• 0 Items - 0.00
    • No products in the cart.

Shop

সমাজবিপ্লবী আম্বেদকর জীবন ও সাধনা / Samajbiplabi Ambedkar Jiban o Sadhana

240.00

সম্পাদনা দেবব্রত ঘোষ

জন্মের একশো পঁচিশ বছর পরেও যদি কোনো মানুষ একটি দেশের প্রাত‌্যহিক জীবনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে যান, তবে তাঁর জীবন ও কর্মের পুনর্মূল‌্যায়ন এক আশু কর্তব‌্য। বাবাসাহেব আম্বেদকর এমনই এক অলোকসামান‌্য ব‌্যক্তিত্ব। শুধু বর্ণবৈষ‌ম‌্য কিংবা অস্পৃশ‌্যতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেই যাওয়া নয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের তীব্র সমালোচনাকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। ভারতীয় দলিত রাজনীতির প্রবক্তা তথা সংগঠকরূপে তো বটেই, সামাজিক ন‌্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ‌্যেও তিনি ছিলেন এক আপোশহীন যোদ্ধা। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার এই মানুষটিই আবার ছিলেন হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক ও পাকিস্তান গঠনের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্পষ্টবাদী এক অন‌ন‌্য মতের প্রবর্তক। যেহেতু তিনি ছিলেন সব ধরনের শোষণের বিরুদ্ধেই মূর্ত প্রতিবাদ, তাই নারীর অধিকার নিয়েও বাবাসাহেব পরিচয় রেখেছিলেন সুচিন্তিত ভাবনার। গান্ধিবাদী কংগ্রেসি সামাজিক-রাজনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমের কুণ্ঠাহীন সমালোচক এই ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন আদ‌্যন্ত জাতীয়তাবাদী।

সমসাময়িক দৃষ্টিতে সুনীতিকুমার (Samasamayika drstite suniti kumar)

200.00

সম্পাদনা পল্লব মিত্র

আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ‌্যায় একালের প্রবাদপ্রতিম ব‌্যক্তিত্ব। বাংলা তথা ভারতের শিক্ষা-সংস্কৃতি-ভাষাতত্ত্ব ও সমাজজীবনে তাঁর অবদানের প্রসঙ্গ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সাহিত‌্য-সংস্কৃতি জীবনের বহু স্বনামধন‌্য ব‌্যক্তি আলোচ‌্য সংকলনে সুনীতিকুমারের জীবন ও জীবনের নানা কথা ব‌্যক্ত করেছেন। তাঁর ছাত্র বা ছাত্রস্থানীয় অনেকেই নানা আলোয় আচার্যকে বোঝবার ও বোঝাবার প্রয়াস পেয়েছেন। নানা কারণেই তাই এই সংকলন গ্রন্থটি সুনীতিকুমারের জীবন তথা বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতির এক উল্লেখযোগ‌্য দলিল হিসেবে পরিগণিত হবার দাবি রাখে।  ২০০৯ সালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ‌্যায় ১২০ বছরে পদার্পণ করবেন। তাঁর প্রয়াণের পর তিন দশক অতিক্রান্ত হলেও সেভাবে সুনীতিকুমারের বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের পরিচয়বাহী কোনো বই সেভাবে পাঠকদের হাতে আসেনি। এমনকী সুনীতিকুমারের পুঙ্খানুপুঙ্খ উজ্জ্বল জীবনের দিনগুলোর কথাও যথাযথ গ্রন্থভুক্ত হয়েছে কি ? ১৯৭৭ সালে তাঁর প্রয়াণের পরই, তাঁকে নিয়ে যে-বিস্তৃত আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল, যার ফলশ্রুতি হিসেবে, সমসাময়িক দৃষ্টিতে সুনীতিকুমার গ্রন্থের প্রকাশ, সেই বইটির নতুন পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রায় পঁচিশ বছর পর পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হল।

