শীর্ষেন্দুর প্রেমের গল্প হয়তো-বা কুয়াশার আড়ালে লুকিয়ে থাকা এক জীবন্ত পৃথিবী। সেখানে পায়ের তলায় অন্ধকার রেলগাড়ির মতো বয়ে চলে জল। ব্রহ্মপুত্রের ওপর দিয়ে শম্ভুগঞ্জের দিকে ভেসে চলে গুদারা নৌকো। বাড়ির চূড়ার শ্বেতপাথরের পরিটা মার্বেলের ভিত ছেড়ে উড়ে চলে যায় মোড়ের লাল রঙের বেঁটে ডাকবাক্সটার কাছে। বহুকালের পুরোনো তাদের প্রেম। শরীরী, অশরীরী, জান্তব, যান্ত্রিক—সব প্রেমই রহস্যময় এক কুয়াশার খোলসে ঢাকা থাকে শীর্ষেন্দুর জাদুগদ্যে। তাই নাগরিক কিংবা মফসসলি—চেনা-অচেনা সব পটভূমিতেই প্রেম শীর্ষেন্দুর গল্পে ভিন্ন এক মাত্রা নিয়ে উপস্থিত থাকে। গঞ্জের মানুষ থেকে পরপুরুষ হয়ে তাঁর কলম ঝড় ছুঁয়ে চলে যায় উদ্দীষ্ট পাত্রীর সন্ধানে। এই সংগ্রহে সংকলিত হল শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এমন পঞ্চাশটি গল্প, শুধু প্রেমের কাহিনি নয়, কালের বিচারে ছোটোগল্প হিসেবেও যেগুলি উত্তীর্ণ।
ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই জয়পতাকাবাবুকে দেখে বীর বলে আদৌ মনে হয় না। কিন্তু তিনিই চমকে দিলেন যখন খেলার মাঠে একদিন মোলাকাত হয়ে গেল শহরের সবচেয়ে সাংঘাতিক জীব কালুর সঙ্গে। ভয়ংকর সেই ষাঁড়ের মুখোমুখি দিব্যি লড়ে গেলেন জয়পতাকাবাবু। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। কালুর গুঁতোয় উড়ে গেলেন তিনি। শূন্যে বার দুই সামারসল্ট খেয়ে শেষমেশ সওয়ার হলেন সেই কালুরই পিঠে! দর্শকমণ্ডলীর তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে জয়পতাকাবাবুকে পিঠে নিয়ে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে থাকল কালু। শহর পেরিয়ে ঢুকে পড়ল পটাশগড়ের ভয়াবহ জঙ্গলে। তারপর? রোমহর্ষক সেই ঘটনা জানতে হলে পড়তেই হবে পটাশগড়ের ভয়াবহ জঙ্গলে ।
অন্নদাশঙ্কর রায়
অন্যান্য ভ্রমণকাহিনির থেকে পথে প্রবাসে-র স্বাতন্ত্র্য এইখানেই যে, অন্নদাশঙ্করের চোখ শুধু অবলোকন করেই থেমে থাকেনি, তা তাঁর মনকে প্ররোচিত করেছে অনুভবী বিশ্লেষণে। প্রাচ্য পাশ্চাত্যের নিরন্তর তুলনা করে তিনি উপনীত হয়েছেন গভীর দার্শনিক উপলব্ধিতে।
যখন অন্নদাশঙ্কর লেখেন, ‘পৃথিবী দিন দিন বদলে যাচ্ছে, মানুষ দিন দিন বদলে যাচ্ছে_কিন্তু উন্নতি? প্রগতি? পারফেকশন? তা কোনোদিন ছিলও না, কোনোদিন হবারও নয়়’, তখন আমরা অনুভব করি ইতিহাস সচতেন তো তিনি বটেই, সেই সঙ্গে পরম প্রজ্ঞাময় এক দ্রষ্টাও।
যেসব ছেলে মেয়েরা বাংলা বর্ণপরিচয় সদ্য সমাপ্ত হয়েছে তাদের জন্য রবীন্দ্রনাথের সহজপাঠ খুবই উপযোগী I
চিত্রনাট্য ও ছবি: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাগলা দাশুকে কে না-চেনে? যেমন অদ্ভুত তার কথাবার্তা, তেমনই বিটকেল তার আচার-আচরণ! চেহারায়, কথাবার্তায়, চালচলনেই বোঝা যায় তার মাথায় একটু ছিট আছে! কিন্তু বোকা সে একেবারেই নয়। অঙ্ক কষার সময় দিব্যি তার মাথা খোলে! আর বন্ধুদের বোকা বানিয়ে তামাশা দেখার জন্য এমন ফন্দি দাশু বার করে, যে তার বুদ্ধির তারিফ না-করে পারা যায় না!