• 0 Items - 0.00
    • No products in the cart.

নানা নিবন্ধ ও অন্যান্য প্রবন্ধ / NANA NIBANDHA O ANNANYA PRABANDHA

200.00

সুশীলকুমার দে সংকলন ও ভূমিকা অলোক রায়

আচার্য সুশীলকুমার দে-র বিখ‌্যাত গ্রন্থগুলি ইংরেজিতে লেখা হলেও তাঁর বাংলায় লেখা প্রবন্ধ-নিবন্ধাদির সংখ‌্যাও নিতান্ত অল্প নয়। সংস্কৃত অলংকারশাস্ত্র ও সাহিত‌্যের অবিসংবাদী এই পাণ্ডিত‌্যের ইংরেজি ও বাংলা ভাষা সাহিত‌্যেও অধিকার ছিল সুবিদিত। বাংলা ভাষা-সাহিত‌্য নিয়ে তাঁর লেখালেখির শুরু ১৯১৫ সালে। সাহিত‌্যালোচনায় সুশীলকুমারের অবলম্বন শুধুমাত্র আলংকারিকদের অনুশাসন নয়, পাশ্চাত‌্য সাহিত‌্যতত্ত্ব অর্জিত বোধও। লেখকের জীবৎকালে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থ_দীনবন্ধু মিত্র (১৯৫১ সাল) এবং নানা নিবন্ধ (১৯৫৩ সাল)_বহুদিন যাবৎ মুদ্রিত না-থাকায় রয়ে গিয়েছিল পাঠকের দৃষ্টির অন্তরালে। এই দুটি গ্রন্থের সঙ্গে সুশীলকুমারের আরও কিছু দুষ্প্রাপ‌্য লেখা একত্র করে প্রকাশিত হল বর্তমান গ্রন্থটি।

মহাসিন্ধুর ওপার থেকে / MAHASINDHUR OPAR THEKE

160.00

প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত

সৃষ্টির আদি থেকেই ধর্ম আর সংগীত পরস্পরের সঙ্গে জড়িয়েছে এক অমোঘ বন্ধনে। মনন, চিন্তন ও বোধের ক্ষেত্রে ফলত যোগ হয়েছে অনেক মাত্রা। সভ‌্যতার ইতিহাসেরই অবিচ্ছেদ‌্য অংশ হিসেবে দেশে-বিদেশে বিকশিত হয়েছে ধর্মীয় সংগীতের ধারা। এই বই খুললে সেই ধারার উদ্ভব ও ক্রমবিকাশের এক সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী তো মিলবেই, সঙ্গে প্রাপ্তি বিশ্বের প্রথম দশটি প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় সংগীতের কাহিনি। এমন প্রচেষ্টা বাংলা ভাষাতে তো বটেই, পৃথিবীর অন‌্যান‌্য ভাষাতেও দুর্লভ।

মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা / MEDINIPURE DESHAJ SHIKSHAR DHARA

160.00

সুব্রতকুমার মাল

ব্রিটিশ শিক্ষা ব‌্যবস্থা প্রবর্তনের পূর্বে সমগ্র বঙ্গদেশে, বিশেষত মেদিনীপুরে, দেশজ শিক্ষার এক সমৃদ্ধ ধারা প্রবহমান ছিল, তা ভেঙে পড়ল কেন ? ১৮৩৫ সালের অ‌্যাডামস-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা যায়, অতীতে মেদিনীপুর শিক্ষার দিক থেকে সর্বাগ্রে ছিল। তাহলে এখানে ব্রিটিশ শিক্ষা ব‌্যবস্থা প্রবর্তনের আগে কেন কালের করাল গ্রাসে এর অবলুপ্তি ঘটল ? এই গ্রন্থে আছে, প্রাক‌্ঔপনিবেশিক আমলে মেদিনীপুরে দেশজ শিক্ষার ধারা প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা, নারীশিক্ষার অগ্রগতি এবং লোকশিক্ষার অবস্থা। সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট‌্যগুলিও বিস্তারিতভাবে আলোচিত।

মিথকথা / MITH KATHA

160.00

অমিত ভট্টাচার্য

অন্ধকার থেকে অন্ধকারে নয়। অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণই মানবজীবনের সার্থকতা। প্রাচীন ভারতের শাস্ত্র-সাহিত‌্য–দর্শনই কেবল নয়, আধুনিক সাহিত‌্যেও যতদূর সম্ভব হয়েছে, প্রসারিত দৃষ্টি নিয়ে সেসবের মননসমৃদ্ধ দীপ্তি পাঠকের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার নিরলস প্রয়াস মিথকথা শীর্ষক গ্রন্থটিতে লক্ষণীয়। একদিকে পরম্পরাবাহিত সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশজনিত ভ্রান্ত ধারণা আপামর জনতাকে শিক্ষা-ডিগ্রি নির্বিশেষে এখনও কীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে, অপরদিকে ঋষিদের কল্পকথায় রূপকাকারে চিত্তশুদ্ধির আবাহন_এই দুয়েরই প্রতিচ্ছবি মূর্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচিত চোদ্দোটি কাহিনিতে।