সঞ্চয়িতা / SANCHAITA

316.00

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সংকলন মাত্রেরই নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। চয়নিকা (১৯০৯) যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন তার আগে পর্যন্ত যে ক-টি কাব‌্যগ্রন্থ বেরিয়েছে সেগুলি থেকে চয়ন করে একশো তিরিশটি কবিতা গ্রহণ করা হয়।… এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান প্রেসে মুদ্রিত চয়নিকা জনসমাদর লাভে বঞ্চিত হয়নি। এরপর বিশ্বভারতী যখন তৃতীয় সংস্করণ চয়নিকা (১৯২৫) প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, তখন তাতে শুধু কবিতার সংখ‌্যাই বাড়ানো হয়নি, কবিতা নির্বাচনের রীতিরও বদল হয়েছে।… নব-কলেবর চয়নিকা-কে রবীন্দ্রনাথ মেনে নিলেও কবিতা-নির্বাচনের পদ্ধতি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের ভালো লাগেনি।… চয়নিকা বাজারে থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ নতুন কবিতা-সংকলনের কথা ভেবেছেন। আর তারই ফলে সঞ্চয়িতা-র পরিকল্পনা। এবার কবিতাগুলো সংকলনের ভার কবি নিজে নিয়েছেন।…সঞ্চয়িতা প্রথম প্রকাশের (১৯৩১) পর অন‌্যদের কথা সুরে থাক, রবীন্দ্রনাথেরও মনে হয়েছে, অনেক ভালো কবিতা সংকলনের বাইরে পড়ে রইল। পরের দুটি সংস্করণে কিছু গ্রহণ-বর্জন সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের অতৃপ্তি যায়নি।… বিশ্বভারতী প্রকাশিত সঞ্চয়িতা-র সীমাবদ্ধতা (যে-সীমাবদ্ধতার কথা রবীন্দ্রনাথ নিজে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে লেখা ভূমিকায় জানিয়েছেন) মনে রেখেও সঞ্চয়িতা-র যেহেতু কোনো বিকল্প নেই, আমরা সঞ্চয়িতা পুনর্মুদ্রণের কাজে অগ্রসর হয়েছি।…স্থান সংকুলানের বাধ‌্যতায় ‘সংযোজন’ অংশে মাত্র আঠারোটি কবিতা রাখতে সক্ষম হয়েছি।… ‘পাঠ-পরিচয়’ অংশে যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে রবীন্দ্রনাথের নিজের দেওয়া কাব‌্যব‌্যাখ‌্যা. অন‌্যক্ষেত্রে বিশিষ্ট সমালোকদের মন্তব‌্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়েতা রবীন্দ্রকাব‌্য-প্রবেশিকা হিসেবে এই অংশের কিছু মূল‌্য আছে।

সন্দেশ – প্রথম বর্ষ / Sandesh – Pratham Barsha

400.00

ছেলেমেয়েদের জন‌্য সচিত্র মাসিক পত্র (প্রথম বর্ষ, বৈশাখ-চৈত্র ১৩২০)

শ্রীউপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সম্পাদিত

২২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হত। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_শিশুসাহিত‌্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোরের লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সজ্জীবিত হয়নি। ‘ছোটোদের রামায়ণ’ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলোই বাংলা শিশুসাহিত‌্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপিগাইন, বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ‌্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়। রেখায়-লেখায় অনবদ‌্য সন্দেশ  উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদনা পর্বেই অর্জন করেছিল অবিশ্বাস‌্য জনপ্রিয়তা। শুধু সমসাময়িক শিশুসাহিত‌্য প্রকাশনার ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক নিরিখেও এই পত্রিকাটি ছিল অগ্রগামী। গল্প. কবিতা, গান, প্রবন্ধ, জীবনী, ভ্রমণকাহিনি, ভুগোল, বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ক লেখা, আবিষ্কারের গল্প, ধাঁধা, সংবাদ_ বিষয়বস্তুর বৈচিত্র‌ময় পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধারার অলংকরণ এবং মুদ্রণ পারিপাট‌্য সন্দেশ-কে এনে দিয়েছিল এমন এক বহুমাত্রিকতা যা এর চিরকালীন আবেদন সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ থেকে ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার, সামাজিক সংস্কার আন্দোলন এবং পাশ্চাত‌্য সাহিত‌্যের সঙ্গে নবপরিচয় বাংলা শিশুসাহিত‌্যের ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক জাগরণের সূচনা করেছিল, ‘সন্দেশ’ ছিল তারই উত্তুঙ্গ বিন্দু।

শ্রীকান্তের ইন্দ্রনাথ (Srikantera indranath)

