শিশুসাহিত্যে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সুনির্মল চক্রবর্তী গুজরাটি লোককথার বিপুল সম্ভার থেকে আমাদের জন্য উদ্ধার করে এনেছেন মোট ৭টি গল্প। সাতরঙা রামধনুর মতোই রঙিন তারা। আজকের ছোটোদের কাছে তো বটেই, কখনো যাঁরা ছোটো ছিলেন- তাঁদের কাছেও চিরকালীন এই লোককথাগুলির অবেদন ফুরিয়ে যাওয়ার নয়।
এই সময়ের বিশিষ্ট কবি প্রদীপ কুমার রায়ের কবিতায় ধরা পড়ে এক অব্যক্ত বেদনা। বিচিত্র বিষয়ক কবিতার মধ্যেও ফিরে ফিরে আসে এক খোঁজ। কবি খুঁজে ফেরেন তাঁর মনের মানুষ। এক মায়াবী আলোয় মাখা অপূর্ব সারল্যের বিস্তার এই বই জুড়ে। যেন এ কোনো কবিতা নয়, এ হল নদী, যা বাঁকে বাঁকে বদলে নেয় নিজেকে এবং সেইসঙ্গে নিজের অভিমুখ।
জগতের নাথ বা পিতা যিনি, তিনিই প্রভু জগন্নাথ। তিনি আদি। তিনি অনন্ত। অন্যান্য ঠাকুরের মতো তাঁর বিসর্জন নেই। শুধু আছে এক কলেবর থেকে অন্য কলেবর ধারণ। যে-বছর আষাঢ় মাস মলমাস হিসেবে নির্ধারিত হয়, সে মাসেই প্রভু তাঁর পুরোনো শরীর ত্যাগ করে নতুন দেহে প্রবেশ করেন। নতুন এই কলেবর প্রস্তুত হয় শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম চিহ্নবিশিষ্ট দারুবৃক্ষ দিয়ে।
সংকলন ও সম্পাদনা: মেঘ বসু
হয়তো নৈ:শব্দ্যই সেই অনন্ত অপেক্ষা, বিরহকে যা ধারণ করে তীব্র দহনজ্বালায়, আবার কখনো-বা চিরনির্বাণের কুহকিনী আশ্বাসে। রবীন্দ্রনাথ থেকে উত্তর-শূন্য দশক পর্যন্ত ব্যাপ্ত এই সংগ্রহটি পাঠকের কাছে হয়ে উঠতে পারে এক আশ্চর্য ভ্রমণ।
সুধীরকুমার মিত্র
নটসম্রাট গিরিশচন্দ্র ঘোষের কর্মময় জীবন, স্বদেশপ্রেম, নাট্যপ্রতিভা_এ গ্রন্থে আলোকিত হয়েছে ইতিহাসবিদ সুধীরকুমার মিত্রর স্বকীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে। পাশাপাশি, এ গ্রন্থে পাওয়া যাবে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত গিরিশ রচনাবলির তালিকা এবং ‘গিরিশচন্দ্র ঘোষ_জীবন, কর্ম ও সমকালীন ঘটনাবলি’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী তথ্যসংকলন।
বীরসিংহের সেই সিংহশিশুই যে পরবর্তীকালে উনিশ শতকের ভারতবর্ষের ইতিহাসের মোড় ঘোরানো , আধুনিকতার দিশারি ‘ বিদ্যাসাগর ‘ হয়ে উঠবেন , তাঁর ইঙ্গিত কি লুকিয়ে ছিল তাঁর দুরন্ত শৈশব, ঘটনাবহুল বাল্যকাল ও কঠোর অধ্যবসায়পূর্ণ ছাত্রজীবনের মধ্যে ?