অন্নদাশঙ্কর রায়
এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জীবনশিল্পী অন্নদাশঙ্কর রায়ের আত্মজীবন তথা আত্মশিল্পমূলক রচনা বিনুর বই এবং তাঁর এগারোটি ছোটোগল্প।বিনুর বই আমাদের পরিচিত করিয়ে দেয় অন্নদাশঙ্করের জীবনের বিভিন্ন পর্ব ও বাঁকবদলের সঙ্গে। আমরা জানতে পারি মনস্বী এই লেখকের জীবনদর্শন সম্পর্কেও। গ্রন্থভুক্ত এগারোটি গল্পেই প্রোজ্জ্বল অন্নদাশঙ্করের ব্যতিক্রমী ন্যারেটিভ টেকনিক এবং শ্লেষ-কৌতুকের মোড়কে লুকোনো এক গভীর, আনন্দময় জীবনবোধ।
বাসব রায়
সফ্টওয়্যার কেরানির নকশা-র একটি বিশেষ চরিত্র কম্পিউটার প্রোগামার লোচাদা। কোনো এক কালসন্ধ্যেয় আবেগপ্রবণ লোচাদার অনুচ্চস্বরের ঘোষণা। মেমরি, প্রসেসর, হার্ডডিস্ক, ব্লুটুথ, ইনফ্রায়েড, মেগাপিক্সেল, গিগাহার্জ এই ফিরিঙ্গি লবজগুলো আলু, পেঁয়াজ, উচ্ছে, পটলের মতোই আমাদের জীবনে খোদাই হয়ে গেছে আজকাল। নয়ের দশকেও বাঙালির দৌড়ছিল ডায়োড ভাল্ভ সেমিকনডাক্টর বড়োজোর আইসি চিপ অবধি। ২০০০ সালের পর থেকেই প্রযুক্তির হড়কা বানে আমাদের চলাফেরা, ভাবনাচিন্তা, বচন-বাচন, ভালোলাগা-মন্দলাগার অনুভূতিগুলো নতুন করে সংজ্ঞাত হয়ে গেল…। সফ্টওয়্যার কেরানির নকশা-র বার্তা লোচাদার ওই উক্তিরই প্রতিফলনমাত্র। লেখক মনোযোগের সঙ্গে লক্ষ করেছেন, কীভাবে প্রযুক্তির ‘হড়কা বান’ অবিশ্বাস্য গতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাত ঘুরে সাধারণের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। লেখক নিজেকে এই প্রক্রিয়ায় শামিল করতে চেয়েছেন, তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ার একেবারে হেঁশেলে ঢুঁ মেরে। নকশাগুলি বিষয়গত বৈচিত্রে এবং উপস্থাপনার মুনশিয়ানায় স্বাতন্ত্র দাবি করে, সন্দেহ নেই।
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচিত গল্পসংগ্রহ
মুহূর্ত যখন বাঙ্ময় হয়ে ওঠে, মুহূর্তকথারা পাড়ি দেয় এক অজানা যাত্রাপথে। দেশকালের সীমা ছাড়িয়ে তারা হয়তো শ্রোতাকে, পাঠককে নিয়ে যায় অন্য এক মহান অঙ্গনে, যেখানে ঋদ্ধ হতে হয় ভিন্ন এক পাঠ-অভিজ্ঞতায়, অভিনব কোনো জীবনবোধে। হয়ে ওঠা অথবা না-হয়ে ওঠা এই মুহূর্তকথারাই চিরায়ত কথাসাহিত্যের প্রাণ, তারাই সাঁতারু প্রজন্মস্মৃতির এই প্রবহমান স্রোতে। ‘মুহূর্তকথা’_এই শিরোনামে পারুল নিবেদন করছে বাংলা ছোটোগল্পের চিরায়ত সৃজনকর্মগুলিকে। আরম্ভেই থাকছে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বাণী বসু_এই চার কথাসাহিত্যিকের নির্বাচিত সেই গল্পসংগ্রহ, যা কালোত্তীর্ণ, যার সংরাগে কোনো এক ভিজে স্টেশনের দিকে চকিত সফর আমাদের।
বাণী বসুর নির্বাচিত গল্পসংগ্রহ
মুহূর্ত যখন বাঙ্ময় হয়ে ওঠে, মুহূর্তকথারা পাড়ি দেয় এক অজানা যাত্রাপথে। দেশকালের সীমা ছাড়িয়ে তারা হয়তো শ্রোতাকে, পাঠককে নিয়ে যায় অন্য এক মহান অঙ্গনে, যেখানে ঋদ্ধ হতে হয় ভিন্ন এক পাঠ-অভিজ্ঞতায়, অভিনব কোনো জীবনবোধে। হয়ে ওঠা অথবা না-হয়ে ওঠা এই মুহূর্তকথারাই চিরায়ত কথাসাহিত্যের প্রাণ, তারাই সাঁতারু প্রজন্মস্মৃতির এই প্রবহমান স্রোতে। ‘মুহূর্তকথা’_এই শিরোনামে পারুল নিবেদন করছে বাংলা ছোটোগল্পের চিরায়ত সৃজনকর্মগুলিকে। আরম্ভেই থাকছে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও বাণী বসু_এই চার কথাসাহিত্যিকের নির্বাচিত সেই গল্পসংগ্রহ, যা কালোত্তীর্ণ, যার সংরাগে কোনো এক ভিজে স্টেশনের দিকে চকিত সফর আমাদের।
সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার
সমাজ যাকে করে রেখেছ ব্রাত্য-নির্বাসিত, সাহিত্য তাকে করেছ বিষয়। কিন্তু মর্যাদা দিয়েছে কি? নইলে ‘বিচারক’ রচনার শতবর্ষ পরেও কেন বিচার পাননি ধরিত্রীর এই পুত্রীরা ? রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রভাতকুমার, শরৎচন্দ্র, বিভূতি, তারাশংকর, মাণিক হয়ে শরদিন্দু, সমরেশ, সুনীল, বুদ্ধদেব ও অবশেষে তসলিমা-তৃণাঞ্জনে উপনীত এই গল্পসংগ্রহ কখনোই দেহোপজীবিনীদের নিয়ে লেখা বাংলা ছোটোগল্পের আর একটি বাজারগরম সংকলন নয়। আসলে তা যুগান্তের মুখোমুখি দাঁড়ানো মানুষকে করা মানুষের প্রশ্ন : কে মন্দ? ওরা না আমরা?
গোপালচন্দ্র রায়
সুদীর্ঘকাল ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট থাকাকালীন জীবনের অনেক আলো-আঁধারির সাক্ষী ছিলেন বিচারক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই গল্পসংকলনটিতে ধরা রইল সেরকম কিছু দুর্লভ কাহিনি, যা অন্য এক বঙ্কিমকে উপস্থিত করবে পাঠকের কাছে। গোপালচন্দ্র রায়ের অননুকরণীয় বৈঠকি ভঙ্গিতে বলা এই গল্পমালা বাংলা অ্যানেকডট সাহিত্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
চিরায়ত প্রেমের গল্পসংগ্রহ
সম্পাদনা: উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
৩৬টি ছোটোগল্পে ছুঁয়ে নেওয়া চিরায়ত বাংলা প্রেমের গল্পের আশ্চর্য ভুবন।