আজ যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যশস্বী ও কীর্তিমান, কীভাবে একদিন তাঁদের জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল আপনাপন শিক্ষা গুরুর নির্দেশনায় এ বইয়ে মিলবে তারই বিশ্বস্ত আলেখ্য | গল্প হয়েও যা সত্যি|
সংকলন ও ভূমিকা শৈলেন ঘোষ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চেৌধুরী (১২মে ১৮৬৩_২৩ ডিসেম্বর ১৯১৫) : শিশুসাহিত্যিক, সম্পাদক, চিত্রকর, শিল্পী, সংগীতজ্ঞ, তথা মুদ্রণশিল্প বিশারদ উপেন্দ্রকিশোরের জন্ম অবিভক্ত বঙ্গের মসুয়া গ্রামের সুবিখ্যাত রায় (পূর্বতন ‘দেনা’ বা ‘দেও’) পরিবারে। পিতা কালীনাথ (শ্যামসুন্দর মুনশি) মাতা জয়তারা। কালীনাথ ও জন্মতারার পাঁচ পুত্র, তিন কন্যার মধ্যে উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন মধ্যম। পিতৃদত্ত নাম কামদারঞ্জন। কামদা যখন চার বছেরর শিশু, কালীনাথের জ্ঞাতিভাই জমিদার হরিকিশোর রায়চৌধুরী তাকে দত্তক নেন। নামকরণ করেন উপেন্দ্রকিশোর। মায়মনসিংহ জেলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপেন্দ্রকিশোর কলকাতায় এসে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভরতি হন। কিন্তু বিএ পাস করেন ক্যালকাটা মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৪ সালে। পরের বছরই তাঁর বিবাহ হয় ব্রাহ্মনেতা দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের জ্যেষ্ঠা কন্যা বিধুমুখী দেবীর সঙ্গে। সুখলতা, সুকুমার, পুণ্যলতা, সুবিনয় ও শান্তিলতা_তিন কন্যা, দুই পুত্রকে নিয়ে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এক সুখের সংসার। মুখ্যত শিশুসাহিত্যকে কেন্দ্র করেই উপেন্দ্রকিশোরের সাহিত্যপ্রতিভার স্ফুরণ ও বিকাশ। কলেজে পড়তে পড়তেই ১৮৮৩ সালে শিশুদের পত্রিকা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম রচনা। পরবর্তীকালে তিনি লিখেছিলেন সখা ও সাথী, মুকুল প্রভৃতি পত্রিকাতেও। ১৮৮৫-এ প্রকাশিত হল তাঁর লেখা ছোটোদের রামায়ণ । ওই একই বছের তাঁর নিজস্ব মুদ্রণ সংস্থা U. Ray & Sons.-এর প্রতিষ্ঠা। এরপর একে একে বেরোল ছোটোদের মহাভারত, সেকালের কথা, টুনটুনির বই । ১৯১৩-য় নিজের সম্পাদনায় উপেন্দ্রকিশোর প্রকাশ করলেন ছোটোদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্রিকা সন্দেশ, নিঃসন্দেহে যা তাঁর স্মরণীয়তম কীর্তি। এর দু-বছর আট মাস বাদে যখন তাঁর জীবনাবসান ঘটে, ততদিনে এ পত্রিকার ৩২টি সংখ্যা তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত। ২২নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হয়। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোর লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সঞ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলির বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপি গাইন বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়।
শিবনারায়ণ রায়
মনস্বী প্রাবন্ধিক শিবনারায়ণ রায়ের সাহিত্য, সাহিত্যতত্ত্ব ও চিত্রকলা বিষয়ক এই লেখাগুলি পাঠ করলে ভেঙে যেতে পারে আমাদের এতদিনের লালিত অনেক অলস, অভ্যস্ত, বিগ্রহপূজারি ধারণা। তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণে জারিত, চিরায়ত ও আধুনিক বিশ্বসাহিত্যের অনায়াস উল্লেখে প্রোজ্জ্বল, ভারতীয় ও ইউরোপীয় রেনেসাঁস সম্পর্কে স্বতন্ত্র ও তুলনামূলক আলোচনায় দিগদর্শী এবং রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য ও শিল্পকর্মের মোহমুক্ত মূল্যায়নে ঋদ্ধ বারোটি অমূ্ল্য প্রবন্ধের সংকলন এই গ্রন্থ।
নীরা আসলে কল্পনার নারী , চিররোমান্টিক , সুনীলের প্রাণ প্রতিমা , একইসঙ্গে মানস সুন্দরী I নীরা আমাদের কাছে অধরা I নীরার আকর্ষণ এখানেই I
অধ্যাপক মনকুমার চক্রবর্তী
এই বইয়ের প্রথম দিকেই আছে গ্রিক গণিতের দুই দিকপাল পিথাগোরাস ও ইউক্লিডের কথা। আছে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যার, বিশেষ করে জটিল সংখ্যার কাহিনি। গণিতে ‘শূন্য’-এর ‘কিছু না’ থেকে সংখ্যা হয়ে ওঠার কাহিনি। আছে গণিতে ‘অসীম’-এর ভূমিকা এবং ‘অসীম’ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। সবশেষে আশা করা যায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গণিতপ্রেম জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এই বই গণিত শিক্ষকদের যথেষ্ট সাহায্য করবে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।