SaleNew

500.00

নদীমাতৃক জীবন ও সভ্যতা / NADIMATRIK JIBAN O SABHYATA

নদী কেবল গবেষকের নয়, নদী-ব্যবহারকারীরও বটে। নদী-ব্যবহারকারী যদি নদীকে ভালো না-বাসেন, স্বার্থপরের মতো ব্যস্ত থাকেন শুধু নিজের প্রয়োজনটুকু মেটাতেই, তাহলে একসময় না-হয় একসময় নদীর মৃত্যু অনিবার্য।
নদীকে ভালোবাসেন- গবেষক, নদী-ব্যবহারকারী নির্বিশেষে- এমন ষোলোজন মানুষের প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কবিতা সন্নিবেশিত হয়েছে এই গ্রন্থে। নদীর সঙ্গে তাঁদের ব্যক্তিগত সংযোগ, নদীকে হারিয়ে যেতে দেখে তাঁদের মনোবেদনা এবং নদীকে বাঁচিয়ে তুলতে তাঁদের বিবিধ প্রয়াস ও প্রস্তাবনার কথা ধরা রয়েছে এই অমূল্য লেখাগুলিতে।
‘নদীর সাথে হাঁটা’-র মাধ্যমে নদীরক্ষায় অঙ্গীকারগ্রহণ এবং সে বিষয়ে গণসচেতনতা ও জনমত গঠনে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Share

Meet The Author

"প্রফেশনাল ইন্সটিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশিয়ো-এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট- প্রিজম সংস্থার সভাপতি। তৎসহ, ক্লাইমেট অ্যাকশন রিসোর্স নেটওয়ার্ক এশিয়া প্যাসিফিক-এর সভাপতি তথা আহ্বায়ক। নৃতত্ত্ববিজ্ঞানের গবেষক অনিরুদ্ধ পরিবেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন অনেক ছোটোবেলা থেকেই- গোবরডাঙা যুব বিজ্ঞান সংস্থার সদস্য হিসেবে। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনগোষ্ঠীর পারম্পরিক জ্ঞানের ভাণ্ডার, সেই জ্ঞানের ব্যবহার এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তনের বিষয়ে জানার এক অদম্য আগ্রহ। খাদ্য সার্বভৌমত্ব, খাদ্য সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, স্বল্পমূল্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল প্রস্তুতি, বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে জলের বাৎসরিক চাহিদাপূরণ প্রভৃতি বহুবিধ উদ্যোগের সঙ্গে তিনি যুক্ত।"

পাঠক এই বই পড়ে অনুধাবন করতে পারবেন নদী কীভাবে মায়ের মতো আবহমান কাল ধরে লালন করে এসেছে সভ্যতা। মানুষের মতোই স্বতন্ত্র এক সত্তার অধিকারী সে।
নদী তার সতত প্রবাহমানতায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ভূত জল ও বস্তুকণাকে ধারণ করে প্রকৃতির অন্যান্য উপাদান ও প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে স্বতন্ত্র করেছে। সমাজ ও পরিবেশে মানুষ ও নদীর অবস্থান শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে-দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান- দুটি বিষয় বিবেচনার যোগ্য। প্রকৃতিতে মানুষ ও নদীর দৃশ্যমান উপস্থিতি তাদের কর্মচঞ্চলতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত। অন্যদিকে, যে উপাদান ও প্রক্রিয়াসমূহ নদী ও মানুষকে নেপথ্যে থেকে সমর্থন জুগিয়ে তাদের দৃশ্যমানতাকে প্রকাশযোগ্য রূপদান করে, সেগুলি অদৃশ্যমান। মানুষ ও নদীর দৃশ্যমান ঘটনাসমূহের মধ্যস্থ যে আন্তঃসংযোগ- যেমন, নদীতে স্নান করা, মাছ ধরা, ভ্রমণ করা- সেসবের থেকেও মানুষ-নদী সংযোগ অধিকতর সক্রিয়, তাদের সতত চলমান অদৃশ্য প্রক্রিয়াসমূহের মাধ্যমে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের বিকাশে নদীর ভূমিকা, অতিরিক্ত জলের বানে নিজেকে বাঁচানোর জন্য নতুন নদীখাত সৃষ্টি, প্লাবনভূমি গঠন করে সাগরাভিমুখে এগিয়ে যাওয়া- এসব নদীকে মানুষের মতোই জীবন্ত এক সত্তা প্রদান করেছে।

এভাবে বঙ্গীয় জনপদে সমাজ ও সংস্কৃতি নির্মাণে মানুষের মন তথা মনন, ভাষা ও শিল্প সহযোগে নদীমাতৃক স্থানিক পরিসরে মানুষ-নদীকে একাকার করে দিয়েছে। সেই একাত্মবোধই বঙ্গীয় জনপদের সমাজ-সংস্কৃতি তৈরি করেছে। অন্তঃদৃষ্টির অভাবে বহু ক্ষেত্রেই মানুষ এই আন্তঃসংযোগের গভীরতা সম্যক অনুধাবন করতে পারে না।

ফলশ্রুতিস্বরূপ, নদীর উপর নেতিবাচক কার্যকলাপ পরিচালনার মাধ্যমে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতেও আমরা আজ দ্বিধাবোধ করি না।
‘নদীর সাথে হাঁটা’-র মাধ্যমে নদীরক্ষায় অঙ্গীকারগ্রহণ এবং সে বিষয়ে গণসচেতনতা ও জনমত গঠনে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.