রবীন্দ্র গল্পের আকর ও আকার ( Rabindra Galper Akar O Akaar ) – প্রদ্যোত বিশ্বাস
₹120.00গ্রন্থটি মূলত ছাত্র – ছাত্রীদের উদ্দেশ্যএ রূপ পেলেও সুধী পাঠকেরও কৌতূহল চরিতার্থ করবে এ বিশ্বাস রাখি ।
গ্রন্থটি মূলত ছাত্র – ছাত্রীদের উদ্দেশ্যএ রূপ পেলেও সুধী পাঠকেরও কৌতূহল চরিতার্থ করবে এ বিশ্বাস রাখি ।
‘বঙ্গদর্শনের প্রথম অভ্যুদয়ে বাংলা দেশের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব আনন্দ ও আশার সঞ্চার হইয়াছিল, একটি সুদূরব্যাপী চাঞ্চল্যে বাংলার পাঠকহৃদয় যেন কল্লোলিত হইয়া উঠিয়াছিল। সে চেষ্টা স্বাধীন চেষ্টার আনন্দ।’ বঙ্কিমচন্দ্রের বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেছেন নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন প্রকাশের আগে। তারপর তাঁকে নিতে হয় বঙ্গদর্শন সম্পাদনার দায়িত্ব। বঙ্কিমের বঙ্গদর্শন যেমন একসময় ‘আমাদের সাহিত্যপ্রাসাদের সিংহদ্বার’ খুলে দিয়ে নবযুগের সূচনা করেছিল, তেমনি বিশ শতকের প্রারম্ভে রবীন্দ্রাথের বঙ্গদর্শন আর এক নতুন যুগে প্রবেশের সুযোগ করে দিল। সেই নবপর্যায়-বঙ্গদর্শন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে মননসমৃদ্ধ। অসামান্য প্রবন্ধসম্পদের জন্য। আমরা একালের পাঠককে সেই মননের জগতের সন্ধান দেওয়ার জন্য অধুনা দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা থেকে কয়েকটি প্রবন্ধ গ্রন্থাকারে প্রকাশ করছি। বাঙালির মননের ইতিহাসে এক মূল্যবান সংযোজন এই গ্রন্থ।
রবীন্দ্রসংগীত বিষয়ক আমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর হয়তো এ বইয়ে পাওয়া যাবে না। কিন্তু যা পাওয়া যাবে, তার মূল্যও কিছু কম নয়। কবির গান সংক্রান্ত এতাবৎ সকল গবেষণালব্ধ জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি একদিকে যেমন এ গ্রন্থ আত্মস্থ করেছে, তেমনই আবার আলোকিত করেছে বহু অনালোকিত ও অনালোচিত প্রসঙ্গ। শুধি কবির গান শুনে যাঁদের প্রাণ ভরে না, যাঁরা যেতে চান সেই গানের গভীরে, এই গ্রন্থ তাঁদের জন্য। আর যাঁরা খুঁজেত চান গানের ওপারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন যিনি সেই পরমকে, তাঁরাও এই গ্রন্থ থেকে পেয়ে যাবেন সূত্রসন্ধান। নিঃসন্দেহে রবীন্দ্রনাথের গানের ভুবন রবীন্দ্রসংগীতচর্চা ও উপভোগের ক্ষেত্র এক দিশারিগ্রন্থের ভূমিকা পালন করবে।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজকাহিনী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। টডের রাজপুত কাহিনি অবলম্বনে মধ্যযুগীয় রাজপুত রাজাদের বীরত্ব, ত্যাগ ও মহিমার এমন রূপনির্মাণ শুধু বাংলা সাহিত্যে কেন আন্তর্জাতিক সাহিত্যেও দুর্লভ। রাজপুত চিত্রকলার সঙ্গে শিল্পী অবনীন্দ্রনাথের পরিচয় উনিশ শতাব্দীর শেষ প্রান্তে এসে। যখন তিনি কচ ও দেবযানী, রাধাকৃষ্ণের ছবি বা মোগল চিত্রাবলী আঁকছিলেন, তখনই রাজকাহিনীর