চিরায়ত প্রেমের গল্পসংগ্রহ
সম্পাদনা: উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
৩৬টি ছোটোগল্পে ছুঁয়ে নেওয়া চিরায়ত বাংলা প্রেমের গল্পের আশ্চর্য ভুবন।
₹295.00 ₹236.00
চিরায়ত প্রেমের গল্পসংগ্রহ
সম্পাদনা: উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
৩৬টি ছোটোগল্পে ছুঁয়ে নেওয়া চিরায়ত বাংলা প্রেমের গল্পের আশ্চর্য ভুবন।
সম্পাদনা ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
যে রাজনৈতিক স্লোগান বা সংহত, সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক বার্তা সুকান্তর কবিতায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তা তখনকার উদ্দীপ্ত জনজীবনের স্বপ্নেরই বার্তা, তখনকার সময়েরই দান। তাঁর কবিতায় হয়তো কখনো কখনো রং-তুলির কৈশোরক স্পর্শ কম লেগেছে, কিন্তু আন্তরিকতার অভাব ছিল না। রাজনীতি আর কাব্যিক আবেগের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয়নি তাঁর। কেনই বা মনে হবে! জীবন-স্বপ্নই তো রাজনীতি। আর, সুকান্ত-র কাছে তাঁর কবিতা তো সেই জীবন-স্বপ্নেরই প্রকাশ। যে ছাড়পত্র দিয়ে কবিতার আসরে নেমেছিলেন তিনি, তাতে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি_ নবজাতকের কাছে’_এই অঙ্গীকারই ছিল। মাটির রসের মধ্যে ভাবী বনস্পতির সম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণেই তিনি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘যদিও রক্তাক্ত দিন, তবু দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে/এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।’ যে ‘বলিষ্ঠ’ শিশুদের জন্যে বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, সেই শিশুদেরই তাঁর কবিতায় দেখা গেল অশ্বত্থ-শিশুর প্রতীকে। উদ্ধত প্রাচীন প্রাসাদের গায়ে অবাধ্য ফাটল ধরিয়ে গোপন শক্তির বারুদ জমিয়ে তারা রক্ত-ঘাম-চোখের জলের ধারায় বিদ্রোহের দূত হয়ে আসছে।
চিরায়ত প্রেমের গল্পসংগ্রহ
সম্পাদনা: উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
৩৬টি ছোটোগল্পে ছুঁয়ে নেওয়া চিরায়ত বাংলা প্রেমের গল্পের আশ্চর্য ভুবন।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার
সমাজ যাকে করে রেখেছ ব্রাত্য-নির্বাসিত, সাহিত্য তাকে করেছ বিষয়। কিন্তু মর্যাদা দিয়েছে কি? নইলে ‘বিচারক’ রচনার শতবর্ষ পরেও কেন বিচার পাননি ধরিত্রীর এই পুত্রীরা ? রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রভাতকুমার, শরৎচন্দ্র, বিভূতি, তারাশংকর, মাণিক হয়ে শরদিন্দু, সমরেশ, সুনীল, বুদ্ধদেব ও অবশেষে তসলিমা-তৃণাঞ্জনে উপনীত এই গল্পসংগ্রহ কখনোই দেহোপজীবিনীদের নিয়ে লেখা বাংলা ছোটোগল্পের আর একটি বাজারগরম সংকলন নয়। আসলে তা যুগান্তের মুখোমুখি দাঁড়ানো মানুষকে করা মানুষের প্রশ্ন : কে মন্দ? ওরা না আমরা?
