ভারতের সংবিধান / BHARATER SANBIDHAN
₹400.00অনুবাদক: ড. তারকনাথ মল্লিক
সম্পাদনা: প্রফেসর অপূর্ব কুমার মুখোপাধ্যায়
SENANIR DRISHTITE BISH SHATAKER SAMAR-AKHYAN / সেনানী'র দৃষ্টিতে বিশ শতকের সমর-আখ্যান
₹280.00 × 1
Notes on সবুজ পাতা ৪ part / Notes On Sabuj Pata Chaturtha Bhag
₹120.00 × 1
Parul Number Book (1-100)
₹100.00 × 2
ANGLA BANGLA / আংলা বাংলা
₹160.00 × 1 Subtotal : ₹760.00
অনুবাদক: ড. তারকনাথ মল্লিক
সম্পাদনা: প্রফেসর অপূর্ব কুমার মুখোপাধ্যায়
মুহূর্তকথা – এই শিরোনামে পারুল নিবেদন করছে বাংলা ছোটগল্পের চিরায়ত সৃজনকর্মগুলিকে ।
ছেলেমেয়েদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ, বৈশাখ-চৈত্র ১৩২১)
শ্রীউপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সম্পাদিত
২২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে ‘সন্দেশ’ প্রকাশিত হত। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোরের লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সজ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলোই বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপিগাইন, বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়। রেখায়-লেখায় অনবদ্য সন্দেশ উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদনা পর্বেই অর্জন করেছিল অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা। শুধু সমসাময়িক শিশুসাহিত্য প্রকাশনার ক্ষেত্রেই নয়, আন্তর্জাতিক নিরিখেও এই পত্রিকাটি ছিল অগ্রগামী। গল্প. কবিতা, গান, প্রবন্ধ, জীবনী, ভ্রমণকাহিনি, ভুগোল, বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ক লেখা, আবিষ্কারের গল্প, ধাঁধা, সংবাদ_ বিষয়বস্তুর বৈচিত্রময় পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধারার অলংকরণ এবং মুদ্রণ পারিপাট্য সন্দেশ-কে এনে দিয়েছিল এমন এক বহুমাত্রিকতা যা এর চিরকালীন আবেদন সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ থেকে ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার, সামাজিক সংস্কার আন্দোলন এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে নবপরিচয় বাংলা শিশুসাহিত্যের ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক জাগরণের সূচনা করেছিল, সন্দেশ ছিল তারই উত্তুঙ্গ বিন্দু।
ছেলেমেয়েদের জন্য সচিত্র মাসিক পত্র (তৃতীয় বর্ষ, বৈশাখ-চৈত্র ১৩২২)
শ্রীউপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ও শ্রীসুকুমার রায় সম্পাদিত
২২ নং সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ি থেকে গোড়ার দিকে সন্দেশ প্রকাশিত হত। মুদ্রক ও প্রকাশক ছিলেন ললিতমোহন গুপ্ত। পত্রিকাটি মুদ্রিত হত ৬৪/১ নং সুকিয়া স্ট্রিটে অবস্থিত লক্ষ্মী প্রিন্টিং ওয়ার্কস থেকে। ছড়া, রূপকথা, লোককথা, ইতিহাস, পুরাণ, আবিষ্কারের গল্প কিংবা নিখাদ কল্পকাহিনি_ শিশুসাহিত্যের এমন কোনো শাখার কথাই ভাবা যায় না, যা উপেন্দ্রকিশোরের লেখনীর জাদুস্পর্শে নবপ্রাণে সজ্জীবিত হয়নি। ছোটোদের রামায়ণ থেকে শুরু করে তাঁর লেখা সব গ্রন্থগুলিই বাংলা শিশুসাহিত্যের চিরায়ত সম্পদ। তেমনই তাঁর গুপিগাইন, বাঘা বাইন, বোকা জোলা, ঘ্যাঁঘাসু প্রমুখ চরিত্র তাদের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে আজ অবধি অবিস্মরণীয়। রেখায়-লেখায় অনবদ্য সন্দেশ উপেন্দ্রকিশোর সম্পাদনা পর্বেই অর্জন করেছিল অবিশ্বাস্য জনপ্রিয়তা। শুধু