ষোড়শ শতকে , উত্তর ভারতে আকবরের নবরত্নদের অন্যতম যেমন ‘ বুদ্ধিমান ‘ বীরবল, দক্ষিণ ভারতে তেমনই বিজয়নগর রাজ্যের রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের সভাকবি তেনালি রামনও প্রখ্যাত ছিলেন তাঁর ক্ষুরধার বুদ্ধি ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের জন্য । বীরবলের মতোই তেনালি রামনকে নিয়েও নানান মনোগ্রাহী উপাখ্যান প্রচলিত আছে, যাদের ঐতিহাসিক সত্যতা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় ।
উপভোগ্যতার দিকে নজর রেখে তেনালি রামনকে নিয়ে প্রচলিত কিছু সরল, সরস ও বুদ্ধিদীপ্ত গল্প এই সংকলনে গ্রথিত হয়েছে ।
এই জীবনীগ্রন্থ পাঠ করে আমরা শুধুই যে আইনজীবী, দেশপ্রেমী, রাজনীতিজ্ঞ, মেয়র, দানসাগর তথা সুসাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন দাশের জীবন ও কর্মের প্রতিটি পর্ব সম্পর্কে অবহিত হতে পারব তা নয়, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি উত্তাল পর্বের প্রাণস্পন্দনকেও অনুভব করতে পারব গ্রন্থকারের তীক্ষ্ণ, সংবেদী গদ্যে।
পৃথিবীর প্রথম মানুষ-রোবট রোবু-ওয়ানকে নিয়ে ঝিলের ধারে পিকনিকে গিয়েছিল দুই দস্যি যমজ ভাই-বোন_রুকু টুকু। একটা টিলার ওপর খোঁড়াখুড়ি করতেই ভূমিকম্প! কী হল তারপর জানতে গেলে পড়তেই হবে ছোটোদের রুদ্ধশ্বাস কমিকস ডাইনোসরের ডিম!
আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রকোপে ছিন্নভিন্ন ঋতুচক্র, যখন মানুষের অপরিমিত লোভ নিঃশেষ করছে ভূগর্ভের জলস্তর, যখন খরা, বন্যা আর যুদ্ধে বিপন্ন মানবজাতি, তখন একমাত্র ছোটোরাই পারে স্বপ্ন দেখতে। তারাই পারে নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখাতে। নতুন এই ডিঙিনৌকো তাদের বাহন। এতেই সওয়ার হয়ে তারা একদিন ঠিক খুঁজে নেবে সম্ভাবনার নতুন সমুদ্র আর তারায় ভরা নতুন আকাশ।
ছোটদের জন্য অনেক আনন্দ -মজা-ফুর্তি হুল্লোড় ধরা রইল এই আনন্দবার্ষিকীতে । তোমরা , ছোটোরা, তা অনায়াসেই কুড়িয়ে নিতে পারো । ডিঙ্গিনৌকা -র পাতায় পাতায় রইল মন-মাতানো উপন্যাস , রং বেরঙের গল্প , নাটক, খেলা, আলাপচারিতা, দুই দেশের পাখির কথা , কমিকস , আরও কত কী ।
কোভিড ১৯-এর মারণ হানায় যখন গোটা বিশ্ব টলমল, তখনই কাশফুলে ভরে উঠেছে সবুজ মাঠ। মাঠের উপরে নীল আকাশ, পাশে তির তির করে বয়ে চলা ছোটো এক নদী। সে নদীতে ভেসে যায় ডিঙ্গিনৌকা এক । সভ্যতার চরম এই সংকটের সময়েও সে জানে, সুসময় আসবেই । শিশুকিশোর সাহিত্যের সেরা সম্ভার নিয়ে তাই সে এগিয়ে চলে আগামীর পথে । অকুতোভয় ।