বাংলার ঐতিহ্য কলকাতার অহংকার / BANGLAR OITIJYA KOLKATAR AHANKAR
পল্লব মিত্র
কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে। কবি জীবনানন্দ দাশের একথা অক্ষরে সত্য হয়ে উঠেছে আজ। তিন শতাব্দী পেরোনো কলকাতার মুখে পড়েছে অহংকারের আলো। এ অহংকার ঐতিহ্যের। ঐতিহ্যশালী কলকাতার যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে কত না মহার্ঘ্য সম্পদ। কত ঐতিহাসিক স্থান। এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় তারই তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ উল্লেখ। মহাকরণ, শহিদ মিনার, হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি, স্বামিজির বাসভবন, এশিয়াটিক সোসাইটি, চিড়িয়াখানা প্রভৃতি স্মৃতিবিজড়িত স্নানগুলির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে লেখক গবেষক পল্লব মিত্রের সৃজনশীল প্রয়াসে।
ভারতের সংবিধান / Bharater Sanbidhan – (Prof. Apurba Kumar Mukhopadhyay)
অনুবাদক: ড. তারকনাথ মল্লিক
সম্পাদনা: প্রফেসর অপূর্ব কুমার মুখোপাধ্যায়
রক্তে রাঙা জলিয়ানওয়ালাবাগ / RAKTE RANGA JALIYAVOYALABAG
পুরঞ্জন চক্রবর্তী
১৩ এপ্রিল ১৯১৯ সালে অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে অহিংস এক সমাবেশের ওপর চলল গুলি। ১৬৫০ রাউন্ড। প্রাণ গেল হাজারেরও বেশি নরনারীর। নারকীয় এই গণহত্যা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ইতিহাস সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের আনুপূর্বিক ইতিহাস এবং তার ফলশ্রুতি এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে কথোপকথনের মাধ্যমে।
রাজতরঙ্গিনী / RAJTARANGINI
₹495.00সম্পাদনা অমিত ভট্টাচার্য
কলহনের রাজতরঙ্গিণী তদানীন্তন কাশ্মীরের সমাজ-ইতিহাসের দলিল। আগামী দিনের সমাজ-গবেষকের গবেষণার বিষয়বস্তুও বটে। সুশাসন এবং অপশাসন দুটোই পাঠকের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে। সুশাসকের জয় এবং অপশাসকের নিন্দামন্দ ক্ষমতার শীর্ষে থাকা আধুনিককালের পদাধিকারীদেরও রাস্তা দেখায়। এখানে পাঠক উপলব্ধি করেন যে, রাজারাজড়াদের ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। ন্যায়নীতির পৃষ্ঠপোষক এবং দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কুশীলবদের চরিত্রচিত্রণের ক্ষেত্রে লেখকের অনবদ্য মুনশিয়ানাতেও পাঠক বিস্মিত হন। দুর্ভিক্ষাদি সংকটকালে দেশবাসীর ভরসা যে প্রচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মানুষ_ইতিহাসপ্রণেতা কলহন তা প্রতিপন্ন করেছেন। মুদ্রা, জালমুদ্রা, যুদ্ধবিগ্রহ, অপরাধপ্রবণতা, গুপ্তচরবৃত্তি, সজ্ঞানে অপরকে প্রতারিত করার পাশাপাশি মন্দির-উদ্যান-বিহার নির্মাণ, খালখনন, জলবণ্টন ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি ভেদে অমা-উমা উভয়ই চিত্রিত হয়েছে গ্রন্থটিতে। নিরপেক্ষ বিচারবুদ্ধি, তথ্যবিন্যাস এবং দেশ ও জাতি সম্বন্ধে জ্ঞাতব্য তথ্যসমূহের নিবিড় পরিচয়ই ঐতিহাসিককে প্রকৃত ইতিহাস রচনায় প্রেরণা জোগায়। এর সব গুণই কলহনের ছিল। কাশ্মীর সম্বন্ধে যা কিছু জানবার কলহন তা যথাসাধ্য পরিবেশন করেছেন। শান্তরসপ্রধান এই রচনা ইতিহাস ও মহাকাব্যের দ্বৈতমর্যাদায় ভূষিত।
সবার উপরে / Sabara Upare
সুচিত্রা সেনের জীবন ও ছবি
সবার উপের তো তিনিই। সুচিত্রা সেন। রমা থেকে মিসেস সেন হয়ে ওঠার আটপৌরে মধ্যবিত্ত গল্পে থেমে থাকেনি তাঁর জীবন। জীবদ্দশাতেই তা হয়ে উঠেছে কিংবদন্তীসম। আর তিনি সুচিত্রা সেন হয়তো-বা সবচেয়ে বিখ্যাত বাঙালি নারী বনলতা সেনের মতোই এক অপূর্ব জীবনানন্দ-কবিতা হয়ে বাঙালির শয়নে, স্বপনে, জাগরণে বারে বারে আবির্ভূতা। বিগত শতাব্দীর যে সময়ে রুপোলি পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ, ভিটেমাটি ছেড়ে লাখো লাখো মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে চলে আসছেন এ বাংলায়। দেশভাগ-উত্তর পিচ্ছিল, হতাশ সে সময়ে প্রেমহীন, স্বপ্নহীন, বাঙালিকে প্রেমে পড়তে, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন তিনি। যাঁরা বলেন সুচিত্রা-অভিনীত বেশিরভাগ ছবিই আসলে লিবিডোতাড়িত হীনম্মন্য এক জাতির রোম্যান্টিক এসকেপ, তাঁরা পুরোটা বলেন না। অনেক ক্ষেত্রেই মিলনান্তক সে-সব ছবিতেও কি লেগে থাকে না অস্থির এক সময়ের আঁচড়? নতুন দেশে, নতুন কালে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাওয়া শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত বাঙালি নারীর আত্মপরিচয় খোঁজার লড়াইকে যেভাবে অভিনয়ের মাধ্যমে একের পর এক ছবিতে মূর্ত করে তুলেছিলেন তিনি তার তুলনা ভারতীয় চলচ্চিত্রে কেন, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রেও নেই। ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৮_এ এক অলীক সফর! অভিনয়জীবনের এই পঁচিশ বছরে সুচিত্রা শুধু নায়িকা থেকে মহানায়িকাই হয়ে ওঠেননি, তিন দশক ধরে তিনি কার্যত শাসন করে গেছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে। ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথম কোনো অভিনেত্রী বদলে দিলেন পুরুষ-আধিপত্যবাদী সিনেমাশিল্পের যাবতীয় সমীকরণ। নায়িকা, মহানায়িকা কিংবা ভারতীয় সিনেমার গ্রেটা গার্বো বলে তাঁকে বিশেষিত করতে চাওয়া আমাদের প্রমাদ, ঐতিহাসিক ভ্রান্তি। বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমায় আসলে তিনিই নায়ক। তিনি ইন্ডাস্ট্রি!
সামাজিক-সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান / Samajik-Sanskritik Nribigyan
₹380.00ড. সুমাহন বন্দ্যোপাধ্যায়
নৃবিজ্ঞানের বিকাশ, তার নানাদিক ও বিষয় ও পরিধি আলোচিত হয়েছে বর্তমান গ্রন্থে। পরিবার, বিবাহ, আত্মীয়তা, ধর্ম, রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার মতো সামাজিক-সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের পরিচিত বিষয়সমূহ যেমন এখানে স্থান পেয়েছে, তেমনই আলোকিত হয়েছে ভারতের আদিবাসী পরিপ্রেক্ষিত ও উন্নয়নের সমসাময়িক প্রসঙ্গও। তথ্যসংগ্রহ ও ক্ষেত্র সমীক্ষার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে মেধাবী অনুসন্ধানের খোঁজ এ বইকে দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা।
সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের সন্ধানে / Sirajer Putra O Bangsodharder Sandhane
₹250.00অমলেন্দু দে
পলাশির যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া কয়েকটি তথ্যের অনুসন্ধানে দীর্ঘকাল ব্যাপৃত ছিলেন অধ্যাপক অমলেন্দু দে। এই যু্দ্ধ- সংক্রান্ত ভারতীয় ও বিদেশি লেখকদের মূল্যবান গ্রন্থসমূহ এবং সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত নথিপত্রেও সেগুলির সন্ধান না পাওয়ায় তিনি আঠারো শতকের পারিবারিক কাগজপত্র অনুসন্ধান করতে থাকেন। অধ্যাপক দে বিশেষ নজর দেন সেইসব জমিদার পরিবারের নথিপত্রে, যাঁরা ১৭৫৭ কিংবা ১৭৫৮ সালে দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ময়মনসিংহের জমিদার পরিবারের সঙ্গে বাংলার নবাবদের সুসম্পর্ক ছিল। অধ্যাপক দে ময়মনসিংহের ইতিহাস গ্রন্থে এমন কিছু তথ্য পান, যার সূত্র ধরে তিনি খোঁজ পেয়ে যান ইতিহাসে অনু্ল্লেখিত সিরাজউদদৌলার পুত্রের। সিরাজের সন্তান এই জমিদার পরিবারেই দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছিলেন। সিরাজের অন্যতম সেনানায়ক মোহনলাল ছিলেন সিরাজের স্ত্রী আলেয়ার দাদা। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আলোয়ার নাম ছিল হীরা। সিরাজ ও হীরার এই পুত্রকে নিয়ে মোহনলাল যু্দ্ধক্ষেত্র থেকে ২৩ জুন (১৭৫৭ সাল) পালিয়ে চলে যান ময়মনসিংহ। তারপর সেখানকার জমিদার পরিবারে তাঁর আপন ভাগিনেয়কে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই দত্তক পুত্রের নাম হল যুগলকিশোর রায়চৌধুরী। যেভাবে একের পর এক নবলব্ধ তথ্যের সাহায্যে সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের অজানা ইতিহাস এ গ্রন্থে উন্মোচিত হয়েছে, তা এককথায় অনবদ্য। প্রসঙ্গত, মোহনলাল সম্পর্কে অধ্যাপক দে যে-সকল অজানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তার ঐতিহাসিক মূল্য অনস্বীকার্য। সব মিলিয়ে, পলাশির যুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য আলোচনায় এই গ্রন্থ এক মহামূল্যবান সংযোজন।