আপনার শিশুকে কিভাবে মানুষ করবেন (APNAR SISHUKE KIBHABE MANUSH KORBEN)
₹100.00আপনার শিশুকে কিভাবে মানুষ করবেন
শিশু শিক্ষার সঙ্গে জড়িত পিতা- মাতা , অভিভাবক শিক্ষক মন্ডলী ও শিশু প্রেমী মানুষদের উদ্দেশ্যে এই বই I
শিশু শিক্ষার সঙ্গে জড়িত পিতা- মাতা , অভিভাবক শিক্ষক মন্ডলী ও শিশু প্রেমী মানুষদের উদ্দেশ্যে এই বই I
ভারতীয় রাজনীতিতে অরবিন্দ কেজরিয়াল এবং আম আদমি পার্টির নাটকীয় উত্থান নিয়ে আলোচনা I
শিবনারায়ণ রায়
মনস্বী প্রাবন্ধিক শিবনারায়ণ রায়ের সাহিত্য, সাহিত্যতত্ত্ব ও চিত্রকলা বিষয়ক এই লেখাগুলি পাঠ করলে ভেঙে যেতে পারে আমাদের এতদিনের লালিত অনেক অলস, অভ্যস্ত, বিগ্রহপূজারি ধারণা। তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে জারিত, চিরায়ত ও আধুনিক বিশ্বসাহিত্যের অনায়াস উল্লেখে প্রোজ্জ্বল, ভারতীয় ও ইউরোপীয় রেনেসাঁস সম্পর্কে স্বতন্ত্র ও তুলনামূলক আলোচনায় দিগদর্শী এবং রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও শিল্পকর্মের মোহমুক্ত মূল্যায়নে ঋদ্ধ বারোটি অমূ্ল্য প্রবন্ধের সংকলন এই গ্রন্থ।
বাংলা কবিতায় যে ত্রিধারা সৃষ্টি , বাংলা কাব্যের ইতিহাসে তার মূল্য কম নয় , দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ , পঞ্চাশের মন্নন্ত্বর, ছেচল্লিশের দাঙ্গা , এইসবই হলো এই বইয়ের মূল উপজিব্ব্য I
প্রেরণা ও বিতর্ক
সম্পাদনা: অশোককুমার রায়
আমাদের জাতীয় জীবনে বন্দে মাতরম্ সংগীতের ভূমিকা স্মরণযোগ্য। বঙ্কিমের মৃত্যুর পর আনন্দমঠ তথা ‘বন্দে মাতরম্’ সংগীতটি বিপ্লবীদের কাছে স্বাধীনতার আন্দোলনের দ্যোতক হয়ে উঠলে শাসক শ্রেণি বন্দেমাতরম সংগীত শুধু নয় ‘বন্দে মাতরম্’ ধ্বনিও দণ্ডনীয় অপরাধ বলে ঘোষণা করেন। তবুও বিশ শতাব্দীর বিশের দশক থেকে বার বার ‘বন্দে মাতরম্’-এর বিরুদ্ধে উঠেছে সাম্প্রদায়িকতার অভি়যোগ। বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক এই গ্রন্থে বন্দে মাতরম্ বিতর্ককে গ্রন্থভুক্ত করলেন দীর্ঘদিনের শ্রমসাধ্য গবেষণায়।
অধিকাংশ ইনশিয়োরেন্স এজেন্ট আজীবন এজেন্টই থেকে যান, তাঁরা আর মানুষের বিমাবন্ধু হয়ে উঠতে পারেন না। কীভাবে কোনো মানুষকে সঠিকভাবে উদ্দীপ্ত ও সচেতন করে তাঁর ‘ইনশিয়োর্ড’ হওয়া ‘এনশিয়োর’ করা যায়, কীভাবে আদর্শ বিমাবন্ধু হয়ে ওঠা যায়- সেই পথই ধাপে ধাপে দেখাবে প্রত্যেক লাইফ ইনশিয়োরেন্স এজেন্ট-এর অবশ্যপাঠ্য এই বই।
প্রাককথন নিধুভূষণ হাজরা
জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সম্পাদিত বালক পত্রিকায় ১২৯২ বঙ্গাব্দের (১৮৮৫ সালে) বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ পরপর দুটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় একটি বড়ো গল্প_মুকুট। ত্রিপুরার প্রাচীন ইতিহাসভিত্তিক এই গল্পটির লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবির বয়স তখন চব্বিশ। লেখার আকর সংগ্রহের অন্য তিনি চিঠি লেখেন ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্যকে। শুরু হয় এক বন্ধুতা যার তাপর্য বহুমুখী। গল্প হিসেবে ‘মুকুট’ হয়তো বিদগ্ধ পাঠককে মুগ্ধ করেব না, কিন্তু শিশুশিক্ষার উপকরণ হিসেবে এর মূল্য অনেক। কবির নিজের ভাষায় : ‘জীবনচরিত বা ইতিহাস হইতে বেশ ছোটো ছোটো anecdote সংগ্রহ করিয়া দিলে ছেলেদের পড়াইবার বিশেষ সুবিধা হয়।’ রবীন্দ্রনাথের অনুমান অভ্রান্ত ছিল। গল্প হিসেবে মুকুট জনপ্রিয় হয় এবং ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে কবি এর নাট্যরূপ দেন। উদ্দেশ্য ছিল ব্রহ্মচর্যাশ্রমের বালকদের দিয়ে সে-নাটকের অভিনয় করানো। এই গ্রন্থে ‘মুকুট’-এর গল্প ও নাট্য_উভয় রূপই সংকলিত হল আজকের ছেলেমেয়েদের ‘ত্যাগের বীর্যের অধ্যবসায়ের ধর্ম্মনিষ্ঠার সত্যপরায়ণতার’ মন্ত্রে দীক্ষিত করতে।
বারিদবরণ ঘোষ
সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক ওটেনকে নিগ্রহ করেছিলেন কি না, জবাব মেলেনি এ প্রশ্নের। নেতাজির তথাকথিত ‘বিমান দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু’ যেমন আজও রহস্যাবৃত, তেমনই কুয়াশার চাদরে ঢাকা ‘ওটেন নিগ্রহ’ অধ্যায়। এ নিয়ে বিতর্কের তিনটি অভিমুখ আছে : (১) সুভাষ প্রত্যক্ষভাবে তাঁর অধ্যাপককে নিগ্রহ করেছিলেন কি না, (২) এ প্রসঙ্গে তাঁর নীরবতা, (৩) এ প্রসঙ্গে ওটেনের সবকিছু পরিষ্কার করে না বলা। এ গ্রন্থে সুভাষ-ওটেন প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে এই তিনটি অভিমুখ ধরেই। সংযোজিত হয়েছে সুভাষচন্দ্রের সহপাঠী বি এ রায়ের ঐতিহাসিক তাৎপর্যমণ্ডিত প্রতিবেদন। সুভাষ নিরপরাধ, সুভাষ অবশ্যই অপরাধী_ওটেন প্রসঙ্গে এই দুই চরমপন্থী বিশ্লেষণ থেকে নৈর্ব্যক্তিকভাবে নিজেকে দুরত্বে রেখে সম্পাদক কুশলতার সঙ্গে সন্নিবেশিত করেছেন বহু দুষ্প্রাপ্য নথি, তথ্য ও প্রতিবেদন_যাদের ঐতিহাসিক মূল্য আজও কিছুমাত্র কম নয়। কালক্রমে যিনি হয়ে উঠবেন ‘এশিয়ার মুক্তিসূর্য’, তাঁরই ছাত্রজীবনের একটি অনালোকিত অধ্যায় এবার আলোকবৃত্তে।
আলোক যে দেখাটা দেখায় সে তো ছোটোখাটো কিছুই নয় | শুধু আমাদের নিজের শয্যা টুকু, শুধু ঘর টুকু তো দেখায় না – দিগন্তবিস্তৃত আকাশমন্ডলের নিলজ্জল খালাটির মধ্যে যে সামগ্রী সাজিয়ে সে আমাদের সম্মুখে ধরে, সে কি অদ্ভুত জিনিসI