দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।


₹125.00 ₹100.00
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
দেবব্রত মল্লিক
নৌকার গঠন, হাল, পাটাতন, নাবিক-মাঝিমাল্লা থেকে শুরু করে বাতিঘর, ভাইকিং, ফিনিশীয় ও গ্রিক নৌযান, এমনকী সাহিত্য-সংস্কৃতি-লোকাচারে নৌকার উল্লেখ তো বটেই, নৌকার তত্ত্বতালাশ নিয়ে এমন বই বাংলায় প্রথম।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার
কৃষ্ণকলি তাঁর গানেই কালো হরিণ চোখ মেলে ত্রস্ত পায়ে বেরিয়ে আসে কুটির থেকে। কবির গান তাঁর উচ্চারণেই পায় প্রাণ, পায় উদ্দিষ্ট অভিমুখ। কিন্তু সুচিত্রা মিত্র শুধুই রবীন্দ্রসংগীতের সবথেকে সার্থক বাণীবাহকদের অন্যতম হয়ে আমাদের স্মৃতি জুড়ে অমলিন থাকবেন না। স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর লেখা, তাঁর আঁকা ছবির জন্যও। হ্যাঁ, আই পি টি এ এর গানের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কবির সুরের সেই সর্বোত্তম সাধক ছিলেন এক অসামান্য ছড়াকারও। ছবিও আঁকবেন তিনি সময় পেলেই। তেমনই কিছু ছড়া ও ছবি গ্রথিত হল এই সংকলনে। সঙ্গে রইল তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি আর কিছু দুষ্প্রাপ্য আলোকচিত্রের এক দুর্লভ অ্যালবাম।
অমিত ভট্টাচার্য
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে নয়। অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণই মানবজীবনের সার্থকতা। প্রাচীন ভারতের শাস্ত্র-সাহিত্য–দর্শনই কেবল নয়, আধুনিক সাহিত্যেও যতদূর সম্ভব হয়েছে, প্রসারিত দৃষ্টি নিয়ে সেসবের মননসমৃদ্ধ দীপ্তি পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার নিরলস প্রয়াস মিথকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে লক্ষণীয়। একদিকে পরম্পরাবাহিত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশজনিত ভ্রান্ত ধারণা আপামর জনতাকে শিক্ষা-ডিগ্রি নির্বিশেষে এখনও কীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, অপরদিকে ঋষিদের কল্পকথায় রূপকাকারে চিত্তশুদ্ধির আবাহন_এই দুয়েরই প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচিত চোদ্দোটি কাহিনিতে।
সুনির্মল চক্রবর্তী
সুনির্মল চক্রবর্তী বাংলা শিশুসাহিত্যে একটি সুপরিচিত নাম। ছোটোদের জন্য তাঁর লেখা গল্প, রূপকথা, উপকথা, ছড়া-কবিতা, নাটক ইতিমধ্যেই শিশু-কিশোরদের মন জয় করে নিয়েছে। ছোটো ছোটো বাক্যে লেখা তাঁর গল্পে পাই মনোহারী ভাষা, সহজ সরলতা, রহস্যবোধ, কৌতুকমেশা এক মায়াবী গদ্য, যা ছুঁয়ে যায় শুধু ছোটোদের নয়, সব বয়সি পাঠকের মন। নতুন গ্রহে যতীনবাবু লেখকের বারোটি নতুন গল্পের সংকলন। এখানে আমরা যেমন মুগ্ধ হয়ে পড়ব মা-হাতি, বাবা-হাতি ও তাদের ছানা-হাতির গল্প, তেমনই পড়ে চমকে যাব বলরামবাবুর পোষা, পাখিটির বৃত্তান্ত, হ্যাংলা নামে এক ঘাসফড়িংয়ের কাহিনি, এমনকী পিকু নামে এক ভালুকছানার কাণ্ডও। অঙ্কে ভীষণ ভয় পেয়ে থাকা তারাপদবাবুর বিপদ কিংবা নতুন গ্রহকে মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত যতীনবাবুর আশ্চর্য অভিজ্ঞতার কথা শুনতে হলে এ বইয়ের পাতা না-উলটে গতি নেই।
সম্পাদনা অলোক রায়
মুল্যবান এই জীবনীগ্রন্থটি ১৯১৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জীবন কথা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩২৩ শ্রাবণ ১৩২৪)। বিশিষ্ট জীবনীকার মন্মথনাথ ঘোষ বিগত যুগের দেশ নায়কদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই কলম ধরেন। রাজা দক্ষিণারঞ্জনের এই জীবনলেখ্যও তাঁর সেই শ্রমসাধ্য অন্যতম প্রয়াস। জীবন নির্ভর এই গ্রন্থটির মহৎ জীবনকথায় সংলগ্ন হয়ে আছে সেই সময়েরও জীবন্ত ইতিহাস। ‘ইয়ং বেঙ্গল’ সম্বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরে বাঙালি হৃদয়ে আগ্রহ ও কৌতুহল জেগেছে। সেই কারণেই হিন্দু কলেজের ছাত্র, হেয়ার ডিরোজিও ও ডাফের অন্তরঙ্গ দক্ষিণারঞ্জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনীগ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ।
অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়
আপনি ওকালতিটা ছাড়ুন। চুপচাপ বসিয়া পড়ুন। মাঠের কোণে আসিয়া একটি কুটির বাঁধুন। তারপরে হবিষ্যান্ন খাইয়া খাগড়ার কলম ধরিয়া তালপাতে ভারতবর্ষের ইতিহাসকথা লিপিবদ্ধ করুন, ত্রিশ কোটি নর-নারীর আশীর্বাদভাজন হইবেন। যাঁর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ এ মন্তব্য করেছেন, তিনি অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। একনিষ্ঠ স্বদেশহিতৈষী ও সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসচর্চার অনুরাগী অক্ষয়কুমার ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসচর্চায় এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। দলিল দস্তাবেজ নির্ভর যুক্তিবাদী ইতিহাস রচনায় তিনি অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাহিত্যকে বাহন করে পরিক্রমা করেছেন ইতিহাসের পথ। স্বভাবতই ভাষা, রচনানৈপুণ্য ও যুক্তিনিষ্ঠ ইতিহাসচিন্তার ছাপ রয়ে গেছে তাঁর সৃজনশীল রচনার পাতায় পাতায়। শুধু ঐতিহাসিক সাহিত্যিকের ভূমিকাতেই নয়, অক্ষয়কুমার বিদ্বজনের সম্ভ্রম অর্জন করেছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিক, শিল্প-সমালোচক, বাগ্মী ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবেও। তাঁর সেই বহুমুখী প্রতিভার একত্র সমাবেশ ঘটেছে এ গ্রন্থে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত তাঁর অভিভাষণ ও চিঠিপত্র এই মনীষীর মননের জগতে প্রবেশের সন্ধান পথ। আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা সেই পথের প্রবেশদ্বার। ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক-সাহিত্যিক-বাগ্মী অক্ষয়কুমারকে জানতে ও তাঁর অনুসন্ধিৎসার পরিচয়লাভ করতে এ গ্রন্থ বাঙালির ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে নবতম সংযোজন।
সম্ভবত পৃথিবীর মানুষকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এক যারা প্যারিস দেখেছে; দুই যারা প্যরিস দেখেনি। সম্ভবত পৃথিবীর সব কবিকেও দু-ভাগে ভাগ করা যায়। এক যাদের মাতৃভূমি শুধু তাদের নিজেরই দেশ: দুই যাদের মাতৃভূমি তাদের নিজের দেশ ছাড়াও তার একটি শহর_ প্যারিস। ইতিহাসে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকার মতন শহর প্যারিস নয়, উলটে ইতিহাসই এখানে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। এখানে কেউ নারীর হাত ধরে প্রবিষ্ট হয়ে অবশেষে কবিতা, শিল্প কিংবা দর্শনের হাত মুঠো করে ধরে নিষ্ক্রান্ত হয়। আবার কেউ কবিতা, শিল্প বা দর্শনের হাত পাকড়ে ঢোকে এবং বার হয় নারীর আঁচল আঁকড়ে। প্যারিস নারীর মতন টানে, প্যারিসের নারীরা নিয়তির মতন টানে। আর সেই টানে। আর সেই টানে অভিমন্যুর মতো চক্রব্যূহে প্রবিষ্ট লেখক আর নিষ্ক্রান্ত হতে পারেন না কুহকিনী এ শহরের মায়াজাল থেকে। প্যারিস তাই তাঁর কাছে সতেরোশো উননব্বই-এর লঁসিয়ঁ রেজি্ম, য়ুগো, কিংবা মালার্মের লিতেরাচুর, দেরিদার অবিনির্মাণ, পাস্কালের হৃদয়ের যুক্তি, গোদার-কে বোঝার বৃথা চেষ্টা, ক্রফোর ফ্রিজ শট, পোলানস্কির, জীবনসিনেমা, ব্রিজিং বার্ডোর লাস্য, কামুর ফুটবল, পারফিউমের সুগন্ধ, কনিয়াকের ঘ্রাণ আর রাতের আলো-আধারিতে উদ্দাম স্ট্রিপটিজ্। কাল থেকে শুরু হয়ে আজ ছুঁয়ে প্যারিস প্রবহমান আগামী কালে। চিরযৌবনা এ নগরীর শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননের মায়াবী রূপকথা প্যারিসপ্রেমিক লেখকের কলমে।
Reviews
There are no reviews yet.