরিক্রমা করেছেন ইতিহাসের পথ। স্বভাবতই ভাষা, রচনানৈপুণ্য ও যুক্তিনিষ্ঠ ইতিহাসচিন্তার ছাপ রয়ে গেছে তাঁর সৃজনশীল রচনার পাতায় পাতায়। শুধু ঐতিহাসিক সাহিত্যিকের ভূমিকাতেই নয়, অক্ষয়কুমার বিদ্বজনের সম্ভ্রম অর্জন করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক, শিল্প-সমালোচক, বাগ্মী ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবেও। তাঁর সেই বহুমুখী প্রতিভার একত্র সমাবেশ ঘটেছে এ গ্রন্থে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত তাঁর অভিভাষণ ও চিঠিপত্র এই মনীষীর মননের জগতে প্রবেশের সন্ধান পথ। আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা সেই পথের প্রবেশদ্বার। ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক-সাহিত্যিক-বাগ্মী অক্ষয়কুমারকে জানতে ও তাঁর অনুসন্ধিৎসার পরিচয়লাভ করতে এ গ্রন্থ বাঙালির ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে নবতম সংযোজন।
Reviews
There are no reviews yet.