ফাগুন বৌ-এর বনে / FAGUN BOU-RE BONE

480.00

প্রথম চুম্বনের অপরাধবোধ থেকে উত্তরিত গহীন প্রেম কিংবা বাঘের নরম থাবার মধ‌্যে লুকোনো প্রখর নখের মতো জান্তব কাম থেক বহুদূরে বর্ষাদিনের কদম ফুলের সুবাসমাখা ভালোবাসার উদযাপন_ফাগুন বৌ-এর বনে বুদ্ধদেব গুহর ছ-টি উপন‌্যাসের এক ব‌্যতিক্রমী সংগ্রহ। মহড়া, তটিনী আকাতরু, কুর্চিবনে গান, বাসনাকুসুম, চান্দ্রায়ণ পাখসাট _শৈলীর অনন‌্যতায়, জীবনবোধের প্রগাঢ় অনুভবে এবং ইন্দ্রিয়জ প্রেমের পরিপূর্ণ অবগাহনে প্রতিটি উপন‌্যাসই যুগপৎ উত্তীর্ণ ও অদ্বিতীয়।

মনের মানুষ / MONER MANUSH

100.00

এই সময়ের বিশিষ্ট কবি প্রদীপ কুমার রায়ের কবিতায় ধরা পড়ে এক অব্যক্ত বেদনা। বিচিত্র বিষয়ক কবিতার মধ্যেও ফিরে ফিরে আসে এক খোঁজ। কবি খুঁজে ফেরেন তাঁর মনের মানুষ। এক মায়াবী আলোয় মাখা অপূর্ব সারল্যের বিস্তার এই বই জুড়ে। যেন এ কোনো কবিতা নয়, এ হল নদী, যা বাঁকে বাঁকে বদলে নেয় নিজেকে এবং সেইসঙ্গে নিজের অভিমুখ।

মা ( MAA )

160.00

মা ( MAA )

এই উপ্যানাসের ‘ মা ‘ দারিদ্রের  নাগপাশে জারিয়ে থাকা এক স্নেহময়ী , পতিব্রতা , কল্যানী জননী , দুর্ভাগ্যের করালগ্রাসে  যার ভাগ্য ক্রমশই তলিয়ে যাচ্ছে  সেই কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে …

মুকুট / MUKUT

80.00

প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা  

জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ‌্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ‌্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অ‌ন‌্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক‌্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল‌্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট‌্যরূপ দেন। উদ্দেশ‌্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট‌্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত‌্যাগের বীর্যের অধ‌্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত‌্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।

সমাগত মধুমাস – দ্বিতীয় খণ্ড / Samagata Madhumas – 2ND Part

100.00

অভিজিৎ চৌধুরী

‘ওই এল সে প্রাণ কালিয়া স্মর খরশরে তবু যায় জ্বলিয়া’। কবি, গীতিকার, সমাজসংস্কারক মদনমোহন তর্কালঙ্কারের নিজের গলায় গাওয়া গান দিয়ে শেষ হয়েছিল সমাগত মধুমাস (১ম খণ্ড)। ২য় খণ্ডের শুরুতেই রয়েছে ডেপুটি ম‌্যাজিস্ট্রেটের চাকরিতে ক্লিষ্ট মদনমোহনের আত্মবিলাপ। তথাপি, জাতীয় মানুষের মনের মধ‌্যে প্রতিদিনের জীবনেও দেশ, বিশ্ব, বিজ্ঞান, সমাজ, সাহিত‌্য, শিক্ষার বীক্ষণ চলতেই থাকে। সিপাহিবিদ্রোহ সম্পর্কে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের নিজস্ব অবস্থান, নতুন বিজ্ঞানচেতনার বিকাশ, ফেলে আসা জীবনের কাব‌্যময়তা_অন‌্যতম কন‌্যা ভুবনবালার সঙ্গে প্রতিদিনের সংলাপই উঠে আসে। মহতী সময়ের পরিচর্চা বাবা এবং মেয়ের নিতান্ত আটপৌরে সংলাপের মধ‌্যেও কখনো কখনো ফ্রেমবন্দি হয়ে যায়। ফ্ল‌্যাশব‌্যাকে এসেছেন বিটন সাহেব, বিদ‌্যাসাগর প্রমুখ ঐতিহাসিক চরিত্র কারণ তাঁদের বাদ দিয়ে মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জীবনের যে-কোনো পর্যায়ই অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। মদনমোহন তর্কলঙ্কারের মৃত‌্যু এক নায়কের নিস্তব্ধ প্রস্থান। তাঁর মৃত‌্যুর পর ভার্যা মুক্তকেশীর এক ভিন্ন ছবি উপন‌্যাসে পাওয়া যাবে। কন‌্যা কুন্দমালা_দিদি ভুবনমালা ও বাবার মৃত‌্যুর পর_নিজের প্রণয়কে গোপন রেখে ভালোবাসার প্রার্থীকে সঁপে দিচ্ছে আর এক বোন হেমবালার সমীপে। হেমবালা কবিতা লেখে, পিতার কবিসত্তার সামান‌্য উত্তরাধিকার রয়েছে তার মধ‌্যে। ১ম খণ্ডের মতোই ২য় খণ্ডে রেয়েছে অসম বয়সের প্রণয় কাহিনি। সত্তরোর্ধ্ব বাচস্পতির সঙ্গে রূপোপজীবনী তারাসুন্দরীর মানসপরিণয় মধুমাসের আশ্বাসকে বিস্মৃত হতে দেয় না পুনর্বার।

সমাগত মধুমাস – প্রথম খণ্ড / Samagata Madhumas – 1st Part

96.00

অভিজিৎ চৌধুরী

কবি, গীতিকার, সমাজ সংস্কারক তথা নারীশিক্ষা প্রসারের অন‌্যতম অগ্রদূত মদনমোহন তর্কালঙ্কার ও তাঁর সময়-ঋদ্ধ এই আখ‌্যান। আখ‌্যানের কেন্দ্রবিন্দু মদনমোহন আর তাঁকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কক্ষপেথ ভার্যা মুক্তকেশী, কন‌্যা ভুবনমালা-কুন্দমালা-হেমবালা, মা বিশ্বেশ্বরী দেবী, সুহৃদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ‌্যাসাগর, বিটন সাহেব, রাজা রাধাকান্ত দেব, রামগোপাল ঘোষ প্রমুখ ঐতিহাসিক চরিত্রের পরিভ্রমণ। একদিকে পাশ্চাত‌্য শিক্ষার প্রথম আলো, অন‌্যদিকে মধ‌্যযুগীয় সংস্কারে অবরুদ্ধ হিন্দুসমাজ_ ইতিহাসের এই দ্বন্দ্বে দীর্ণ হতে হতে মদনমোহনের সাহিত‌্যসাধনা ও জীবনসংগ্রাম। লুপ্ত সেই সময়ের আঘ্রাণ আবার পাওয়া যাবে এই উপন‌্যাসের পাতায়। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলির পাশাপাশি আলাদা করে নজর কাড়ে অন‌্য দুটি চরিত্র : বাচস্পতি খুড়ো ও তারাসুন্দরী। মদ‌্যপ বেশ‌্যাসক্ত, পরান্নভোজী, সংস্কৃত কলেজের লিপিকরের কর্ম থেকে বহিষ্কৃত বাচস্পতি খুড়ো অপূর্ব কণ্ঠসম্পদের অধিকারী। সত্তরোর্ধ্ব বাচস্পতির সঙ্গে রূপোপজীবনী তারাসুন্দরীর প্রণয় মধুমাসের আশ্বাসকে বিস্মৃত হতে দেয় না।