60.00

গোপালচন্দ্র রায়

শ্রীকান্তের ইন্দ্রনাথ। ইন্দ্র। সে কি কথাশিল্পীর কপোলকল্পনা? নাকি রক্তমাংসের কোনো বাস্তব চরিত্র? এই প্রশ্নই একদা জিজ্ঞাসু করে তুলেছিল যাঁকে, তিনি গোপালচন্দ্র রায়। শরৎচন্দ্রের প্রামাণ‌্য এই জীবনীকার ইন্দ্রনাথের খোঁজে পৌঁছে গেছেন ভাগলপুরে। কথাশিল্পীর মাতুলালয় ও তার সন্নিহিত অঞ্চলে পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন সত‌্যিকারের ইন্দ্রনাথ অর্থাৎ রাজুর সাহস, বীরত্ব এবং কীর্তিকলাপের কাহিনি। সাহিত‌্যের সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্ক যে কী অমোঘ, কী অনিবার্য, তা আরও একবার মূর্ত হয়ে উঠল লেখকের গবেষণাধর্মী অনুসন্ধানে। শরৎচন্দ্রের ছেলেবেলার গল্প গ্রন্থের অন্তর্গত লালু বিষয়ক তিনটি গল্পও সংযোজিত হয়েছে এই সংকলনে। কারণ, লালুর গল্প হলেও এগুলি আসলে ইন্দ্রনাথ ওরফে রাজুরই কাহিনি।

সুভাষ কি ওটেনকে মেরেছিলেন? / Subhash Ki Otenke Merechilen?

100.00

বারিদবরণ ঘোষ

সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ‌্যাপক ওটেনকে নিগ্রহ করেছিলেন কি না, জবাব মেলেনি এ প্রশ্নের। নেতাজির তথাকথিত ‘বিমান দুর্ঘটনাজনিত মৃত‌্যু’ যেমন আজও রহস‌্যাবৃত, তেমনই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ‘ওটেন নিগ্রহ’ অধ‌্যায়। এ নিয়ে বিতর্কের তিনটি অভিমুখ আছে : (১) সুভাষ প্রত‌্যক্ষভাবে তাঁর অধ‌্যাপককে নিগ্রহ করেছিলেন কি না,     (২) এ প্রসঙ্গে তাঁর নীরবতা, (৩) এ প্রসঙ্গে ওটেনের সবকিছু পরিষ্কার করে না বলা। এ গ্রন্থে সুভাষ-ওটেন প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে এই তিনটি অভিমুখ ধরেই। সংযোজিত হয়েছে সুভাষচন্দ্রের সহপাঠী বি এ রায়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত প্রতিবেদন। সুভাষ নিরপরাধ, সুভাষ অবশ‌্যই অপরাধী_ওটেন প্রসঙ্গে এই দুই চরমপন্থী বিশ্লেষণ থেকে নৈর্ব‌্যক্তিকভাবে নিজেকে দুরত্বে রেখে সম্পাদক কুশলতার সঙ্গে সন্নিবেশিত করেছেন বহু দুষ্প্রাপ‌্য নথি, তথ‌্য ও প্রতিবেদন_যাদের ঐতিহাসিক মূল‌্য আজও কিছুমাত্র কম নয়। কালক্রমে যিনি হয়ে উঠবেন ‘এশিয়ার মুক্তিসূর্য’, তাঁরই ছাত্রজীবনের একটি অনালোকিত অধ‌্যায় এবার আলোকবৃত্তে।

