প্রভাসচন্দ্র ধর
চোদ্দোটি গল্প। ভিন্ন ভিন্ন গল্প, বিভিন্ন কালের ও বিভিন্ন সামাজিক স্তরের। চল্লিশ বছর ধরে লেখা কিছু গল্প থেকে বাছাই করা। চরিত্রে আছে নর-নারী, হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান, সমতলবাসী-গিরিবাসী ও দুটি চড়াইও।
সন্তোষকুমার ঘোড়ই
কী ঈশ্বর কণা ? কেন এই কণাকে নিয়ে সারাপৃথিবী জুড়ে এত মাতামাতি? ঈশ্বর কণার খোঁজে কী তুলকালাম কাণ্ড চলেছে বিশ্বের বিজ্ঞানীমহলে সহজভাষায় তার তত্ত্বতালাশ মিলবে এই বইয়ে।
ড. অমিতাভ দাস
মতভেদ থাকলেও, হোমিয়োপ্যাথি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি। এই সত্য মেনে নিয়েই গ্রন্থটিতে হোমিয়োপ্যাথির দর্শন ও বিজ্ঞানকে আরও যুক্তিসহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হোমিয়োপ্যাথিক বিধিমতে কীভাবে করলে স্থায়ী ও প্রকৃত আরোগ্যলাভ সম্ভব, তা সাধ্যমতো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেসব রোগলক্ষণের ওপর নির্ভর করে হোমিয়োপ্যাথিক চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে থাকেন, বইটি সেইসমস্ত ডায়াগনসিসের ভিত্তিতেই রচিত। বর্তমান ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কর্পোরেটশাসিত মুনাফালোভী স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা যখন ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন হোমিয়োপ্যাথির আরও প্রচার ও প্রসার প্রয়োজনীয়। এই হ্যান্ডবুক সেই উদ্দেশ্যকেও সফল করবে।
ঔপন্যাসিক স্বয়ং যখন চয়ন করে নেন তাঁর উপন্যাসমালার এক-একটি আখ্যান, তখন নিশ্চিতভাবেই সেই নির্বাচনের পিছনে কোনো–না-কোনো অভিপ্রায় কাজ করে। ‘শ্রীবুদ্ধদেব গুহর স্বনির্বাচিত উপন্যাস’ (প্রথম খণ্ড) আমাদের বিস্ময় উদ্রেক করেছিল। সাতটি উপন্যাস নিয়ে শুরু হয়েছিল যে-সিরিজ, তাঁর দ্বিতীয় খণ্ডে এসে রচিত হয় এমন এক জীবন যে- জীবনকে ঘিরে এমন এক বহুমাত্রিক আখ্যান, যার সহস্র দ্বার অবারিত। উপন্যাসের এই সহস্র দুয়ার দিয়ে পাঠক পরিভ্রমণ করেন কথাসাহিত্যের ভুবনে।
ছোটোগল্পকার হিসেবে বুদ্ধদেব গুহ সংবেদী, অনুসন্ধানী এবং একইসঙ্গে নির্মম। বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের অন্দরমহলে যেমন অনায়াস তাঁর প্রবেশ, তেমনই তিনি অকুতোভয় – যখন কথকের জিপ সভ্যতার সীমানা ছাড়িয়ে প্রবেশ করে কোনো আরণ্য-অন্ধকারে। সর্বমোট ৬১টি ছোটোগল্পের এক বিরল সমাহার ‘পুষ্পমঞ্জরি’-তে
প্রাবন্ধিক হরিপদ দে-র বিচিত্রগামী অনুসন্ধিৎসা আমাদের প্রণোদিত করেছে নৃতত্ত্ব, বাংলা সাহিত্য প্রাচীন যুগ, বাংলা সাহিত্য মধ্য যুগ, বাংলা সাহিত্য আধুনিক যুগ, বাংলা লোকসাহিত্য, বিবিধ এবং রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ প্রসঙ্গ- সকল প্রবন্ধকে এই সাতটি শীর্ষকের অর্ন্তভুক্ত করতে। প্রবন্ধগুলির সহজ সরল ভাষা, বক্তব্যবিষয়ের সরল উপস্থাপনা এবং বিষয়-অতিরিক্ত মননঋদ্ধতা প্রাবন্ধিক হিসেবে লেখকের জাত চিনিয়ে দেয়।
জগতের নাথ বা পিতা যিনি, তিনিই প্রভু জগন্নাথ। তিনি আদি। তিনি অনন্ত। অন্যান্য ঠাকুরের মতো তাঁর বিসর্জন নেই। শুধু আছে এক কলেবর থেকে অন্য কলেবর ধারণ। যে-বছর আষাঢ় মাস মলমাস হিসেবে নির্ধারিত হয়, সে মাসেই প্রভু তাঁর পুরোনো শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করেন। নতুন এই কলেবর প্রস্তুত হয় শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম চিহ্নবিশিষ্ট দারুবৃক্ষ দিয়ে।
এই সময়ের বিশিষ্ট কবি প্রদীপ কুমার রায়ের কবিতায় ধরা পড়ে এক অব্যক্ত বেদনা। বিচিত্র বিষয়ক কবিতার মধ্যেও ফিরে ফিরে আসে এক খোঁজ। কবি খুঁজে ফেরেন তাঁর মনের মানুষ। এক মায়াবী আলোয় মাখা অপূর্ব সারল্যের বিস্তার এই বই জুড়ে। যেন এ কোনো কবিতা নয়, এ হল নদী, যা বাঁকে বাঁকে বদলে নেয় নিজেকে এবং সেইসঙ্গে নিজের অভিমুখ।