সমসাময়িক শিশুসাহিত্য প্রকাশনার ক্ষেত্রই নয়, আন্তর্জাতিক নিরিখেও এই পত্রিকাটি ছিল অগ্রগামী। গল্প. কবিতা, গান, প্রবন্ধ, জীবনী, ভ্রমণকাহিনি, ভুগোল, বিজ্ঞান ও ইতিহাস বিষয়ক লেখা, আবিষ্কারের গল্প, বাঁধা, সংবাদ_ বিষয়বস্তুর বৈচিত্রময় পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধারার অলংকরণ এবং মুদ্রণ পারিপাট্য সন্দেশ-কে এনে দিয়েছিল এমন এক বহুমাত্রিকতা যা এর চিরকালীন আবেদন সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছিল। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম পাদ থেক ইংরেজি শিক্ষার বিস্তার, সামাজিক সংস্কার আন্দোলন এবং পাশ্চাত্য সাহিত্যের সঙ্গে নবপরিচয় বাংলা শিশুসাহিত্যের ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক জাগরণের সূচনা করেছিল, সন্দেশ ছিল তারই উত্তুঙ্গ বিন্দু।
সংকলন ও সম্পাদনা বারিদবরণ ঘোষ
প্রথম মহাযুদ্ধের আরম্ভ ১৯১৪ সালের জুলাইয়ে। সেটা ১৩২১ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাস। সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে ভারতবর্ষের সে মহাসমরের সংবাদ এসে পৌঁছোয়। যুদ্ধের খবর প্রথম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রকাশিত হয় ঠাকুরবাড়ির মাসিক পত্রিকা ভারতী-তে। তারপর একে একে ভারতবর্ষ, প্রবাসী, মাসিক বসুমতী, সমর-সংবাদ প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মহাযুদ্ধের সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে। ভারতী—তেই সে বছর ‘বর্তমান ইউরোপীয় সমর’ নাম এক দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। বাংলা সাময়িক পত্রপত্রিকার যুদ্ধ বিষয়ক যেসকল লেখা প্রকাশিত হয়, তার কিছু স্মৃতিমূলক_ প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন যাঁরা তাঁদের জার্নাল ও চিঠি। আবার কোনো কোনো লেখায় আমরা পাই যু্দ্ধে বিষয়ক বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ-নিবন্ধ। এ ছাড়াও মিলবে স্বদেশ থেকে বহুদূরে যুদ্ধে ময়দানে যা ঘটে চলেছে তার তাৎক্ষণিক বিবরণ ও সেইসঙ্গে যু্দ্ধপ্রকরণ নিয়ে অনুসন্ধানী নিবন্ধও। এই মহাযুদ্ধে গোটা বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। একদিকে ছিল ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইটালি সার্বিয়া, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ, অন্যদিকে জার্মানি, অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া, তুর্কস্থান প্রমুখ শক্তি। কিন্তু প্রথম মহাযুদ্ধের আনুপূর্বিক ইতিহাস বিবৃত করা এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য নয়। এই মহাযুদ্ধে ভারতবর্ষের ভূমিকাও আমাদের আলোচনার পরিধিভুক্ত হয়নি। বঙ্গসন্তান হিসেবে যে প্রশ্ন আমাদের মনে উঠে আসে_ বাঙালিরা কি এতে শামিল হয়েছিলেন ? তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে সমসাময়িক বাংলা পত্রপত্রিকায় যুদ্ধ বিষয়ক সংবাদাদি সংগ্রহ করার পর যা পাওয়া গেল, তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। একদিকে এই সংকলন খোঁজ দেয় প্রথম মহাযুদ্ধের কারণে উদ্ভুত আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির দেশীয় মূল্যায়নের। অন্যদিকে তা আঘাত করে ‘বাঙালি ভীরুজাতি’_এই ভ্রান্ত ধারণার মূলে। আমরা জানতে পারি, বাঙালির শুধু দলে দলে এই মহাসমরে যোগদানই করেননি, তাঁদের রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল বহু বিদেশি যুদ্ধপ্রান্তর।