মহাকবি সোমদেব ভট্ট
কথারূপ সরিৎসমূহের সাগর-ই কথাসরিৎসাগর। মহাকবি সোমদেব ভট্ট বিরচিত এই মহাগ্রন্থের স্বাদু অনুবাদ ও পুনঃকথন এই প্রথম বাংলায়। গল্পের মধ্য থেকে বেরিয়ে আসছে আর-একটি গল্প। তা থেকে আরও একটি _এরকমভাবে গল্পের প্রবাহ সৃষ্টি করেছে অসংখ্য তরঙ্গের যারা মিলেমিশে তৈরি করেছে কথাসাহিত্যের এক অতলান্ত সমুদ্র যা বহু ক্ষেত্রেই আদি ও বীভৎসরসে সিঞ্চিত। এতৎসত্ত্বেও গৃহী পাঠকের জন্য এখানে উপস্থিত হিতকথা, নীতিবাক্য ও শাস্ত্রীয় উপদেশ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের তিনটি উপন্যাস
কথাসাহিত্য হয়তো-বা স্রোতস্বিনী এক নদী, যার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকে অচেনার আনন্দ, অজানার আহ্বান এবং দু-পারের কথামানুষের নিয়ে নানা নির্মাণ-অবিনির্মাণ। বহতা সেই স্রোতের উজান বেয়ে যদি আমরা উৎসে পৌঁছোতে চাই, চাই শীর্ষকে ছুঁতে, তবুও কি দেখা মেলে তাঁর ? উৎসারিত গদ্যের উৎসে রয়েছেন যিনি, সৃষ্টির মূল চৈতন্যময় ঈশ্বরপ্রতীম স্রষ্টা ? অন্যের অভাব পূরণ করেন যিনি, তিনিই পুরুষ। আর কথাপুরুষ হলেন সেই স্রষ্টা, যাঁর সৃষ্টিতে তন্নিষ্ঠ পাঠক খুঁজে পান এক সম্পূর্ণতা, আমাদের চেনা পৃথিবীরই আর এক প্রতিরূপ। শুরু হল কথাপুরুষ, পারুল চিরায়ত উপন্যাসসংগ্রহ। সূচনায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত তিনটি উপন্যাস_অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ও দুই নারী হাতে তরবারি।
পুরঞ্জনপ্রসাদ চক্রবর্তী
ধর্ম বলতে স্বামীজি কোনো বিশেষ মতবাদকে বোঝাতে চান কি না, সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘সব ধর্মের সংকীর্ণতা দূরীভূত করে এক উদার মানবধর্ম প্রচার করার জন্য শ্রীরামকৃষ্ণদেব ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন_আমি শুধু সে কথাটিই প্রচার করতে চাই। আমার মতে ধর্ম যদি মানুষের অন্তরে শক্তি জোগাতে না পারে, তবে তা ধর্মই নয়।’ প্রকৃত অর্থে তথাকথিত অচলায়তন ধর্মের প্রতি প্রবল অনাস্থাতেই বিশ্বপরিব্রাজক এই সন্ন্যাসী মানবসেবার কর্মযজ্ঞে নিবেদন করেছিলেন নিজেকে। মানবতাবাদী এই মহাজনের বহু আলোচিত জীবনালেখ্যকে এক নতুন বাকবিন্যাসে, অভিনব বিশেষণে দিশাহীন নবপ্রজন্মের ভরসা-স্থল করে তুলতে চেয়েছেন কর্মযোগী বিবেকানন্দ গ্রন্থের প্রণেতা। গ্রন্থের পরিশেষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবেই লেখক সংযোজন করেছেন স্বামীজির অমূল্য বাণী এবং তাঁর প্রতি বিভিন্ন মনীষী ও বিশিষ্টজনের উল্লেখযোগ্য অভিমত। ভগিনী নিবেদিতা, সুভাষচন্দ্র বসু, রবীন্দ্রনাথ ও মহাত্মা গান্ধি প্রমুখ বিশিষ্টজনের সশ্রদ্ধ অভিমতের আলোয় দীপিত হবেন পাঠক।
প্রশান্ত মাজী
কমলকুমার মজুমদারের শুধুমাত্র প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে নয়, তাঁর বহু অপ্রকাশিত ও অগ্রন্থিত রচনা থেকে তথ্য আহরণ করে এই বইটি রচিত। তাই কমলকুমারের সামগ্রিক জীবন ও শিল্পীসত্তাকে জানতে এবং কমলকুমারের ধ্রুপদি রচনায় মনোনিবেশ করতে সেসব তথ্য পাঠককে অনেকটাই আলো দেখাবে। এই বই তাই কমলকুমারের লেখক ও শিল্পীজীবনে প্রবেশের এক সংক্ষিপ্ত পরিচয়-কথা। স্বাদু ও সহজ গদ্যে লেখক তুলে ধরেছেন সেই সংক্ষিপ্ত সাহিত্য–জীবন-শিল্প-কথার ধারাবিবরণ।
চিত্রনাট্য ও ছবি: সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়
পাগলা দাশুকে কে না-চেনে? যেমন অদ্ভুত তার কথাবার্তা, তেমনই বিটকেল তার আচার-আচরণ! চেহারায়, কথাবার্তায়, চালচলনেই বোঝা যায় তার মাথায় একটু ছিট আছে! কিন্তু বোকা সে একেবারেই নয়। অঙ্ক কষার সময় দিব্যি তার মাথা খোলে! আর বন্ধুদের বোকা বানিয়ে তামাশা দেখার জন্য এমন ফন্দি দাশু বার করে, যে তার বুদ্ধির তারিফ না-করে পারা যায় না!