আপনার সন্তানের হাতে কেন তুলে দেবেন এই বই?
শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান গবেষণায় এগিয়ে চলেছে ভারত। আমাদের চন্দ্রযান পৌঁছে গিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। দাবা, ক্রিকেট, জ্যাভলিনেও আমরা বিশ্বসেরা। হার্ট ল্যাম্প নামে ছোটোগল্পের একটি বই লিখে ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ জিতে নিয়েছেন ভারতীয় লেখিকা বানু মুস্তাক।
দুশো বছর ব্রিটিশ শাসনে থাকার পর ১৯৪৭-এ ভারত স্বাধীন হয়। তারপর মাত্র আট দশকের মধ্যেই আমরা জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করতে চলেছি। ভারতের এই উন্নতি দেখে চমকে যাচ্ছে বাকি পৃথিবী। কিন্তু আধুনিক এই ভারত জন্মই নিতে পারত না যদি রামমোহন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র, প্রফুল্লচন্দ্র, সত্যেন্দ্রনাথের মতো মহামানবেরা আমাদের এই দেশে আবির্ভূত না হতেন। মধ্যযুগের কুসংস্কারে আটকে ছিল আমাদের দেশ। সেই অন্ধকার কাটিয়ে এক নতুন ভারত জেগে উঠেছিল উনিশ ও বিশ শতকের সন্ধিক্ষণে। ভারতীয় রেনেসাঁস শুরু হয়েছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে এই বাংলায়। চিন্তায়, চেতনায় দেখা দিয়েছিল যে নতুন জোয়ার, তা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল গোটা দেশকে।
বরণীয় মানুষ স্মরণীয় জীবন-এ আমরা জানব এরকম কুড়িজন শ্রেষ্ঠ ভারতীয়কে, যাঁরা এই নতুন ভারতের রূপকার। এঁদের মধ্যে দুজন মহীয়সীও আছেন, ভারতে না-জন্মেও যাঁরা এই দেশকে আপন করে নিয়েছেন।
এই মহামানবদের জীবনকথা পড়ে শিশুরা অনুপ্রাণিত হবে। এঁদের জীবন সংগ্রাম ছোটোদের উদ্বুদ্ধ করবে দেশের জন্য, দশের জন্য কিছু করতে। শিশুরা জানবে, সোশ্যাল মিডিয়া আর ভিডিয়ো গেমস-এর বাইরেও আছে একটা বিরাট দুনিয়া, যেখানে বহু মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে। তাদের জন্য কিছু করতে হলে প্রথমে নিজেকে গড়তে হবে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে হবে। এই বই সেই ‘ম্যান মেকিং মিশন’-এরই প্রথম ধাপ।
Reviews
There are no reviews yet.