আধুনিক বাংলা কাব্যের অনেক সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। সেইসব সংকলনে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে আধুনিক কাব্যের পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করে পরবর্তীকালে কবিদের গ্রন্থভুক্ত করা হয়েছে। এই সংকলনের সম্পাদক পণ্ডিতবর্গের সেই সিদ্ধান্তকে শিরোধার্য করে নিয়েছেন। আধুনিক যুগের কবিতা বলতে আমরা জেনেছি, একটি কালসীমা মাত্র নয়; বিশেষ কতকগুলি মনোভঙ্গি, যা রাষ্ট্র ও সমাজ-কাঠামোর পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে উদ্ভূত। ‘আধুনিক’ শব্দটি সময়নির্দেশক হলেও সময়ই এর একমাত্র পরিমাপক নয়। ‘আধুনিক কাব্য‘ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ‘বাঁক’ বা ‘মর্জি’র কথা বলেছেন। ‘বিশ্বকে ব্যক্তিগত আসক্তভাবে না দেখে বিশ্বকে নির্বিকার তদ্গতভাবে দেখা’ কাব্য সম্পর্কিত অনুভবের এটাই মূল কথা রবীন্দ্র-চিন্তনে। পরবর্তীকালে তাঁর কাব্যসম্পর্কিত মতাদর্শ আরও আলোচিত ও বিশ্লেষিত হয়েছে। আন্তর্জাতিকতা আধুনিকতার অন্যতম শর্ত। তার সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যক্তি-মানসের প্রতিফলন ও আঙ্গিকচর্চা। আধুনিক কবিতা সম্পর্কে বুদ্ধদেব বসু জানিয়েছেন, ‘একে বলা যেতে পারে বিদ্রোহের, প্রতিবাদের কবিতা, সংশয়ের, ক্লান্তির, সন্ধানের, আবার এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে বিস্ময়ের জাগরণ, জীবনের আনন্দ, বিশ্ববিধানে আস্থাবান চিত্তবৃত্তি।’ নির্দিষ্ট কোনো ছকে আধুনিক কবিতাকে বাঁধা সম্ভব নয়। বর্তমান সংকলনে মাইকেল মধুসূদন থেকে শুরু করে বিংশ শতকের শেষ দশকের কবিদের কবিতাও সংকলন-ভুক্ত করা হয়েছে এই লক্ষ্যে যে, দীর্ঘ কালসীমায় বিভিন্ন কবির রচিত কবিতায় কাব্যপ্রবাহের ধারাবাহিকতা ও বিবর্তনকে উপলব্ধি করা সহজতর হবে। বলা বাহুল্য, এই সংকলনে সম্পাদকের পরিকল্পনা, মর্জি এবং ভালো-লাগা নির্ভর করে কবি এবং কবিদের রচনা নির্বাচন করা হয়েছে। সে কারণে এ গ্রন্থের নামকরণ করা হয়েছে প্রিয় কবি প্রিয় কবিতা। এর ভালোমন্দের সবটুকু দায়-দায়িত্বই সম্পাদকের।
সম্পাদনা: মেঘ বসু
প্রেমই সেই আবহমান আহ্বান আমি থেকে তুমি হয়ে উঠতে উঠতে যা পেরিয়ে যায় নিষেধের লক্ষ্মণরেখা, ছিঁড়ে ফেলে ভুরু-কুঁচকানো প্রতিবিপ্লবী প্রহরা, উড়ানের এ-নব অধ্যায়ে খুঁজে নেয় পাখা, খোঁজে মহানভ অঙ্গন। রবীন্দ্রনাথ থেকে নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত ব্যাপ্ত এই সংগ্রহটি পাঠকের কাছে হয়ে উঠতে পারে এক আশ্চর্য ভ্রমণ।
বাসব রায়
সফ্টওয়্যার কেরানির নকশা-র একটি বিশেষ চরিত্র কম্পিউটার প্রোগামার লোচাদা। কোনো এক কালসন্ধ্যেয় আবেগপ্রবণ লোচাদার অনুচ্চস্বরের ঘোষণা। মেমরি, প্রসেসর, হার্ডডিস্ক, ব্লুটুথ, ইনফ্রায়েড, মেগাপিক্সেল, গিগাহার্জ এই ফিরিঙ্গি লবজগুলো আলু, পেঁয়াজ, উচ্ছে, পটলের মতোই আমাদের জীবনে খোদাই হয়ে গেছে আজকাল। নয়ের দশকেও বাঙালির দৌড়ছিল ডায়োড ভাল্ভ সেমিকনডাক্টর বড়োজোর আইসি চিপ অবধি। ২০০০ সালের পর থেকেই প্রযুক্তির হড়কা বানে আমাদের চলাফেরা, ভাবনাচিন্তা, বচন-বাচন, ভালোলাগা-মন্দলাগার অনুভূতিগুলো নতুন করে সংজ্ঞাত হয়ে গেল…। সফ্টওয়্যার কেরানির নকশা-র বার্তা লোচাদার ওই উক্তিরই প্রতিফলনমাত্র। লেখক মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ করেছেন, কীভাবে প্রযুক্তির ‘হড়কা বান’ অবিশ্বাস্য গতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাত ঘুরে সাধারণের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। লেখক নিজেকে এই প্রক্রিয়ায় শামিল করতে চেয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ার একেবারে হেঁশেলে ঢুঁ মেরে। নকশাগুলি বিষয়গত বৈচিত্রে এবং উপস্থাপনার মুনশিয়ানায় স্বাতন্ত্র দাবি করে, সন্দেহ নেই।
Reviews
There are no reviews yet.