রচনা। টডের ইতিহাস অবনীন্দ্রনাথের প্রেরণা হলেও সে আকরকে ব্যবহার করে তিনি সৃজন করেছেন শব্দ-ছবির এমন এক ভিন্ন রূপ জগৎ, শৌর্য, বীর্য, আত্মোৎসর্গ এবং দেশপ্রেমের মহিমায় যা প্রোজ্জ্বল। অবনীন্দ্রনাথের সংগীতময় অসামান্য স্পন্দিত গদ্য রাজকাহিনীর কাহিনিগুলিকে দান করেছে এক অনন্য বিশিষ্টতা। কল্পনায় তিনি পূরণ করেছেন বাস্তবের সংগত অনেক দাবি। ভাষার ঐশ্বর্য সেই কল্পনালীলার সঙ্গে মিলিয়েছেন তাল। সর্বোপরি, পাঠকের অখণ্ড মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হয়েছে অবনীন্দ্রনাথের অননুকরণীয় রচনাকৌশল যা একইসঙ্গে কুশলী ও চিত্তগ্রাহী। সবমিলিয়ে, রাজকাহিনী আজও বাঙালি পাঠকের কাছে সেরা কিশোর ক্লাসিক।
কৈলাসচন্দ্র সিংহ
প্রাচীন ত্রিপুরার বর্ণময় ইতিহাস রচনাকারী কৈলাসচন্দ্র সিংহের মূল্যবান গ্রন্থ রাজমালা থেকেই রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষি-র উপাদান পেয়েছিলেন এবং উপন্যাস রচনা করে ত্রিপুরা রাজ্যকে জগৎসভায় পরিচিতির এক নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। গ্রন্থটি প্রথমে ক্ষুদ্রাকারে ও পরে বৃহদাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকের সুবিধার্থে দুষ্প্রাপ্য প্রথম খণ্ডটিও একত্রে প্রকাশ করা হল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রাজর্ষি রবীন্দ্রনাথের লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস। অল্প বয়সের লেখা হলেও এর কাহিনি আজও পাঠকসমাজে সমাদৃত। এর নাট্যরূপ বিসর্জন আজও নাট্যরসিকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। উপন্যাসটি প্রথম ছাপা হয়েছিল বালক পত্রিকায়_কিন্তু অসম্পূর্ণ রয়ে যায় এর কাহিনি। এই কাহিনির সূত্র কবি পেয়েছিলেন স্বপ্নের মধ্যে। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশের পর কবির মনে হয়েছিল এটি সম্পূর্ণ করতে হবে এবং তা করতে হলে জানা প্রয়োজন ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাস। সেজন্য তিনি ত্রিপুররাজ গোবিন্দমাণিক্যের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। সেখান থেকে রাজপরিবারের ইতিবৃত্ত তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হলে রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষিকে সম্পূর্ণ করেন। স্বপ্ন ও ইতিহাসে ঘটে যায় এক অনবদ্য মেলবন্ধন। রচনা-ইতিহাসের নথি, বালক পত্রিকায় প্রকাশিত অবিকল প্রতিলিপি এবং আনুষঙ্গিক চিত্রাদিসহ রাজর্ষির সম্পূর্ণ পাঠ এই প্রথম কোনো সংস্করণে গৃহীত হল। রাজর্ষি-র পাঠে বহু পরিবর্তন ঘটেছে_তার ইতিকথাও সম্পাদকীয় ভূমিকায় সবিস্তারে আলোচিত। এই প্রথম উপন্যাসটির রসগ্রাহী আলোচনাসহ একটি সুমুদ্রিত সংস্করণ পাঠকের কাছে উপস্থাপিত হল ঠাকুর ও মাণিক্য পরিবারের অনুপম সংযোগসূত্রে।
সম্পাদনা অলোক রায়
