• 0 Items - 0.00
    • No products in the cart.

History and Anthropology

বিদ্যাসাগর – রমেশচন্দ্র মজুমদার

120.00

রমেশচন্দ্র মজুমদার

প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদত্ত ‘বিদ্যাসাগর বক্তৃতামালা’-র এই মূল্যবান সংকলনটি একজন সংবেদনশীল বিদগ্ধ শিক্ষকের মহান অবদান।­

সুবিশাল এই আলোচনায় আমরা ঋদ্ধ হই একদিকে বাংলা গদ্যসাহিত্যের উদ্ভব প্রসঙ্গে তাঁর মৌলিক ব্যাখ্যায় এবং অন্যদিকে নিরপেক্ষ মননের আলোয় প্রাচীন ভারতের বৈদিক যুগ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভকাল পর্যন্ত সময়ে সমাজে নারীজাতির বাস্তব অবস্থান, মহিমা ও অবদমিত নারীজীবনের অতুলনীয় করুণ চিত্রণে। এই সংকলন সেই নিরিখে সমগ্র নারীসমাজের যুগপৎ বিকাশ ও অবদানের এক ঐতিহাসিক দলিল।

মহাকবি কালিদাসের ইতিহাস / MOHAKABI KALIDASERITIHAS

240.00

সতীপতি ভট্টাচার্য

শেকসপিয়রের মতোই দুর্জ্ঞেয়, রহস‌্যময় ও কুয়াশাবৃত কালিদাসের জীবন। তাঁর জন্ম খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে, নাকি খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে_এ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ‌্যে বিতর্ক আছে। যা নিয়ে বিতর্ক নেই, তা হল শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েও তাঁর অবিসংবাদী জনপ্রিয়তা। কীভাবে কোনো মহাকবি লোককবিতে রূপান্তরিত হয়ে ওঠেন, কী অন‌্যন‌্য পারম্পর্যে তাঁকে নিয়ে গড়ে ওঠে শত সহস্র কিংবদন্তী, কালিদাস অথবা কালিদাস-মিথ তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তবে অভিজ্ঞানশকুন্তলম্, বিক্রমোর্ব্বশীয়ম্, মালবিকাগ্নিমিত্রম্ প্রভৃতি নাটকের রচয়িতা যিনি, তাঁর কলম থেকে উৎসারিত রঘুবংশকুমারসম্ভব-এর মতো মহাকাব‌্য এবং মেঘদূত এবং কুমারসম্ভব-এর মতো মহাকাব‌্য এবং মেঘদূতঋতুসংহার-এর মতো খণ্ডকাব‌্য, বাল্মিকী-ব‌্যাসের পর তিনিই যে শ্রেষ্ঠ ভারতীয় কবি তথা নাট‌্যকার, এ বিষয়ে প্রায় সকলেই নিঃসংশয়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কালিদাস সম্পর্কিত কিংবদন্তী ও লোককাহিনিগুলিকে একত্রিত করে রচিত এই গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৩০ সালে। বাঙালির কালিদাস-চর্চায় যে আবেগ ও অনুরাগ পরিলক্ষিত হয়, মহাকবি কালিদাসের ইতিহাস সেই ঐতিহ‌্যেরই নির্ভীক অনুসারী।

শেষ সংবাদে নিবেদিতা (Sesh sambade nibedita)

160.00

সম্পাদনা গৌতম বাগচি

এক চরম বিপন্ন সময়ে ভারতবর্ষের মাটিতে পা রেখেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। এদেশের আত্মার আত্মীয় হয়ে ওঠাই ছিল তাঁর জীবনের পরম লক্ষ্য। একজন বিদেশিনী হিসেবেও তিনি যে কী বিপুল পরিমাণ কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছিলেন, তার বিশদ চর্চা ও মূল্যায়ন চলছে বিগত একশো বছর ধরেই। এই গ্রন্থে প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর প্রয়াণের অব্যবহিত পরেই নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত দেশবিদেশের বিশিষ্টজনের প্রতিক্রিয়া ও শ্রদ্ধাঞ্জলির কথা। বলাবাহুল্য, এই প্রয়াস অবশ্যই মৌলিকতা দাবি করে। বহু অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ এই গ্রন্থ একটি ঐতিহাসিক কাজ হিসেবেই আকর্ষণীয় হয়ে থাকবে। সঙ্গে রইল নিবেদিতার  ইংরেজি ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি।

সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের সন্ধানে / Sirajer Putra O Bangsodharder Sandhane

250.00

অমলেন্দু দে

পলাশির যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া কয়েকটি তথ‌্যের অনুসন্ধানে দীর্ঘকাল ব‌্যাপৃত ছিলেন অধ‌্যাপক অমলেন্দু দে। এই যু্দ্ধ- সংক্রান্ত ভারতীয় ও বিদেশি লেখকদের মূল‌্যবান গ্রন্থসমূহ এবং সরকার কর্তৃক সংরক্ষিত নথিপত্রেও সেগুলির সন্ধান না পাওয়ায় তিনি আঠারো শতকের পারিবারিক কাগজপত্র অনুসন্ধান করতে থাকেন। অধ‌্যাপক দে বিশেষ নজর দেন সেইসব জমিদার পরিবারের নথিপত্রে, যাঁরা ১৭৫৭ কিংবা ১৭৫৮ সালে দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ময়মনসিংহের জমিদার পরিবারের সঙ্গে বাংলার নবাবদের সুসম্পর্ক ছিল। অধ‌্যাপক দে ময়মনসিংহের ইতিহাস গ্রন্থে এমন কিছু তথ‌্য পান, যার সূত্র ধরে তিনি খোঁজ পেয়ে যান ইতিহাসে অনু্‌ল্লেখিত সিরাজউদদৌলার পুত্রের। সিরাজের সন্তান এই জমিদার পরিবারেই দত্তক পুত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছিলেন। সিরাজের অন‌্যতম সেনানায়ক মোহনলাল ছিলেন সিরাজের স্ত্রী আলেয়ার দাদা। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে আলোয়ার নাম ছিল হীরা। সিরাজ ও হীরার এই পুত্রকে নিয়ে মোহনলাল যু্দ্ধক্ষেত্র থেকে ২৩ জুন (১৭৫৭ সাল) পালিয়ে  চলে যান ময়মনসিংহ। তারপর সেখানকার জমিদার পরিবারে তাঁর আপন ভাগিনেয়কে দত্তক নেওয়ার ব‌্যবস্থা করেন। এই দত্তক পুত্রের নাম হল যুগলকিশোর রায়চৌধুরী। যেভাবে একের পর এক নবলব্ধ তথ‌্যের সাহায‌্যে সিরাজের পুত্র ও বংশধরদের অজানা ইতিহাস এ গ্রন্থে উন্মোচিত হয়েছে, তা এককথায় অনবদ‌্য। প্রসঙ্গত, মোহনলাল সম্পর্কে অধ‌্যাপক দে যে-সকল অজানা তথ‌্য সংগ্রহ করেছেন, তার ঐতিহাসিক মূল‌্য অনস্বীকার্য। সব মিলিয়ে, পলাশির যুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য আলোচনায় এই গ্রন্থ এক মহামূল‌্যবান সংযোজন।