• 0 Items - 0.00
    • No products in the cart.

Shop

সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের সন্ধানে / Sirajer Putra O Bangsodharder Sandhane

250.00

অমলেন্দু দে

পলাশির যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া কয়েকটি তথ‌্যের অনুসন্ধানে দীর্ঘকাল ব‌্যাপৃত ছিলেন অধ‌্যাপক অমলেন্দু দে। এই যু্দ্ধ- সংক্রান্ত ভারতীয় ও বিদেশি লেখকদের মূল‌্যবান গ্রন্থসমূহ এবং সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত নথিপত্রেও সেগুলির সন্ধান না পাওয়ায় তিনি আঠারো শতকের পারিবারিক কাগজপত্র অনুসন্ধান করতে থাকেন। অধ‌্যাপক দে বিশেষ নজর দেন সেইসব জমিদার পরিবারের নথিপত্রে, যাঁরা ১৭৫৭ কিংবা ১৭৫৮ সালে দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ময়মনসিংহের জমিদার পরিবারের সঙ্গে বাংলার নবাবদের সুসম্পর্ক ছিল। অধ‌্যাপক দে ময়মনসিংহের ইতিহাস গ্রন্থে এমন কিছু তথ‌্য পান, যার সূত্র ধরে তিনি খোঁজ পেয়ে যান ইতিহাসে অনু্‌ল্লেখিত সিরাজউদদৌলার পুত্রের। সিরাজের সন্তান এই জমিদার পরিবারেই দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছিলেন। সিরাজের অন‌্যতম সেনানায়ক মোহনলাল ছিলেন সিরাজের স্ত্রী আলেয়ার দাদা। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আলোয়ার নাম ছিল হীরা। সিরাজ ও হীরার এই পুত্রকে নিয়ে মোহনলাল যু্দ্ধক্ষেত্র থেকে ২৩ জুন (১৭৫৭ সাল) পালিয়ে  চলে যান ময়মনসিংহ। তারপর সেখানকার জমিদার পরিবারে তাঁর আপন ভাগিনেয়কে দত্তক নেওয়ার ব‌্যবস্থা করেন। এই দত্তক পুত্রের নাম হল যুগলকিশোর রায়চৌধুরী। যেভাবে একের পর এক নবলব্ধ তথ‌্যের সাহায‌্যে সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের অজানা ইতিহাস এ গ্রন্থে উন্মোচিত হয়েছে, তা এককথায় অনবদ‌্য। প্রসঙ্গত, মোহনলাল সম্পর্কে অধ‌্যাপক দে যে-সকল অজানা তথ‌্য সংগ্রহ করেছেন, তার ঐতিহাসিক মূল‌্য অনস্বীকার্য। সব মিলিয়ে, পলাশির যুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য আলোচনায় এই গ্রন্থ এক মহামূল‌্যবান সংযোজন।

সুকান্ত সমগ্র / Sukanta Samagra

240.00

সম্পাদনা ড. উজ্জ্বলকুমার মজুমদার

যে রাজনৈতিক স্লোগান বা সংহত, সংক্ষিপ্ত রাজনৈতিক বার্তা সুকান্তর কবিতায় দীপ্ত হয়ে ওঠে তা তখনকার উদ্দীপ্ত জনজীবনের স্বপ্নেরই বার্তা, তখনকার সময়েরই দান। তাঁর কবিতায় হয়তো কখনো কখনো রং-তুলির কৈশোরক স্পর্শ কম লেগেছে, কিন্তু আন্তরিকতার অভাব ছিল না। রাজনীতি আর কাব‌্যিক আবেগের মধ‌্যে কোনো বিরোধ আছে বলে মনে হয়নি তাঁর। কেনই বা মনে হবে! জীবন-স্বপ্নই তো রাজনীতি। আর, সুকান্ত-র কাছে তাঁর কবিতা তো সেই জীবন-স্বপ্নেরই প্রকাশ। যে ছাড়পত্র দিয়ে কবিতার আসরে নেমেছিলেন তিনি, তাতে ‘এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ‌্য করে যাব আমি_ নবজাতকের কাছে’_এই অঙ্গীকারই ছিল। মাটির রসের মধ‌্যে ভাবী বনস্পতির সম্মতি পেয়েছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথের উচ্চারণেই তিনি ভবিষ‌্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন। ‘যদিও রক্তাক্ত দিন, তবু দৃপ্ত তোমার সৃষ্টিকে/এখনো প্রতিষ্ঠা করি আমার মনের দিকে দিকে।’ যে ‘বলিষ্ঠ’ শিশুদের জন‌্যে বাসযোগ‌্য পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, সেই শিশুদেরই তাঁর কবিতায় দেখা গেল অশ্বত্থ-শিশুর প্রতীকে। উদ্ধত প্রাচীন প্রাসাদের গায়ে অবাধ‌্য ফাটল ধরিয়ে গোপন শক্তির বারুদ জমিয়ে তারা রক্ত-ঘাম-চোখের জলের ধারায় বিদ্রোহের দূত হয়ে আসছে।

সুভাষ কি ওটেনকে মেরেছিলেন? / Subhash Ki Otenke Merechilen?

