খনিগর্ভে অনেক মূল্যবান রত্ন বা পাথর পাওয়া যায়। খুঁজলে তবেই পাওয়া যায় সেইসব পাথর। অনেকটা ওই ‘উড়াইয়া দ্যাখো ছাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’। সেই সত্যকে আমরা সহজে দেখতে পাই না। কে কিভাবে খুঁজবেন, তা তাঁর ব্যাপার। |
চিরায়ত প্রেমের গল্পসংগ্রহ
সম্পাদনা: উজ্জ্বলকুমার মজুমদার
৩৬টি ছোটোগল্পে ছুঁয়ে নেওয়া চিরায়ত বাংলা প্রেমের গল্পের আশ্চর্য ভুবন।
মানুষের সুখ – দুক্ষ- প্রেম আর চিরন্তন প্রকিতির পাশাপাশি গৌতমের গল্পে বারবার উঠে আসে I
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের তিনটি উপন্যাস
কথাসাহিত্য হয়তো-বা স্রোতস্বিনী এক নদী, যার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে থাকে অচেনার আনন্দ, অজানার আহ্বান এবং দু-পারের কথামানুষের নিয়ে নানা নির্মাণ-অবিনির্মাণ। বহতা সেই স্রোতের উজান বেয়ে যদি আমরা উৎসে পৌঁছোতে চাই, চাই শীর্ষকে ছুঁতে, তবুও কি দেখা মেলে তাঁর ? উৎসারিত গদ্যের উৎসে রয়েছেন যিনি, সৃষ্টির মূল চৈতন্যময় ঈশ্বরপ্রতীম স্রষ্টা ? অন্যের অভাব পূরণ করেন যিনি, তিনিই পুরুষ। আর কথাপুরুষ হলেন সেই স্রষ্টা, যাঁর সৃষ্টিতে তন্নিষ্ঠ পাঠক খুঁজে পান এক সম্পূর্ণতা, আমাদের চেনা পৃথিবীরই আর এক প্রতিরূপ। শুরু হল কথাপুরুষ, পারুল চিরায়ত উপন্যাসসংগ্রহ। সূচনায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ব-নির্বাচিত তিনটি উপন্যাস_অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ও দুই নারী হাতে তরবারি।
বুদ্ধদেব গুহ
কর্মজীবন থেকে সেমি-রিটায়ার্ড গৌতমনারায়ণ ধৃতির সঙ্গে এসেছেন চম্পাঝরনের বনবাংলোতে। একদিকে অনির্বচনীয় নৈসর্গিক সৌন্দর্য, অন্যদিকে নারীশরীরের নিষিদ্ধ আঘ্রাণ_এ আসলে আত্মানুসন্ধানী গৌতমনারায়ণের অন্য এক আরণ্যক নির্বাসন। একসময়ের দুর্ধর্ষ শিকারি এই মানুষটি নারীর হৃদয়শিকারেও সমদক্ষতার অধিকারী। শরীরের সংস্কারও তাঁর নেই। শুধু অ্যানজিওপ্লাস্টি হওয়ার পর থেকে বেপরোয়া অ্যাডভেঞ্চারের ঝোঁক হয়তো সংবৃত হয়েছে কিয়দংশ। সাতপুরা পর্বতমালার পটভূমিতে, ন্যারোগেজ রেললাইন পেরিয়ে, প্রাচীন মহুয়া গাছের আশ্রয়ে, টিটিপাখির ডাক শুনতে শুনতে মহারাষ্ট্রের এই অভয়ারণ্যে গৌতমনারায়ণ আত্মস্থ করছেন তাঁর মোহিনী, সুন্দরী পরিপার্শ্বকে। কিন্তু সুন্দরের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অপ্রত্যাশিত কোনো ভয়ংকর। অষ্টমীর চাঁদের আলোকেও স্নান করে তীব্র আলোর ঝলকানি জঙ্গল চিরে কাদের যেন খুঁজতে থাকে। কী হল গৌতমনারায়ণের? ধৃতির সঙ্গে তাঁর বন্ধুতা কি কোনও পূর্ণতা পেল? নাকি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়ছে যারা, তিনি জড়িয়ে পড়লেন তাদের সঙ্গে আকস্মিক কোনো সংঘর্ষে? জানতে গেলে পড়তে হবে পাহাড়ি ঝরনার মতো উচ্ছলিত, অসমবয়সী প্রেমের এই অনুপম উপন্যাস।
প্রভাতী ভট্টাচার্য
চট্টগ্রামের এক বর্ধিষ্ণু গ্রামে মামাবাড়িতে বিদ্যোৎসাহী দাদা-দিদিদের সঙ্গে বড়ো হয়ে উঠছিল রূপা। শিল্পোদ্যোগী পিতার সাহচর্য ও স্নেহ সেই মেয়েবেলায় এনে দিয়েছিল সোনালি রোদ্দুর। পিতার পথ ধরেই রূপা আপন করে নিয়েছিল সংগীত-সাহিত্য–শিল্পকলার বিমূর্ত জগতকে। দেশভাগ বদলে দিল তার ছন্দোময় জীবনের যাত্রাপথকে। সাগরপাড়ি দিয়ে রূপারা এল কলকাতায়। তারপর? প্রভাতী ভট্টাচার্যর এই প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসে এক অদ্ভুত স্মৃতিমেদুর গদ্য আমাদের একাত্ম করে দেয় রূপার জীবনের সঙ্গে। তার জীবনযুদ্ধ হয়ে ওঠে আমাদেরই প্রতিদিন। আর সেই যাত্রাপথে রয়ে যায় সমসময়ের পদচিহ্ন। জীবনের এই জলছবি কখনো কখনো আবেগবিহ্বল আবার কখনো তা অশ্রুত কোনো রুদ্ধসংগীত।