সুকান্ত সমগ্র / Sukanta Samagra

240.00

সম্পাদনা ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার

যে রাজনৈতিক স্লোগান বা সংহত, সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক বার্তা সুকান্তর কবিতায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তা তখনকার উদ্দীপ্ত জনজীবনের স্বপ্নেরই বার্তা, তখনকার সময়েরই দান। তাঁর কবিতায় হয়তো কখনো কখনো রং-তুলির কৈশোরক স্পর্শ কম লেগেছে, কিন্তু আন্তরিকতার অভাব ছিল না। রাজনীতি আর কাব‌্যিক আবেগের মধ‌্যে কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয়নি তাঁর। কেনই বা মনে হবে! জীবন-স্বপ্নই তো রাজনীতি। আর, সুকান্ত-র কাছে তাঁর কবিতা তো সেই জীবন-স্বপ্নেরই প্রকাশ। যে ছাড়পত্র দিয়ে কবিতার আসরে নেমেছিলেন তিনি, তাতে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ‌্য করে যাব আমি_ নবজাতকের কাছে’_এই অঙ্গীকারই ছিল। মাটির রসের মধ‌্যে ভাবী বনস্পতির সম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণেই তিনি ভবিষ‌্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘যদিও রক্তাক্ত দিন, তবু দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে/এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।’ যে ‘বলিষ্ঠ’ শিশুদের জন‌্যে বাসযোগ‌্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, সেই শিশুদেরই তাঁর কবিতায় দেখা গেল অশ্বত্থ-শিশুর প্রতীকে। উদ্ধত প্রাচীন প্রাসাদের গায়ে অবাধ‌্য ফাটল ধরিয়ে গোপন শক্তির বারুদ জমিয়ে তারা রক্ত-ঘাম-চোখের জলের ধারায় বিদ্রোহের দূত হয়ে আসছে।

তারাবন্দর / Tarabandar

125.00

বিনায়ক বন্দ‌্যোপাধ‌্যায়

চিনের আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে ভারতের প্রতিনিধি কবি এই উপন‌্যাসের নায়ক নয়, সূত্রধরমাত্র। তবু সেই সূত্রেই সে হয়ে ওঠে এক আশ্চর্য আখ‌্যানের অংশ। আবিষ্কার করে সাসপেন্সের সুতো নয়, জীবন এবং উপন‌্যাস দুটোকেই এগিয়ে নিয়ে চলে বিনিসুতোর ভালোবাসা। এই উপন‌্যাসে চিন কোনো টুরিস্ট স্পট নয়। কম্পাস যেরকম একটা বিন্দুর ওপর পা রেখে এঁকে ফেলে বড়ো একটা বৃত্ত, চিন এখানে সেরকমই এক বিন্দু। সেই বিন্দুতে সারা পৃথিবীর কাহিনিসিন্ধু এসে মিশেছে। ঢেউয়ের পরে ঢেউ ভেঙে ওরাই গড়ে তুলেছে তারাবন্দর।

উদ্ধৃতি-অভিধান / UDHRITI ABHIDHAN

650.00

ড. দিলীপ কুমার মিত্র

কোনো কোনো উদ্বৃতি সংকলন দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে ভূমিকম্পের মতো নাড়িয়ে দেয়। যেমনটি ঘটেছিল গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকে। লাল মলাট দেওয়া জনৈক চিনা দার্শনিক ও রাষ্ট্রনীতিবিদদের উদ্ধৃতির সংকলন-গ্রন্থটি সমগ্র বিশ্বের যুবমানসে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। শ্রীরামকৃষ্ণের বাণীসমূহ গভীর অধ‌্যাত্মভাবসম্পন্ন ও জীবনবোধে অনন‌্য; রামকৃষ্ণকথামৃত গ্রন্থে সংকলিত তাঁর মুখনিঃসৃত কথাগুলি এক মহাসাধকের প্রজ্ঞানিষিক্ত ভাবনার সহজ মহিমান্বিত উদাহরণ। রবীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি জ‌্যোতির্ময় আলোকশিখার মতো উদ্দীপ্ত_ সেগুলি তারায় তারায় দীপ্তশিখার অগ্নি জ্বালিয়ে চিরকালের মানুষকে পথ দেখায়। একদা গৈরিক বেশধারী এক দিব‌্যচেতন প্রাচ‌্য সন্ন‌্যাসীর উদ্ধৃতিযোগ‌্য সংক্ষিপ্ত ভাষণ ও ভ্রাতৃত্বের আহ্বান ধনতান্ত্রিক সভ‌্যতার বুকে কাঁপন তুলেছিল; সামাজিক সাম‌্যের পক্ষে তাঁর সংকলিত উদ্ধৃতি শতাধিক বছর পেরিয়ে আজও মানুষকে উদ্দীপ্ত করে, উদ্বুদ্ধ করে। কালপ্রয়াত এক তরুণ কুমার কবির আগুনের মতো উক্তি পাঠকের চেতনায় নাড়া দেয়_ তা পড়ে ‘বিশ্ব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই লেনিন’।