100.00

বারিদবরণ ঘোষ

সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ‌্যাপক ওটেনকে নিগ্রহ করেছিলেন কি না, জবাব মেলেনি এ প্রশ্নের। নেতাজির তথাকথিত ‘বিমান দুর্ঘটনাজনিত মৃত‌্যু’ যেমন আজও রহস‌্যাবৃত, তেমনই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ‘ওটেন নিগ্রহ’ অধ‌্যায়। এ নিয়ে বিতর্কের তিনটি অভিমুখ আছে : (১) সুভাষ প্রত‌্যক্ষভাবে তাঁর অধ‌্যাপককে নিগ্রহ করেছিলেন কি না,     (২) এ প্রসঙ্গে তাঁর নীরবতা, (৩) এ প্রসঙ্গে ওটেনের সবকিছু পরিষ্কার করে না বলা। এ গ্রন্থে সুভাষ-ওটেন প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে এই তিনটি অভিমুখ ধরেই। সংযোজিত হয়েছে সুভাষচন্দ্রের সহপাঠী বি এ রায়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত প্রতিবেদন। সুভাষ নিরপরাধ, সুভাষ অবশ‌্যই অপরাধী_ওটেন প্রসঙ্গে এই দুই চরমপন্থী বিশ্লেষণ থেকে নৈর্ব‌্যক্তিকভাবে নিজেকে দুরত্বে রেখে সম্পাদক কুশলতার সঙ্গে সন্নিবেশিত করেছেন বহু দুষ্প্রাপ‌্য নথি, তথ‌্য ও প্রতিবেদন_যাদের ঐতিহাসিক মূল‌্য আজও কিছুমাত্র কম নয়। কালক্রমে যিনি হয়ে উঠবেন ‘এশিয়ার মুক্তিসূর্য’, তাঁরই ছাত্রজীবনের একটি অনালোকিত অধ‌্যায় এবার আলোকবৃত্তে।

সুস্থ থাকুন হোমিয়োপ্যাথিতে / Sustha Thakun Homiopyathite

240.00

ড. অমিতাভ দাস

মতভেদ থাকলেও, হোমিয়োপ‌্যাথি সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি। এই সত‌্য মেনে নিয়েই গ্রন্থটিতে হোমিয়োপ‌্যাথির দর্শন ও বিজ্ঞানকে আরও যুক্তিসহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের রোগের চিকিৎসা হোমিয়োপ‌্যাথিক বিধিমতে কীভাবে করলে স্থায়ী ও প্রকৃত আরোগ‌্যলাভ সম্ভব, তা সাধ‌্যমতো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যেসব রোগলক্ষণের ওপর নির্ভর করে হোমিয়োপ‌্যাথিক চিকিৎসকরা চিকিৎসা করে থাকেন, বইটি সেইসমস্ত ডায়াগনসিসের ভিত্তিতেই রচিত। বর্তমান ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কর্পোরেটশাসিত মুনাফালোভী স্বাস্থ‌্যব‌্যবস্থায় অ‌্যালোপ‌্যাথিক চিকিৎসা যখন ক্রমেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন হোমিয়োপ‌্যাথির আরও প্রচার ও প্রসার প্রয়োজনীয়। এই হ‌্যান্ডবুক সেই উদ্দেশ‌্যকেও সফল করবে।

সূর্যচৈতন্য (SURYACHAITANYA)

100.00

আলোক যে দেখাটা দেখায় সে তো ছোটোখাটো কিছুই নয় | শুধু আমাদের নিজের শয্যা টুকু, শুধু ঘর টুকু তো দেখায় না –  দিগন্তবিস্তৃত আকাশমন্ডলের নিলজ্জল খালাটির মধ্যে যে সামগ্রী সাজিয়ে সে আমাদের সম্মুখে ধরে, সে কি অদ্ভুত জিনিসI

 

 

স্বপ্নের রাজবাড়ি / Swapner Rajbari

80.00

রতনতনু ঘাটী

নদীতে ভেসে আসা ফুলপাতায় মাকে খুঁজে চলা এক ভ‌্যাবলা ছেলে, উপাসনার স্বপ্নে দেখা রূপকথার মতো একটা রাজবাড়ি, লাল শালুক আর সাদা শালুকের গাছ লাগিয়ে চলা ঝুমনি নামের মেয়েটি, নৌকোয় পাল তুলে পুলিপিঠেদের সঙ্গে চড়ুইভাতিতে যাওয়ার ইচ্ছেময়ী টুপুর, কথাবলা পাখি-দ্বীপের আশ্চর্য মেয়ে দ্বীপ-কুমারী, হলদে পাখিতাড়ুয়া নয়ন, রামধনু-পাগল পরান, কাঁকনের মামারবাড়ি পলাশপুরের মানুষের শেষ সিত‌্যি–পরি দেখার গল্পে ভরা এ বই। নতুন দিনের জন‌্য লেখা এ এক মন-ভালো করা নতুন রূপকথা।

স্মৃতির সুচিত্রা (Smritir Suchitra)

100.00

সম্পাদনা শৈলেন্দ্র হালদার

কৃষ্ণকলি তাঁর গানেই কালো হরিণ চোখ মেলে ত্রস্ত পায়ে বেরিয়ে আসে কুটির থেকে। কবির গান তাঁর উচ্চারণেই পায় প্রাণ, পায় উদ্দিষ্ট অভিমুখ। কিন্তু সুচিত্রা মিত্র শুধুই রবীন্দ্রসংগীতের সবথেকে সার্থক বাণীবাহকদের অন‌্যতম হয়ে আমাদের স্মৃতি জুড়ে অমলিন থাকবেন না। স্মরণীয় হয়ে থাকবেন তাঁর লেখা, তাঁর আঁকা ছবির জন‌্যও। হ‌্যাঁ, আই পি টি এ এর গানের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠ, কবির সুরের সেই সর্বোত্তম সাধক ছিলেন এক অসামান‌্য ছড়াকারও। ছবিও আঁকবেন তিনি সময় পেলেই। তেমনই কিছু ছড়া ও ছবি গ্রথিত হল এই সংকলনে। সঙ্গে রইল তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি আর কিছু দুষ্প্রাপ‌্য আলোকচিত্রের এক দুর্লভ অ‌্যালব‌াম।