A Constitutional History of Tripura
₹400.00Dr. Jagadis Gan-Chaudhuri
This book is a rigorous study of the history of Tripura within the demographic, political and socio-economic contexts of the period studied (642 to 1949).
Dr. Jagadis Gan-Chaudhuri
This book is a rigorous study of the history of Tripura within the demographic, political and socio-economic contexts of the period studied (642 to 1949).
২২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে ১৩২০ বঙ্গাব্দের বৈশাখে যে পত্রিকাটির পথ চলার শুরু, তা-ই পরবর্তীকালে পালটে দেয় বাংলা শিশুসাহিত্যের গতিপথকে। মাত্র দু-বছর আট মাসব্যাপী সম্পাদনা পর্বে যিনি পত্রিকাটিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন উৎকর্ষের উত্তুঙ্গ বিন্দুতে, তিনি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। সেই প্রথম প্রকাশনায় বাঙালি ছুঁয়ে নিতে পেরেছিল বিশ্বমান_শুধু মুদ্রণ প্রযুক্তি ও পারিপাট্যের দিক থেকেই নয়, বিষয়বস্তুর বৈচিত্রময় পরিবেশন ও নতুন ধারার অলংকরণের সমারোহেও। সুকুমার, সুবিনয়, সত্যজিৎ-সুভাষ_সন্দেশ-এর পরবর্তী সম্পাদনা-পর্বগুলি নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও, তথ্যের অপ্রতুলতার দরুন বিস্মৃতির অতলে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদনা পর্ব। গত শতাব্দীর নয়ের দশকের আরম্ভে এই ‘হারিয়ে যাওয়া’ পর্ব নিয়ে গবেষণায় ব্রতী হন সুস্মিতা দত্ত। এই বই সেই গবেষণারই ফসল। হারানো সূত্রগুলিকে একত্রিত করে যে দক্ষতায় লেখিকা পত্রিকাটির প্রস্তুতিপর্ব ও প্রকাশকালীন ইতিহাস পুননির্মাণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ বই পড়ে উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদিত সন্দেশ-এর বিষয়বস্তু, লেখক, ছবি, ভাষা ও পরিবেশন ছাড়াও পাঠক আলোকিত হবেন সন্দেশ পূর্ববর্তী শিশু পত্রিকাগুলির ইতিহাস সম্পর্কে।
জল ও স্থলের সন্ধিরেখায় দামাল দুর্যোগে দাপিয়ে বেড়ায় যে সমুদ্রদানব, তারই নাম সুনামি। সুনামির সৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য এবং তার ধ্বংসলীলা_ বোধের সীমানায় নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে এ মুহূর্তে। কিন্তু কেন? বিবিধ কারণের মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা (Disaster Management)-র বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলায় এই প্রথম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচিত হল সুনামি।
সম্পাদনা অলোক রায়
মুল্যবান এই জীবনীগ্রন্থটি ১৯১৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জীবন কথা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩২৩ শ্রাবণ ১৩২৪)। বিশিষ্ট জীবনীকার মন্মথনাথ ঘোষ বিগত যুগের দেশ নায়কদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই কলম ধরেন। রাজা দক্ষিণারঞ্জনের এই জীবনলেখ্যও তাঁর সেই শ্রমসাধ্য অন্যতম প্রয়াস। জীবন নির্ভর এই গ্রন্থটির মহৎ জীবনকথায় সংলগ্ন হয়ে আছে সেই সময়েরও জীবন্ত ইতিহাস। ‘ইয়ং বেঙ্গল’ সম্বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরে বাঙালি হৃদয়ে আগ্রহ ও কৌতুহল জেগেছে। সেই কারণেই হিন্দু কলেজের ছাত্র, হেয়ার ডিরোজিও ও ডাফের অন্তরঙ্গ দক্ষিণারঞ্জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনীগ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজর্ষি রবীন্দ্রনাথের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। অল্প বয়সের লেখা হলেও এর কাহিনি আজও পাঠকসমাজে সমাদৃত। এর নাট্যরূপ বিসর্জন আজও নাট্যরসিকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উপন্যাসটি প্রথম ছাপা হয়েছিল বালক পত্রিকায়_কিন্তু অসম্পূর্ণ রয়ে যায় এর কাহিনি। এই কাহিনির সূত্র কবি পেয়েছিলেন স্বপ্নের মধ্যে। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশের পর কবির মনে হয়েছিল এটি সম্পূর্ণ করতে হবে এবং তা করতে হলে জানা প্রয়োজন ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস। সেজন্য তিনি ত্রিপুররাজ গোবিন্দমাণিক্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। সেখান থেকে রাজপরিবারের ইতিবৃত্ত তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হলে রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষিকে সম্পূর্ণ করেন। স্বপ্ন ও ইতিহাসে ঘটে যায় এক অনবদ্য মেলবন্ধন। রচনা-ইতিহাসের নথি, বালক পত্রিকায় প্রকাশিত অবিকল প্রতিলিপি এবং আনুষঙ্গিক চিত্রাদিসহ রাজর্ষির সম্পূর্ণ পাঠ এই প্রথম কোনো সংস্করণে গৃহীত হল। রাজর্ষি-র পাঠে বহু পরিবর্তন ঘটেছে_তার ইতিকথাও সম্পাদকীয় ভূমিকায় সবিস্তারে আলোচিত। এই প্রথম উপন্যাসটির রসগ্রাহী আলোচনাসহ একটি সুমুদ্রিত সংস্করণ পাঠকের কাছে উপস্থাপিত হল ঠাকুর ও মাণিক্য পরিবারের অনুপম সংযোগসূত্রে।
বিশ্বনাথ রায়
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর প্রাণপুরুষ তথা উনিশ শতকীয় চর্চায় বাঙালির পথপ্রদর্শক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আমরা এতাবৎ প্রায় অনবহিতই ছিলাম। দৌহিত্র বিশ্বনাথ রায় প্রণীত এই সংক্ষিপ্ত ব্রজেন্দ্র-আলেখ্য সে অভাব বহুলাংশে মেটাবে।
সম্পাদনা দেবব্রত ঘোষ
জন্মের একশো পঁচিশ বছর পরেও যদি কোনো মানুষ একটি দেশের প্রাত্যহিক জীবনে ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে যান, তবে তাঁর জীবন ও কর্মের পুনর্মূল্যায়ন এক আশু কর্তব্য। বাবাসাহেব আম্বেদকর এমনই এক অলোকসামান্য ব্যক্তিত্ব। শুধু বর্ণবৈষম্য কিংবা অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করেই যাওয়া নয়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের তীব্র সমালোচনাকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ হিসেবেও তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভা। ভারতীয় দলিত রাজনীতির প্রবক্তা তথা সংগঠকরূপে তো বটেই, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেও তিনি ছিলেন এক আপোশহীন যোদ্ধা। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার এই মানুষটিই আবার ছিলেন হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক ও পাকিস্তান গঠনের আন্দোলন প্রসঙ্গে স্পষ্টবাদী এক অনন্য মতের প্রবর্তক। যেহেতু তিনি ছিলেন সব ধরনের শোষণের বিরুদ্ধেই মূর্ত প্রতিবাদ, তাই নারীর অধিকার নিয়েও বাবাসাহেব পরিচয় রেখেছিলেন সুচিন্তিত ভাবনার। গান্ধিবাদী কংগ্রেসি সামাজিক-রাজনৈতিক নীতি ও কার্যক্রমের কুণ্ঠাহীন সমালোচক এই ভীমরাও রামজি আম্বেদকর ছিলেন আদ্যন্ত জাতীয়তাবাদী।
সম্পাদনা পল্লব মিত্র
আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একালের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। বাংলা তথা ভারতের শিক্ষা-সংস্কৃতি-ভাষাতত্ত্ব ও সমাজজীবনে তাঁর অবদানের প্রসঙ্গ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি জীবনের বহু স্বনামধন্য ব্যক্তি আলোচ্য সংকলনে সুনীতিকুমারের জীবন ও জীবনের নানা কথা ব্যক্ত করেছেন। তাঁর ছাত্র বা ছাত্রস্থানীয় অনেকেই নানা আলোয় আচার্যকে বোঝবার ও বোঝাবার প্রয়াস পেয়েছেন। নানা কারণেই তাই এই সংকলন গ্রন্থটি সুনীতিকুমারের জীবন তথা বাংলার শিক্ষা-সংস্কৃতির এক উল্লেখযোগ্য দলিল হিসেবে পরিগণিত হবার দাবি রাখে। ২০০৯ সালে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ১২০ বছরে পদার্পণ করবেন। তাঁর প্রয়াণের পর তিন দশক অতিক্রান্ত হলেও সেভাবে সুনীতিকুমারের বিস্তৃত কর্মকাণ্ডের পরিচয়বাহী কোনো বই সেভাবে পাঠকদের হাতে আসেনি। এমনকী সুনীতিকুমারের পুঙ্খানুপুঙ্খ উজ্জ্বল জীবনের দিনগুলোর কথাও যথাযথ গ্রন্থভুক্ত হয়েছে কি ? ১৯৭৭ সালে তাঁর প্রয়াণের পরই, তাঁকে নিয়ে যে-বিস্তৃত আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল, যার ফলশ্রুতি হিসেবে, সমসাময়িক দৃষ্টিতে সুনীতিকুমার গ্রন্থের প্রকাশ, সেই বইটির নতুন পরিবর্ধিত সংস্করণ প্রায় পঁচিশ বছর পর পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সংকলন মাত্রেরই নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে। চয়নিকা (১৯০৯) যখন প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন তার আগে পর্যন্ত যে ক-টি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে সেগুলি থেকে চয়ন করে একশো তিরিশটি কবিতা গ্রহণ করা হয়।… এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান প্রেসে মুদ্রিত চয়নিকা জনসমাদর লাভে বঞ্চিত হয়নি। এরপর বিশ্বভারতী যখন তৃতীয় সংস্করণ চয়নিকা (১৯২৫) প্রকাশের দায়িত্ব নেয়, তখন তাতে শুধু কবিতার সংখ্যাই বাড়ানো হয়নি, কবিতা নির্বাচনের রীতিরও বদল হয়েছে।… নব-কলেবর চয়নিকা-কে রবীন্দ্রনাথ মেনে নিলেও কবিতা-নির্বাচনের পদ্ধতি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের ভালো লাগেনি।… চয়নিকা বাজারে থাকা সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথ নতুন কবিতা-সংকলনের কথা ভেবেছেন। আর তারই ফলে সঞ্চয়িতা-র পরিকল্পনা। এবার কবিতাগুলো সংকলনের ভার কবি নিজে নিয়েছেন।…সঞ্চয়িতা প্রথম প্রকাশের (১৯৩১) পর অন্যদের কথা সুরে থাক, রবীন্দ্রনাথেরও মনে হয়েছে, অনেক ভালো কবিতা সংকলনের বাইরে পড়ে রইল। পরের দুটি সংস্করণে কিছু গ্রহণ-বর্জন সত্ত্বেও রবীন্দ্রনাথের অতৃপ্তি যায়নি।… বিশ্বভারতী প্রকাশিত সঞ্চয়িতা-র সীমাবদ্ধতা (যে-সীমাবদ্ধতার কথা রবীন্দ্রনাথ নিজে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে লেখা ভূমিকায় জানিয়েছেন) মনে রেখেও সঞ্চয়িতা-র যেহেতু কোনো বিকল্প নেই, আমরা সঞ্চয়িতা পুনর্মুদ্রণের কাজে অগ্রসর হয়েছি।…স্থান সংকুলানের বাধ্যতায় ‘সংযোজন’ অংশে মাত্র আঠারোটি কবিতা রাখতে সক্ষম হয়েছি।… ‘পাঠ-পরিচয়’ অংশে যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে রবীন্দ্রনাথের নিজের দেওয়া কাব্যব্যাখ্যা. অন্যক্ষেত্রে বিশিষ্ট সমালোকদের মন্তব্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। হয়েতা রবীন্দ্রকাব্য-প্রবেশিকা হিসেবে এই অংশের কিছু মূল্য আছে।