উপন্যাস সমগ্র – তৃতীয় খণ্ড / Upannyas Samagra – Tritiwa Khanda
₹200.00শৈলেন ঘোষ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর শৈলেন ঘোষই সবচেয়ে সার্থকভাবে ছোটোদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ-ছবির ভিন্ন এক জগৎ।
Subtotal : ₹300.00
শৈলেন ঘোষ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর শৈলেন ঘোষই সবচেয়ে সার্থকভাবে ছোটোদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ-ছবির ভিন্ন এক জগৎ।
শৈলেন ঘোষ
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পর শৈলেন ঘোষই সবচেয়ে সার্থকভাবে ছোটোদের জন্য সৃষ্টি করেছেন শব্দ-ছবির ভিন্ন এক জগৎ।
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের তিনটি উপন্যাস
কথাসাহিত্য হয়তো-বা স্রোতস্বিনী এক নদী, যার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকে অচেনার আনন্দ, অজানার আহ্বান এবং দু-পারের কথামানুষের নিয়ে নানা নির্মাণ-অবিনির্মাণ। বহতা সেই স্রোতের উজান বেয়ে যদি আমরা উৎসে পৌঁছোতে চাই, চাই শীর্ষকে ছুঁতে, তবুও কি দেখা মেলে তাঁর ? উৎসারিত গদ্যের উৎসে রয়েছেন যিনি, সৃষ্টির মূল চৈতন্যময় ঈশ্বরপ্রতীম স্রষ্টা ? অন্যের অভাব পূরণ করেন যিনি, তিনিই পুরুষ। আর কথাপুরুষ হলেন সেই স্রষ্টা, যাঁর সৃষ্টিতে তন্নিষ্ঠ পাঠক খুঁজে পান এক সম্পূর্ণতা, আমাদের চেনা পৃথিবীরই আর এক প্রতিরূপ। শুরু হল কথাপুরুষ, পারুল চিরায়ত উপন্যাসসংগ্রহ। সূচনায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত তিনটি উপন্যাস_অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ও দুই নারী হাতে তরবারি।
প্রভাতী ভট্টাচার্য
চট্টগ্রামের এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে মামাবাড়িতে বিদ্যোৎসাহী দাদা-দিদিদের সঙ্গে বড়ো হয়ে উঠছিল রূপা। শিল্পোদ্যোগী পিতার সাহচর্য ও স্নেহ সেই মেয়েবেলায় এনে দিয়েছিল সোনালি রোদ্দুর। পিতার পথ ধরেই রূপা আপন করে নিয়েছিল সংগীত-সাহিত্য–শিল্পকলার বিমূর্ত জগতকে। দেশভাগ বদলে দিল তার ছন্দোময় জীবনের যাত্রাপথকে। সাগরপাড়ি দিয়ে রূপারা এল কলকাতায়। তারপর? প্রভাতী ভট্টাচার্যর এই প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসে এক অদ্ভুত স্মৃতিমেদুর গদ্য আমাদের একাত্ম করে দেয় রূপার জীবনের সঙ্গে। তার জীবনযুদ্ধ হয়ে ওঠে আমাদেরই প্রতিদিন। আর সেই যাত্রাপথে রয়ে যায় সমসময়ের পদচিহ্ন। জীবনের এই জলছবি কখনো কখনো আবেগবিহ্বল আবার কখনো তা অশ্রুত কোনো রুদ্ধসংগীত।
আশাপূর্ণা দেবী
জানা জগতের বাইরে পা ফেলতে চাননি আশাপূর্ণা_একথা স্বীকার করে গেছেন নিজমুখে। নিরাসক্তভাবে অবিরাম। শুধু লিখে যেতে চেয়েছেন সংসারে নারী-পুরুষের সম্পর্ক, তার টানাপোড়েন এবং তারই অন্তঃস্থিত ভেজাল-নির্ভেজালের কারবার নিয়ে। তবু_এ সংগ্রহের লেখাগুলি পড়লে বোঝা যায়_ তাঁর জানা সেই সসীম জগতের সীমাই কত-না অসীম, অজানাকে জানা বোঝার আগ্রহে কত-না অবিচল। আর এই লিখে যাওয়া_সে তো কেবলই রচনাপ্রসব নয়, মাঝে মাঝেই তা এত উঁকি মারে সমাজ-দর্শন, পুরুষতন্ত্রের পরাক্রান্ত ধাঁচাটি ধরে টান মারার দুঃসাহস, এমনকী দক্ষিণের খোলা জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া উতল হাওয়াও। সাগরে ঢেউ গুনতে গুনতে লেখক কখন যে পাঠক হয়ে যান, আর পাঠক লেখক, তার খেয়াল কে রাখে!
বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়
চিনের আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসবে ভারতের প্রতিনিধি কবি এই উপন্যাসের নায়ক নয়, সূত্রধরমাত্র। তবু সেই সূত্রেই সে হয়ে ওঠে এক আশ্চর্য আখ্যানের অংশ। আবিষ্কার করে সাসপেন্সের সুতো নয়, জীবন এবং উপন্যাস দুটোকেই এগিয়ে নিয়ে চলে বিনিসুতোর ভালোবাসা। এই উপন্যাসে চিন কোনো টুরিস্ট স্পট নয়। কম্পাস যেরকম একটা বিন্দুর ওপর পা রেখে এঁকে ফেলে বড়ো একটা বৃত্ত, চিন এখানে সেরকমই এক বিন্দু। সেই বিন্দুতে সারা পৃথিবীর কাহিনিসিন্ধু এসে মিশেছে। ঢেউয়ের পরে ঢেউ ভেঙে ওরাই গড়ে তুলেছে তারাবন্দর।
অন্নদাশঙ্কর রায়
অন্নদাশঙ্কর রায়ের তিনটি উপন্যাস আগুন নিয়ে খেলা, পুতুল নিয়ে খেলা এবং কন্যা-র সংকলন এই গ্রন্থ। যেখানে তৃতীয় গ্রন্থের চার পুরুষ চরিত্রের অন্বিষ্ট ‘Eternal Feminine’, প্রথম দুই উপন্যাসের কাসানোভা নায়ক কল্যাণ সোমের অন্বেষণ এমন এক নারীর জন্য যে তার ‘চরিত্রহীন’, ‘ব্যভিচারী’ অতীত সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত ও অবগত হয়েও তার স্ত্রী হতে রাজি হবে।
বর্ণনাকৌশলের অভিনবত্বে, কৌতূহলোদ্দীপক চরিত্র ও প্লটনির্মাণের দক্ষতায়, আখ্যানের গভীরে অন্তঃসলিলা নদীর মতো দর্শনের প্রবহমানতায় ব্যতিক্রমী এই তিনটি আধুনিক উপন্যাস বাংলা কথাসাহিত্যের চিরন্তন সম্পদ।
ছোটোগল্পকার হিসেবে বুদ্ধদেব গুহ সংবেদী, অনুসন্ধানী এবং একইসঙ্গে নির্মম। বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের অন্দরমহলে যেমন অনায়াস তাঁর প্রবেশ, তেমনই তিনি অকুতোভয় – যখন কথকের জিপ সভ্যতার সীমানা ছাড়িয়ে প্রবেশ করে কোনো আরণ্য-অন্ধকারে। সর্বমোট ৬১টি ছোটোগল্পের এক বিরল সমাহার ‘পুষ্পমঞ্জরি’-তে