মুল্যবান এই জীবনীগ্রন্থটি ১৯১৭ সালে গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। রাজা দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের জীবন কথা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল মানসী ও মর্মবাণী পত্রিকায় (ফাল্গুন ১৩২৩ শ্রাবণ ১৩২৪)। বিশিষ্ট জীবনীকার মন্মথনাথ ঘোষ বিগত যুগের দেশ নায়কদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যেই কলম ধরেন। রাজা দক্ষিণারঞ্জনের এই জীবনলেখ্যও তাঁর সেই শ্রমসাধ্য অন্যতম প্রয়াস। জীবন নির্ভর এই গ্রন্থটির মহৎ জীবনকথায় সংলগ্ন হয়ে আছে সেই সময়েরও জীবন্ত ইতিহাস। ‘ইয়ং বেঙ্গল’ সম্বন্ধে বেশ কিছুদিন ধরে বাঙালি হৃদয়ে আগ্রহ ও কৌতুহল জেগেছে। সেই কারণেই হিন্দু কলেজের ছাত্র, হেয়ার ডিরোজিও ও ডাফের অন্তরঙ্গ দক্ষিণারঞ্জনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনীগ্রন্থের পুনর্মুদ্রণ।
তারকাদের সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য যেমন জানা যাবে এ বইগুলি থেকে , তেমনি পাঠক সরাসরি শুনে নিতে পারবেন তাঁদের কথা তাঁদের নিজের মুখে I
পল্লব মিত্র
কথার সীমায় তাঁকে বাঁধা যায় না। ভাষার কারুকাজেও তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন করা যায় না। কেননা তিনি লতা। লতা মঙ্গেশকর। জন্মসুত্রে ভারতীয় নাগরিক হলেও সমগ্র বসুন্ধরাই আসলে তাঁর বাসভূমি। ঈশ্বরদত্ত অতুলনীয় কণ্ঠস্বরের অধিকারিণী এই মানষুটির জীবন হয়তো-বা সিনেমার চেয়েও বেশি বর্ণময়, প্রাণবন্ত এবং নাটকীয় বৈচিত্রে ভরপুর। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের কাছেই ছোট্ট লতার গানের প্রথম পাঠগ্রহণ। পাশাপাশি অভিনয়েও হাতেখড়ি মাত্র পাঁচ বছর বয়সে। মা, বাবা এবং তাঁরা চার বোন এক ভাই মিলে সে ছিল এক গানের বাড়ি। কিন্তু মাত্র তেরো বছর বয়সেই বাবাকে হারিয়ে কঠোর বাস্তবের মুখোমুখি হলেন লতা। শুরু হল অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম। প্লেব্যাক সিংগিং তো বটেই, অভিনয়ও করা শুরু করলেন জীবিকার তাগিদে। তাঁর কোকিলকণ্ঠী গানের জাদুতে মেতে উঠল আসমুদ্র হিমাচল। একের পর এক ছবিতে সেই যে গান গাওয়ার শুরু, তা অব্যাহত থাকল এর পরবর্তী সাত দশক জুড়ে। আর শুদু হিন্দি নয়, বহু ভারতীয় ভাষায় গান গেয়ে লতা মঙ্গেশকর অচিরেই পরিণত হলেন জীবন্ত কিংবদন্তীতে। বাংলা ভাষাতেও তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কম নয়। বাঙালি শ্রোতার কাছে লতা ঘরের মেয়ে। আজ যখন পশ্চিমি প্রভাবে অন্য ধারার গানে এই উপমহাদেশ মেতে উঠেছে, তখনও অম্লান লতা মঙ্গেশকর গীত গান। এই গ্রন্থ সেই গানেরই উদযাপন। লতার সংগ্রামী জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে এখানে আমরা প্রবেশ করেছি তাঁর গাওয়া বাংলা গানের গহিনে। সেই সঙ্গে রয়েছে লতা সম্পর্কে সমসাময়িক ব্যক্তিত্বদের উচ্ছ্বাস ও স্মৃতিচারণ এবং একটি দুর্লভ সাক্ষাৎকার।