এই গ্রন্থের সামাজিক অবক্ষয়ের কদর্যতম রূপ। কিছু নিবন্ধ আবার মাধুর্য ও মানবিক সম্পদে সমৃদ্ধ। একের পর এক প্রবন্ধে আলোকিত হয়েছে এতাবৎ অজ্ঞাত বিবিধ বিষয়- তা সে পৃথিবীর প্রাচীনতম মৃৎপাত্রই হোক, কিংবা কলকাতার মৃত্যুজগৎ।
যশস্বী সাংবাদিক গোপালকৃষ্ণ রায়ের জন্ম ওপার বাংলায়। কিন্তু তাঁর মনন ও চেতনা পরিপু্ষ্ট হয়েছে এপার বাংলার কৃষ্ণনগরে- এক ঐতিহ্যময় সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে।
পটলডাঙার টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা , ক্যাবলা আর হাবুল এবার নাস্তানাবুদ কম্বলকে খুঁজতে গিয়ে । |
কবিরাজ শ্রীনীলমাধব সেনগুপ্ত সম্পাদনা অমিত ভট্টাচার্য
শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে অনুশাসনকে মান্যতা দিতেই হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসৃত না হলে একটি প্রাণ অকালে ঝরে যায়। পারিবারিক জীবন বিঘ্নিত হয়। ‘ধরো তক্তা মারো পেরেক’ সহবাসবিধি নয়। সন্তানোৎপত্তিতে অনন্যচিত্ত সহবাস, কামোদ্দীপক অনুলেপনাদির ব্যবহার গুরুত্ব পেয়েছে। মায়েদের স্বাস্থ্যসচেতন করতে যে সংলাপের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। অতীতে কোথায় ছিলাম জানতে পারল বর্তমানের অগ্রগামিতার মূল্যায়ন হয়। ঠানদিদি শরীর সম্বন্ধে মানুষকে আরও বেশি জাগ্রত করেছেন। কবিরাজ শ্রীনীলমাধব সেনগুপ্ত প্রণীত সরল গৃহচিকিৎসার এই দুর্লভ বইটিকে বিস্মৃতির অতল থেকে উদ্ধার করেছেন বিশিষ্ট অধ্যাপক তথা আয়ুর্বেদ গবেষক অমিত ভট্টাচার্য।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ঝন্টিপাহাড়ির ভূতবাংলোতে ভূতের পিলে চমকানো অট্টহাসিই হোক কিংবা নীলপাহাড়ির ঝাউ-বাংলোয় কাটা মুণ্ডুর বীভৎস নাচ, পটলডাঙার চার মূর্তিকে কুপোকাত করতে পারে, এমন সাধ্য কার! টেনিদা ও তার তিন শাগরেদ প্যালা, হাবুল ও ক্যাবলা-কে নিয়ে লেখা নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম ও তৃতীয় উপন্যাস_চার মূর্তি ও ঝাউ-বাংলোর রহস্য_এই প্রথম একসঙ্গে।
আশাপূর্ণা দেবী
জানা জগতের বাইরে পা ফেলতে চাননি আশাপূর্ণা_একথা স্বীকার করে গেছেন নিজমুখে। নিরাসক্তভাবে অবিরাম। শুধু লিখে যেতে চেয়েছেন সংসারে নারী-পুরুষের সম্পর্ক, তার টানাপোড়েন এবং তারই অন্তঃস্থিত ভেজাল-নির্ভেজালের কারবার নিয়ে। তবু_এ সংগ্রহের লেখাগুলি পড়লে বোঝা যায়_ তাঁর জানা সেই সসীম জগতের সীমাই কত-না অসীম, অজানাকে জানা বোঝার আগ্রহে কত-না অবিচল। আর এই লিখে যাওয়া_সে তো কেবলই রচনাপ্রসব নয়, মাঝে মাঝেই তা এত উঁকি মারে সমাজ-দর্শন, পুরুষতন্ত্রের পরাক্রান্ত ধাঁচাটি ধরে টান মারার দুঃসাহস, এমনকী দক্ষিণের খোলা জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া উতল হাওয়াও। সাগরে ঢেউ গুনতে গুনতে লেখক কখন যে পাঠক হয়ে যান, আর পাঠক লেখক, তার খেয়াল কে রাখে!