The present book, which is beyond the constraints of rigid periodization, is an endeavour to challenge certain stereotypes relating to Islam, Sufism, folk-songs and inter-community relations in the South Asian context. By consulting Persian, Urdu, Bengali and English sources, the present work suggests that Sufism was more heterogeneous and complex than we are prepared to accept.
সাধারণ মানুষের ধর্মবিশ্বাস ও পূজাপদ্ধতিকে জনপ্রিয় ধর্ম বলা হয়ে থাকে । বেশির ভাগ সাধারণ মানুষের জীবন ও কাজে সর্বদাই এ জনপ্রিয় ধর্ম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে। ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠান প্রাচীনকালে উৎপত্তি হলেও আজও বাংলায় এ সবের প্রাধান্য রয়েছে।
পল্লব মিত্র
কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে। কবি জীবনানন্দ দাশের একথা অক্ষরে সত্য হয়ে উঠেছে আজ। তিন শতাব্দী পেরোনো কলকাতার মুখে পড়েছে অহংকারের আলো। এ অহংকার ঐতিহ্যের। ঐতিহ্যশালী কলকাতার যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে কত না মহার্ঘ্য সম্পদ। কত ঐতিহাসিক স্থান। এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় তারই তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ উল্লেখ। মহাকরণ, শহিদ মিনার, হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ি, স্বামিজির বাসভবন, এশিয়াটিক সোসাইটি, চিড়িয়াখানা প্রভৃতি স্মৃতিবিজড়িত স্নানগুলির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য নির্ধারিত হয়েছে লেখক গবেষক পল্লব মিত্রের সৃজনশীল প্রয়াসে।
সংকলন ও সম্পাদনা বারিদবরণ ঘোষ
প্রথম মহাযুদ্ধের আরম্ভ ১৯১৪ সালের জুলাইয়ে। সেটা ১৩২১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাস। সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে ভারতবর্ষের সে মহাসমরের সংবাদ এসে পৌঁছোয়। যুদ্ধের খবর প্রথম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রকাশিত হয় ঠাকুরবাড়ির মাসিক পত্রিকা ভারতী-তে। তারপর একে একে ভারতবর্ষ, প্রবাসী, মাসিক বসুমতী, সমর-সংবাদ প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মহাযুদ্ধের সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। ভারতী—তেই সে বছর ‘বর্তমান ইউরোপীয় সমর’ নাম এক দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। বাংলা সাময়িক পত্রপত্রিকার যুদ্ধ বিষয়ক যেসকল লেখা প্রকাশিত হয়, তার কিছু স্মৃতিমূলক_ প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন যাঁরা তাঁদের জার্নাল ও চিঠি। আবার কোনো কোনো লেখায় আমরা পাই যু্দ্ধে বিষয়ক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ-নিবন্ধ। এ ছাড়াও মিলবে স্বদেশ থেকে বহুদূরে যুদ্ধে ময়দানে যা ঘটে চলেছে তার তাৎক্ষণিক বিবরণ ও সেইসঙ্গে যু্দ্ধপ্রকরণ নিয়ে অনুসন্ধানী নিবন্ধও। এই মহাযুদ্ধে গোটা বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একদিকে ছিল ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইটালি সার্বিয়া, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ, অন্যদিকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, তুর্কস্থান প্রমুখ শক্তি। কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধের আনুপূর্বিক ইতিহাস বিবৃত করা এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য নয়। এই মহাযুদ্ধে ভারতবর্ষের ভূমিকাও আমাদের আলোচনার পরিধিভুক্ত হয়নি। বঙ্গসন্তান হিসেবে যে প্রশ্ন আমাদের মনে উঠে আসে_ বাঙালিরা কি এতে শামিল হয়েছিলেন ? তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে সমসাময়িক বাংলা পত্রপত্রিকায় যুদ্ধ বিষয়ক সংবাদাদি সংগ্রহ করার পর যা পাওয়া গেল, তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। একদিকে এই সংকলন খোঁজ দেয় প্রথম মহাযুদ্ধের কারণে উদ্ভুত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির দেশীয় মূল্যায়নের। অন্যদিকে তা আঘাত করে ‘বাঙালি ভীরুজাতি’_এই ভ্রান্ত ধারণার মূলে। আমরা জানতে পারি, বাঙালির শুধু দলে দলে এই মহাসমরে যোগদানই করেননি, তাঁদের রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল বহু বিদেশি যুদ্ধপ্রান্তর।