সংকলক-অনুবাদক : রমেন্দ্র ভট্টাচার্য ও মানবেন্দ্র ভট্টাচার্য
মেঘদূত মহাকবি কালিদাস বিরচিত একটি খণ্ডকাব্য। এর শ্লোকসংখ্যা অল্প। কিন্তু কাব্য হিসেবে মেঘদূত-এর আবেদন সেই প্রাচীন কাল থেকে উত্তরাধুনিক সমসময় পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। মন্দাক্রান্তা ছন্দে লেখা এই কবিতাটাই সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও শ্রেষ্ঠতম বিরহকাব্য। কেউ কেউ মেঘদূত-কে বর্ষার কাব্য বা প্রকৃতির কাব্য বলেছেন। টীকাকার মল্লিনাথসূরি একে বলেছেন বিপ্রলম্ভ শৃঙ্গার-রসের কাব্য। রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য : মেঘদূত মন্দাক্রান্তা ছন্দের মধ্যে বিশ্বের গতি নৃত্য করছে। তাই এই কাব্য চিরকালের সজীব বস্তু। মেঘদূত-এর এই বর্তমান সংস্করণে বিদ্যাসাগর সম্পাদিত মেঘদূতম্ অনুসরণে ১১৫টি শ্লোক গৃহীত হয়েছে। সংযোজিত হয়েছে ৪টি বহুবর্ণ চিত্র।
শীতকাল কবে আসবে সুপর্ণা থেকে জিরাফের ভাষা – বাংলা কবিতাসাহিত্যের নক্ষত্রময় আকাশে তাঁর বিস্ময়কর উড়ান । আজও তরুনতম কবি , ধীমান পাঠক সমান উৎসুক ও অনুসন্ধানী তাঁর কবিতার অভিমুখে । নির্জনতার কাছে বার বার লুঠ হয়েছে তাঁর মন । |
THIS IS A POETRY BOOK.
সম্পাদনা ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
যে রাজনৈতিক স্লোগান বা সংহত, সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক বার্তা সুকান্তর কবিতায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তা তখনকার উদ্দীপ্ত জনজীবনের স্বপ্নেরই বার্তা, তখনকার সময়েরই দান। তাঁর কবিতায় হয়তো কখনো কখনো রং-তুলির কৈশোরক স্পর্শ কম লেগেছে, কিন্তু আন্তরিকতার অভাব ছিল না। রাজনীতি আর কাব্যিক আবেগের মধ্যে কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয়নি তাঁর। কেনই বা মনে হবে! জীবন-স্বপ্নই তো রাজনীতি। আর, সুকান্ত-র কাছে তাঁর কবিতা তো সেই জীবন-স্বপ্নেরই প্রকাশ। যে ছাড়পত্র দিয়ে কবিতার আসরে নেমেছিলেন তিনি, তাতে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি_ নবজাতকের কাছে’_এই অঙ্গীকারই ছিল। মাটির রসের মধ্যে ভাবী বনস্পতির সম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণেই তিনি ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘যদিও রক্তাক্ত দিন, তবু দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে/এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।’ যে ‘বলিষ্ঠ’ শিশুদের জন্যে বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, সেই শিশুদেরই তাঁর কবিতায় দেখা গেল অশ্বত্থ-শিশুর প্রতীকে। উদ্ধত প্রাচীন প্রাসাদের গায়ে অবাধ্য ফাটল ধরিয়ে গোপন শক্তির বারুদ জমিয়ে তারা রক্ত-ঘাম-চোখের জলের ধারায় বিদ্রোহের দূত হয়ে আসছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংকলন মাত্রেরই নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। চয়নিকা (১৯০৯) যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন তার আগে পর্যন্ত যে ক-টি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে সেগুলি থেকে চয়ন করে একশো তিরিশটি কবিতা গ্রহণ করা হয়।… এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান প্রেসে মুদ্রিত চয়নিকা জনসমাদর লাভে বঞ্চিত হয়নি। এরপর বিশ্বভারতী যখন তৃতীয় সংস্করণ চয়নিকা (১৯২৫) প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, তখন তাতে শুধু কবিতার সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, কবিতা নির্বাচনের রীতিরও বদল হয়েছে।… নব-কলেবর চয়নিকা-কে রবীন্দ্রনাথ মেনে নিলেও কবিতা-নির্বাচনের পদ্ধতি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের ভালো লাগেনি।… চয়নিকা বাজারে থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ নতুন কবিতা-সংকলনের কথা ভেবেছেন। আর তারই ফলে সঞ্চয়িতা-র পরিকল্পনা। এবার কবিতাগুলো সংকলনের ভার কবি নিজে নিয়েছেন।…সঞ্চয়িতা প্রথম প্রকাশের (১৯৩১) পর অন্যদের কথা সুরে থাক, রবীন্দ্রনাথেরও মনে হয়েছে, অনেক ভালো কবিতা সংকলনের বাইরে পড়ে রইল। পরের দুটি সংস্করণে কিছু গ্রহণ-বর্জন সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের অতৃপ্তি যায়নি।… বিশ্বভারতী প্রকাশিত সঞ্চয়িতা-র সীমাবদ্ধতা (যে-সীমাবদ্ধতার কথা রবীন্দ্রনাথ নিজে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে লেখা ভূমিকায় জানিয়েছেন) মনে রেখেও সঞ্চয়িতা-র যেহেতু কোনো বিকল্প নেই, আমরা সঞ্চয়িতা পুনর্মুদ্রণের কাজে অগ্রসর হয়েছি।…স্থান সংকুলানের বাধ্যতায় ‘সংযোজন’ অংশে মাত্র আঠারোটি কবিতা রাখতে সক্ষম হয়েছি।… ‘পাঠ-পরিচয়’ অংশে যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে রবীন্দ্রনাথের নিজের দেওয়া কাব্যব্যাখ্যা. অন্যক্ষেত্রে বিশিষ্ট সমালোকদের মন্তব্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়েতা রবীন্দ্রকাব্য-প্রবেশিকা হিসেবে এই অংশের কিছু মূল্য আছে।
পারুল চিরায়ত কবিতা সংগ্রহ-র আত্মপ্রকাশ ‘ কবিতা ‘ —- এই শীর্ষকে । |
পারুল চিরায়ত কবিতা সংগ্রহ-র আত্মপ্রকাশ ‘ কবিতা ‘ —- এই শীর্ষকে । |