শ্রীশ্রীমন্মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর দেববর্ম মাণিক্য বাহাদুরের
শুভ-রাজ্যাভিষেক উৎসব
ত্রিপুরার মহারাজ বীরবিক্রকিশোর মাণিক্য ছিলেন বহুকর্মা। তাঁর জীবনকাল সংক্ষিপ্ত হলেও ব্যাপ্তি সুবিশাল। দেশ-বিদেশে পরমসমাদৃত এই মহারাজার রাজ্যাভিষেকের বর্ণাঢ্য (১৯২৮ সাল) ছিল নানা উপাচারে সজ্জিত। সেই আচার-অনুষ্ঠানের রাজকীয় সমারোহ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত এই পুস্তিকার নবকলেবরে পুনঃপ্রকাশনা_ইতিহাসের এক উজ্জ্বল উদ্ধার। ‘স্বাধীন ত্রিপুরার প্রায় অন্তিম সময়ের আর্থ-সামাজিক ইতিহাসের পাদটীকার বহু খুচরো উপাদানের আকর’ এই পুস্তিকা, যাতে একই সঙ্গে বিধৃত হয়েছে মহারাজার রাজ্যভার অধিগ্রহণ, রাজ্যাভিষেক পদ্ধতি এবং ত্রিপুরেশ্বরের সংক্ষিপ্ত জীবনালেখ্য।
সম্পাদনা গৌতম বাগচি
এক চরম বিপন্ন সময়ে ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এদেশের আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠাই ছিল তাঁর জীবনের পরম লক্ষ্য। একজন বিদেশিনী হিসেবেও তিনি যে কী বিপুল পরিমাণ কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন, তার বিশদ চর্চা ও মূল্যায়ন চলছে বিগত একশো বছর ধরেই। এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর প্রয়াণের অব্যবহিত পরেই নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দেশবিদেশের বিশিষ্টজনের প্রতিক্রিয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলির কথা। বলাবাহুল্য, এই প্রয়াস অবশ্যই মৌলিকতা দাবি করে। বহু অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবেই আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে। সঙ্গে রইল নিবেদিতার ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি।
সতীনাথ মাইতি
মুহূর্তের বর্ণচ্ছটায় উদ্ভাসিত পৃথিবী। সেই জলছবি আঁকেন যে কবি, মৃত্যুমুখী তাঁর জীবনের দুর্নিবার গতিকে থামায় কবিতা, হয়তো বা নারীও কোনো। গ্রাম থেকে শহর ভাসে লোনা অভিজ্ঞানে।
প্রবীরকুমার চট্টোপাধ্যায়
দুর্গাপূজা নিঃসন্দেহে বাঙালির জাতীয় উৎসব। ধর্মীয় অনুষঙ্গের সীমাবদ্ধতা পার করে এই পূজা বৃহত্তর বঙ্গভূমির মিলনোৎসব। অথচ অধিকাংশ পূজকের কাছেই এই পূজার মন্ত্রের অর্থ অবিদিত। সংস্কৃত শিক্ষার সার্বিক অবনমন ও ক্রমাবলুপ্তিই হয়তো এর কারণ। এই অমার্জনীয় ত্রুটি পূজাকে অসম্পূর্ণ ও অসার্থক করে তোলে, যেহেতু অর্থবোধহীন মন্ত্রোচ্চারণ প্রলাপেরই শামিল। কালিকাপুরাণোক্ত দূর্গাপূজা পদ্ধতি এই প্রথম বঙ্গানুবাদসহ প্রকাশিত হল। মহামহোপাধ্যায় শ্যামাচরণ কবিরত্ন বিদ্যাবারিধি মহাশয়ের প্রদর্শিত পথে এই অনুপাদ ধর্মপ্রাণ পাঠক, নিষ্ঠাবান পূজক এবং ধর্মশাস্ত্রের অনুসন্ধিৎসু গবেষক_সকলের কাছেই এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে।
নারীর উপনয়ন দানের মাধ্যমে ভারতবর্ষে বিপ্লব এনেছিলেন যোগসিদ্ধা যে মহাসাধিকা, তিনিই আনন্দময়ী মা |