নেপথ্যদর্শন / NEPATHYADARSHAN

160.00

শ্রীনিরপেক্ষ

বিগত শতাব্দীর পঞ্চশ-ষাটের দশকে যুগান্তর পত্রিকায় শ্রীনিরেপক্ষ ছদ্মনামের অন্তরালে নবীন সাংবাদিক অমিতাভ চৌধুরীর ‘নেপথ‌্যদর্শন’ ধারাবাহিক রচনা ভারতীয় তথা এশীয় সাংবাদিকতায় নতুন যুগের সূচনা করে। অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতার অন‌্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত হন তিনি। প্রশাসনের নানা অনিয়ম-অনাচার-অবিচারের ঘটনাকে পাঠকের দরবারে তিনি হাজির করেন অসামান‌্য সৎসাহস এবং আপসহীন মনোভাব নিয়ে। সেইসঙ্গে এই কলমের বহু রচনায় ছিল অপ্রত‌্যাশিত নানান মানবিক উদ্ঘাটন। এই কারণেই এই প্রতিবেদনগুলি নিতান্ত সাময়িক রচনা না-থেকে হয়ে উঠেছে সমকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসের মূল‌্যবান দলিল। সেই সময়ের নবমূল‌্যায়নের জন‌্য আজও অপিরহার্য এই সংকলন।

আর্ট ও বাংলার রেনেসাঁস / Art O Banglar Renaissance

160.00

অন্নদাশঙ্কর রায়

২১টি পরস্পর-সম্বন্ধিত নাতিদীর্ঘ প্রবন্ধে ‘আর্ট’ ও ৩টি দীর্ঘ প্রবন্ধে ‘বাংলার রেনসাঁস’ নিয়ে আলোচনা করেছেন অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর এই গ্রন্থে। দেওয়া ও পাওয়ার ছল বা উপলক্ষ্য বা মাধ্যমের নামই যে আর্ট, সে-কথা তিনি যেমন নিঃসংকোচে বলেছেন, তেমনই নির্দ্বিধায় ঘোষণা করেছেন, বাংলার রেনেসাঁস এখনও অসমাপ্ত। রবীন্দ্রনাথের অন্তর্ধানে তা নিঃশেষিত ­হয়নি।

নানা নিবন্ধ / NANA NIBANDHA

120.00

অগ্নিকুমার আচার্য

সাহিত‌্যের অঙ্গনে প্রবন্ধ কোনো বর্ষীয়ান বটবৃক্ষ যেন। তার অগণিত শাখা-প্রশাখার মধ‌্যে জ্ঞানমূলক এহেন বিষয় নেই। যা আশ্রয় পায় না। সাহিত‌্য, বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিল্পকলা, প্রত্নতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, দর্শন, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, মহৎ জীবনকথা ইত‌্যাদি প্রবন্ধের মাধ‌্যমেই উপস্থিত হয় পাঠকের দরবারে। নানা নিবন্ধ এমনই এক প্রবন্ধগ্রন্থ, যা পাঁচটি পর্বে সংকলিত করেছে বাইশটি অন‌ন‌্য প্রবন্ধকে। এখানে একদিকে যেমন আমরা পাই লোকসংস্কৃতি, ধর্মসংস্কৃতি ও সাহিত‌্য বিষয়ক প্রবন্ধ, অন‌্যদিকে তেমনই রয়েছে মহৎ জীবনকথা ও বিবিধ বিষয়ক নিবন্ধ। এক-একটি পর্বের মধ‌্যেও কত-না বৈচিত্র‌! তাই লোকসংস্কৃতি বিভাগে যেমন আমরা পড়ি ব্রাত‌্যজনের প্রাণের উৎসব চড়ক-গাজনের কথা, তেমনই আমাদের মুগ্ধ করে নামপদকীর্তন বৃত্তান্ত। এ-রকম সব ক-টি পর্বেই আমরা পেয়ে যাই আলোকসামান‌্য এক-একটি প্রবন্ধ_তা সে নজরুলের হিন্দুসাধনা নিয়েই হোক, কিংবা বহুবিচিত্ররূপিণী দেবী দুর্গা প্রসঙ্গে। অগ্নিকুমার আচার্য লিখিত প্রবন্ধগুলির সহজ-সরল উপস্থাপনভঙ্গি, ক্ষুরধার যুক্তিবিন‌্যাস, প্রাসঙ্গিক তথ‌্যের যথাযথ উপস্থাপন এবং সর্বোপরি, ভাষার অনন‌্য প্রসাদগুণ নানা নিবন্ধকে করে তুলেছে ব‌্যতিক্রমী তথা বহুমাত্রিক।