নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।
২২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে ১৩২০ বঙ্গাব্দের বৈশাখে যে পত্রিকাটির পথ চলার শুরু, তা-ই পরবর্তীকালে পালটে দেয় বাংলা শিশুসাহিত্যের গতিপথকে। মাত্র দু-বছর আট মাসব্যাপী সম্পাদনা পর্বে যিনি পত্রিকাটিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন উৎকর্ষের উত্তুঙ্গ বিন্দুতে, তিনি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। সেই প্রথম প্রকাশনায় বাঙালি ছুঁয়ে নিতে পেরেছিল বিশ্বমান_শুধু মুদ্রণ প্রযুক্তি ও পারিপাট্যের দিক থেকেই নয়, বিষয়বস্তুর বৈচিত্রময় পরিবেশন ও নতুন ধারার অলংকরণের সমারোহেও। সুকুমার, সুবিনয়, সত্যজিৎ-সুভাষ_সন্দেশ-এর পরবর্তী সম্পাদনা-পর্বগুলি নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও, তথ্যের অপ্রতুলতার দরুন বিস্মৃতির অতলে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদনা পর্ব। গত শতাব্দীর নয়ের দশকের আরম্ভে এই ‘হারিয়ে যাওয়া’ পর্ব নিয়ে গবেষণায় ব্রতী হন সুস্মিতা দত্ত। এই বই সেই গবেষণারই ফসল। হারানো সূত্রগুলিকে একত্রিত করে যে দক্ষতায় লেখিকা পত্রিকাটির প্রস্তুতিপর্ব ও প্রকাশকালীন ইতিহাস পুননির্মাণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এ বই পড়ে উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদিত সন্দেশ-এর বিষয়বস্তু, লেখক, ছবি, ভাষা ও পরিবেশন ছাড়াও পাঠক আলোকিত হবেন সন্দেশ পূর্ববর্তী শিশু পত্রিকাগুলির ইতিহাস সম্পর্কে।
জল ও স্থলের সন্ধিরেখায় দামাল দুর্যোগে দাপিয়ে বেড়ায় যে সমুদ্রদানব, তারই নাম সুনামি। সুনামির সৃষ্টি, বৈশিষ্ট্য এবং তার ধ্বংসলীলা_ বোধের সীমানায় নিয়ে আসা জরুরি হয়ে পড়েছে এ মুহূর্তে। কিন্তু কেন? বিবিধ কারণের মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা (Disaster Management)-র বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলায় এই প্রথম বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচিত হল সুনামি।
কৈলাসচন্দ্র সিংহ
প্রাচীন ত্রিপুরার বর্ণময় ইতিহাস রচনাকারী কৈলাসচন্দ্র সিংহের মূল্যবান গ্রন্থ রাজমালা থেকেই রবীন্দ্রনাথ রাজর্ষি-র উপাদান পেয়েছিলেন এবং উপন্যাস রচনা করে ত্রিপুরা রাজ্যকে জগৎসভায় পরিচিতির এক নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করেছিলেন। গ্রন্থটি প্রথমে ক্ষুদ্রাকারে ও পরে বৃহদাকারে প্রকাশিত হয়েছিল। পাঠকের সুবিধার্থে দুষ্প্রাপ্য প্রথম খণ্ডটিও একত্রে প্রকাশ করা হল।
কবিরাজ শ্রীনীলমাধব সেনগুপ্ত সম্পাদনা অমিত ভট্টাচার্য
শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অনুশাসনকে মান্যতা দিতেই হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসৃত না হলে একটি প্রাণ অকালে ঝরে যায়। পারিবারিক জীবন বিঘ্নিত হয়। ‘ধরো তক্তা মারো পেরেক’ সহবাসবিধি নয়। সন্তানোৎপত্তিতে অনন্যচিত্ত সহবাস, কামোদ্দীপক অনুলেপনাদির ব্যবহার গুরুত্ব পেয়েছে। মায়েদের স্বাস্থ্যসচেতন করতে যে সংলাপের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। অতীতে কোথায় ছিলাম জানতে পারল বর্তমানের অগ্রগামিতার মূল্যায়ন হয়। ঠানদিদি শরীর সম্বন্ধে মানুষকে আরও বেশি জাগ্রত করেছেন। কবিরাজ শ্রীনীলমাধব সেনগুপ্ত প্রণীত সরল গৃহচিকিৎসার এই দুর্লভ বইটিকে বিস্মৃতির অতল থেকে উদ্ধার করেছেন বিশিষ্ট অধ্যাপক তথা আয়ুর্বেদ গবেষক অমিত ভট্টাচার্য।
মানুষ হাসতে ভালোবাসে। সেই যে কথায় বলে—আট থেকে আশি, দুঃখ ভুলে হাসি। তাই গোটা পৃথিবী জুড়ে দীর্ঘকাল ধরে লেখা হয়ে আসছে হাসির গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা। শুধু সাহিত্যই নয়, হাসির সিনেমাও কম তৈরি হয়নি। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘ছিন্নপত্রাবলী’-তে ৪৭ নম্বর পত্রে লিখেছেন, হাস্যরস প্রাচীনকালের ব্রহ্মাস্ত্রের মতো, যে ওর প্রয়োগ জানে সে ওকে নিয়ে একেবারে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে—আর যে হতভাগ্য ছুড়তে জানে না অথচ নাড়তে যায়, তার বেলায় বিমুখ ব্রহ্মাস্ত্র আসি অস্ত্রীরেই বধে, হাস্যরস তাকেই হাস্যজনক করে তোলে। হাসির আবার রকমফেরও তো কম নেই—মিচকে হাসি, খিকখিক হাসি, হা হা হাসি, হো হো হাসি—আরও কত! আমরা দৈনন্দিন জীবনের সমস্যার টানাপোড়েনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছি। তাই আমরা পাঠকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে আয়োজন করেছি পঁচিশটি হাসির গল্পের এই সংকলন। শিবরাম চক্রবর্তী, হিমানীশ গোস্বামী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বা তারাপদ রায়ের হাসির গল্পের সঙ্গে গ্রথিত করেছি একালের নবীন কথাকারদেরও হাসির গল্প।
অধিকাংশ ইনশিয়োরেন্স এজেন্ট আজীবন এজেন্টই থেকে যান, তাঁরা আর মানুষের বিমাবন্ধু হয়ে উঠতে পারেন না। কীভাবে কোনো মানুষকে সঠিকভাবে উদ্দীপ্ত ও সচেতন করে তাঁর ‘ইনশিয়োর্ড’ হওয়া ‘এনশিয়োর’ করা যায়, কীভাবে আদর্শ বিমাবন্ধু হয়ে ওঠা যায়- সেই পথই ধাপে ধাপে দেখাবে প্রত্যেক লাইফ ইনশিয়োরেন্স এজেন্ট-এর অবশ্যপাঠ্য এই বই।